• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে ধনী রাষ্ট্র চীন

সংগৃহীত ছবি

বিশ্ব

যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে ধনী রাষ্ট্র চীন

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১৬ নভেম্বর ২০২১

যুক্তরাষ্ট্রকে টপকে সবচেয়ে ধনী রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে চীন। ম্যাককিনসে অ্যান্ড কোম্পানির গবেষণা শাখার নতুন এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে বলে খবর ব্লুমবার্গের।

৬০ শতাংশের বেশি বৈশ্বিক আয়ের প্রতিনিধিত্বকারী ১০টি দেশের জাতীয় আয়-ব্যয়ের হিসাব পর্যালোচনা করে প্রতিষ্ঠানটির গবেষণা শাখা। খবর ব্লুমবার্গের।

এক সাক্ষাৎকারে জুরিখের ম্যাককিনসি গ্লোবাল ইনস্টিটিউটের অংশীদার জেন মিশকে বলেছেন, “আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় আমরা এখন বেশি ধনী।”

প্রতিষ্ঠানটির হিসাব অনুযায়ী, ২০২০ সালে বিশ্বের মোট সম্পদ পৌঁছেছে ৫১৪ ট্রিলিয়ন ডলারে। ২০০০ সালেও যা ছিল ১৫৬ ট্রিলিয়ন ডলার। এই বৃদ্ধির এক তৃতীয়াংশই এসেছে চীনের হাত ধরে।

চীনে সম্পদ এখন সবাইকে ছাড়িয়ে ১২০ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছে গেছে; ২০০০ সালের দিকেও এই সম্পদ ছিল মাত্র ৭ ট্রিলিয়ন ডলার। ২০০১ সালে চীন বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় যোগ দেয়। তারপর থেকে তার অর্থনীতির আকার বাড়তে থাকে হু হু করে।

এদিকে গত দুই দশকে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদও দ্বিগুণের বেশি হয়ে ৯০ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।

বিশ্বের বড় এ দুই অর্থনীতির দেশ চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মোট সম্পদের দুই তৃতীয়াংশই ধনী ১০ শতাংশ পরিবারের কব্জায়।

২০০০ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সম্পদ বৃদ্ধি পাওয়া শীর্ষ দশের বাকি দেশগুলো যথাক্রমে জার্মানি, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, মেক্সিকো ও সুইডেন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বিশ্বের মোট সম্পদের ৬৮ শতাংশই রয়েছে রিয়েল এস্টেট খাতে। অবকাঠামো, মেশিনারি ও যন্ত্রাংশ খাত এবং মেধাসম্পদ ও পেটেন্টের মতো খাতেও সম্পদ রয়েছে।

ম্যাককিনসের গবেষণা মোতাবেক, গত দুই দশকে সম্পদের এই বৃদ্ধি বৈশ্বিক মোট দেশজ উৎপাদন বৃদ্ধিকে ছাড়িয়ে গেছে এবং সুদের হার কমে যাওয়ায় সম্পত্তির মূল্যও তরতর করে উপরে উঠেছে। আয়ের তুলনায় সম্পদের দাম তাদের দীর্ঘমেয়াদি গড়ের চাইতেও ৫০ শতাংশ বেশি বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।

জ্যান মিশকে ব্লুমবার্গকে জানান, বৈশ্বিক সম্পদ বৃদ্ধির কাঠামো এবং এমন সম্পদের স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন জেগেছে বিশেষজ্ঞদের মনে। এর নানা পার্শপ্রতিক্রিয়া হবে বলে ধারণা করছেন তারা।

ভূ-সম্পত্তির মূল্য বেড়ে যাওয়ার ফলে অনেকের জন্যই বাড়ির মালিক হওয়া অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে, বাড়াচ্ছে অর্থনৈতিক সংকটের ঝুঁকিও। যেমনটা দেখা গিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রে, ২০০৮ সালে। ভবন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণকে ঘিরে চীনও এ ধরনের সমস্যার দিকে ধাবিত হচ্ছে বলেও অনেকের আশঙ্কা।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads