• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
শৈত্যপ্রবাহ চলছে ১০ জেলায়

প্রতীকী ছবি

আবহাওয়া

শৈত্যপ্রবাহ চলছে ১০ জেলায়

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২১ ডিসেম্বর ২০২১

দেশে শীতের হাল্কা দাপটে তাপমাত্রা কিছুটা নিচের দিকে নামছে। দেশে উত্তর ও উত্তর-পূশ্চিমাঞ্চলের দশ জেলায় চলছে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। এ অবস্থা আরো দুইদিন স্থায়ী হতে পারে। গতকাল সোমবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া সর্বশেষ পূর্বাভাসে এমন তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।

আবহাওয়াবিদ আরিফুর রহমান জানিয়েছে, শৈত্যপ্রবাহ বইতে শুরু করেছে। বিশেষ করে রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অনেক অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এটি আরো দুদিন স্থায়ী হতে পারে এবং আরো এলাকায় বিস্তার লাভ করতে পারে।

গোপালগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, কুড়িগ্রাম, পঞ্চগড়, যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা ও বরিশাল অঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ শৈত্যপ্রবাহ থাকবে আগামী আরো দুইদিন, আর এর বিস্তৃতি হতে পারে বলেও জানান তিনি।

এই আবহাওয়াবিদ আরো জানান, দেশে চলমান মৃদু শৈত্যপ্রবাহ আগামী বুধবার পর্যন্ত চলবে এবং এরপর তাপমাত্রা কিছুটা বাড়বে। তবে চলতি মাসের শেষের দিকে আবার শুরু হবে শীতের প্রকোপ। ভোরের দিকে দেশের বিভিন্ন স্থানে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়বে। এর প্রভাবে সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং অন্য এলাকায় তা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে দেখা গেছে, গতকাল ভোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়, ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল কক্সবাজার ও সীতাকুণ্ডে, ২৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এছাড়া বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে ১০  নিচে থাকা জেলাগুলো হচ্ছে, রাজশাহী, ঈশ্বরদী, বদলগাছি, তেতুলিয়া, রাজারহাট, যশোর এবং বরিশাল। আর ১০ এর ঘরে থাকা জেলাগুলো হচ্ছে টাঙ্গাইল, মাদারিপুর, গোপালগঞ্জ, তাড়াশ, ডিমলা, মোংলা, সাতক্ষীরা ও কুমারখালি।  এছাড়া ১৩ থেকে ১০ ডিগ্রির মধ্যে আছে রাজশাহী, ঈশ্বরদী, বদলগাছি, দিনাজপুর,  সৈয়দপুর, ডিমলা, রাজারহাট, মাদারিপুর, নেত্রকোনা,  সীতাকুণ্ড,  ফেনী এবং শ্রীমঙ্গলের তাপমাত্রা।

ঢাকায় উত্তর/উত্তরপশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় এ সময় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ৮-১২ কি.মি.। আগামী তিনদিনের শেষের দিকে উত্তরপূর্বাঞ্চলে হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

আগামী একদিনে দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকবে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলে রাতের তাপমাত্রা কমলেও দেশের অন্যত্র তাপমাত্রা একই রকম থাকবে।

আবহাওয়া কর্মকর্তারা জানান, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশ এলাকায় বিরাজমান। দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন বিষুবীয় ভারত মহাসাগর এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি বর্তমানে সুস্পষ্ট লঘুচাপ আকারে উত্তর সুমাত্রা উপকূলের অদূরে দক্ষিণ আন্দামান সাগরে অবস্থান করছে।

এই অবস্থায় দক্ষিণাঞ্চলের রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং অন্যত্র তা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

হিমালয় অঞ্চলের নিকটবর্তী উত্তরাঞ্চলীয় জেলা দিনাজপুর থেকে শুরু করে রাজধানী ঢাকা সর্বত্র এই মাঝারি এই শৈতপ্রবাহের ফলে এরই মধ্যে কিছুটা কাবু হতে শুরু করেছে মানুষ।

এ বছর নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে হিম হিম ভাব বাড়ছিল। তবে ডিসেম্বরে সাগরে ঘূর্ণিঝড় আর বৃষ্টিতে সামান্য বিলম্বিত হয়েছে শীত। এমনিতে বাংলাদেশে জানুয়ারি মাসেই শীতের প্রকোপ বেশি থাকে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলের বাংলাদেশের বাড়িঘর তৈরি করা হয় গরমের কথা ভেবে। এসব বাড়িঘর তৈরি হয় যেসব উপকরণ দিয়ে, তাতে তাপমাত্রা বিশ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলেই শীতে কাবু হয়ে পড়েন মানুষ। তা ছাড়া শীত মোকাবিলার উপযোগী শীতবস্ত্রও বেশিরভাগ মানুষের নেই।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads