• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯

বাণিজ্য

পূর্বাচলে চলছে বাণিজ্য মেলার প্রস্তুতি

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২৩ ডিসেম্বর ২০২১

২০২২ সালের বাণিজ্য মেলা হবে রাজধানীর পূর্বাচলে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে। আগামী ১ জানুয়ারি থেকে মেলা শুরুর অনুমতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আসন্ন বাণিজ্য মেলায় সর্বসাধারণের চলাচলের সুবিধার্থে কুড়িল ফ্লইওভার থেকে মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত বিআরসিটিসির বাস চলাচল করবে। এছাড়াও ডিসেম্বরের মধ্যেই পূর্বাচলের রাস্তা মেরামত করে তা চলাচলের উপযোগী করা হবে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্রে জানা গেছে, করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় ১ জানুয়ারি বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে ২৬তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা অনুষ্ঠিত হবে। এই বিশাল আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য ১৩ সেপ্টেম্বর ইপিবিকে চিঠি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ইপিবি সেই বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে ১ জানুয়ারি মেলা শুরুর বিষয়ে অনুমতি চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করা হলে তিনি অনুমতি দিয়েছেন।

এক্সিবিশন সেন্টারের প্রকল্প পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, আমাদের কাজ শেষ করেছি। মেলা প্রাঙ্গণ পুরোপুরি প্রস্তুত আছে। ইপিবি মেলার লেআউটসহ অন্যান্য কাজ শেষ করেছে। যথাসময়েই মেলা হবে।

ইপিবির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মাসব্যাপী বাণিজ্যমেলায় দর্শনার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে বিআরটিসির ৩০টি বাস কুড়িল ফ্লাইওভারের নিচ থেকে বাণিজ্য মেলার কেন্দ্র পর্যন্ত চলাচলের জন্য অনুরোধ করে বিআরটিসিকে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। দর্শনার্থীরা মেলায় যাওয়ার জন্য ন্যূনতম ভাড়ার মাধ্যমেই এসব বাসে চলাচল করতে পারবেন।

সম্প্রতি পূর্বাচলের রাস্তার কাজের দায়িত্বে থাকা প্রকল্প পরিচালক বাণিজ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সভায় রাজউকের চেয়ারম্যান ও ঊর্ধ্বতন ইঞ্জিনিয়ার ও ইপিবির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় জানানো হয়, ডিসেম্বরের মধ্যে পূর্বাচলের ১০ কিলোমিটার রাস্তা চলাচলের জন্য উপযোগী থাকবে। দুই লেন করে দুইপাশে চার লেনে গাড়ি চলবে। এখনই অনেক জায়গায় প্রধান সড়ক দিয়ে চলাচল করা যাচ্ছে।

এবারের বাণিজ্য মেলায় প্রায় তিনশ স্টল থাকবে বলে জানা গেছে। ভেতরে এবং বাইরে মিলে এসব স্টল থাকবে। তবে মেলাকেন্দ্রের ভেতরে থাকা জায়গার মধ্যে অধিকাংশই মানুষের চলাচলের জন্য ফাঁকা রাখা হবে। আর কেন্দ্রের বাইরে ডানপাশে স্টল বসলেও, আরেকদিক সৌন্দের্যের জন্য ফাঁকা রাখা হবে। মেলার ডিজাইন সেভাবেই করা হয়েছে।

ইপিবির সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রের ভেতরে সবমিলে ৩০৯টি স্টল থাকবে। করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ভেতরে পর্যাপ্ত জায়গা ফাঁকা রাখা হয়েছে। চাইলেই চারশ করে মোট আটশ দোকান বানানো যেতো, কিন্তু মানুষের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে সেখানে কর্তৃপক্ষ দুইশ স্টল বানিয়েছেন। এই ক্ষেত্রে এক স্টল থেকে আরেকটির দূরত্ব এবং মানুষের চলাচলের বিষয়টি মাথায় রাখা হয়েছে। প্রাণ, যমুনা, স্যামসাং, আবুল খায়ের, হোন্ডার মতো প্রতিষ্ঠানগুলো ইতোমধ্যে আবেদন করেছে। ভেতরে যে ২৪টি প্রিমিয়াম স্টল আছে তারমধ্যে ২২টিই ইতোমধ্যে বরাদ্দ হয়ে গেছে।

নতুন স্থানে অনুষ্ঠিতব্য বাণিজ্য মেলায় আগতদের গাড়ি রাখার জন্য বৃহৎ পরিসরে পার্কিং সুবিধা রয়েছে। মেলার শৃঙ্খলার স্বার্থে গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য কেন্দ্রের পাশেই রাজউকের পানির প্ল্যান্ট ভাড়া নেওয়া হয়েছে। সেখানেই এক হাজার গাড়ি পার্কিং হবে।

জানা গেছে, দোতলা পার্কিং বিল্ডিংয়ের মোট পার্কিং স্পেস সাত হাজার ৯১২ বর্গমিটার, যেখানে ৫০০টি গাড়ি রাখা যাবে আর এক্সিবিশন বিল্ডিংয়ের সামনের খোলা জায়গায় আরও এক হাজার গাড়ি পার্কিং করার সুযোগ রয়েছে।

বাণিজ্য মেলা প্রসঙ্গে ইপিবির সচিব এবং মেলার পরিচালক মো. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী বলেন, বিশ্বব্যাপী মেলা যে সিস্টেমে হয়, সেই একই সিস্টেমে এবারের বাণিজ্য মেলা হবে। মেলা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় কিছুটা চ্যালেঞ্জ তো থাকবেই। কারণ নতুন জায়গায় নিচে সার্ভিস লাইন আছে। খুঁড়তে গিয়ে যদি সার্ভিস লাইন নস্ট করেন তাহলে পুরো সেন্টার অচল হয়ে যাবে। এসব বিষয় মাথায় রেখে যতটুকু না করলেই না, ততটুকুই আমরা করবো।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৫ সাল থেকে ঢাকার শেরেবাংলা নগরে অস্থায়ী জায়গায় ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছিল। প্রতি বছর জানুয়ারির ১ তারিখ প্রধানমন্ত্রী এ মেলার উদ্বোধন করেন। করোনার কারণে ২০২১ সালে বাণিজ্য মেলা অনুষ্ঠিত হয়নি। গত ৭ ফেব্রুয়ারি বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির কাছে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারটি হস্তান্তর করেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। গত ২১ অক্টোবর প্রদর্শনী কেন্দ্রটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নতুন করে ২০২২ সালের মাসব্যাপী বাণিজ্য মেলা বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads