• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮

বিশ্ব

দ. কোরিয়ার নাটক দেখার কারণে স্কুল ছাত্রকে হত্যার নির্দেশ

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২৫ নভেম্বর ২০২১

দক্ষিণ কোরিয়ার জনপ্রিয় ধারাবাহিক নাটক ‘স্কুইড গেম’ নিজের দেশে নেয়ার কারণে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। রায়ে বলা হয়েছে, ওই শিক্ষার্থীকে ফায়ারিং স্কোয়াডে প্রকাশ্যে হত্যা করতে হবে। নেটফ্লিক্সে ‘স্কুইড গেম’ ধারাবাহিক ব্যাপক জনপ্রিয়। এর কয়েকটি সিরিজ নিজের দেশে নিয়ে তা অন্যদের কাছে বিক্রিও করেছে ওই শিক্ষার্থী। অনলাইন নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড এ খবর দিয়েছে।

এতে আরো বলা হয়, এই সিরিজকে উত্তর কোরিয়া ‘ভায়োলেন্ট ড্রামা’ বা সহিংস নাটক হিসেবে মনে করে থাকে। কর্তৃপক্ষ হাইস্কুল পড়ুয়া সাতজন শিক্ষার্থীকে শনাক্ত করে। দেখতে পায়, তারা স্কুইড গেম দেখছে।
ইউএসবি ফ্লাশ ড্রাইভ ব্যবহার করে এই ড্রামা শেয়ার করেছিল তারা। রেডিও ফ্রি এশিয়াকে উদ্ধৃত করে এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, পাচারকারীদের কাছ থেকে যে শিক্ষার্থী ড্রাইভে করে স্কুইড গেম নিয়ে গেছে তার অভিভাবক কর্তৃপক্ষকে তিন হাজার ডলার পরিশোধ করার পরও তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

একই সঙ্গে তাকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে বাকি যে ৬ শিক্ষার্থী ওই শো উপভোগ করেছে, তাদেরকে ৫ বছরের কঠোর শ্রম জেল দেয়া হয়েছে। এই শাস্তি আরো বৃদ্ধি করা হয়েছে ওইসব শিক্ষার্থীর স্কুল পর্যন্ত। সেখানে যেসব শিক্ষক তাদের শিক্ষাদান করেন এবং স্কুলের প্রশাসক আছেন, তাদেরকে বরখাস্ত করা হয়েছে। শাস্তি হিসেবে তাদেরকে প্রত্যন্ত অঞ্চলে খনিতে কাজ করতে হবে। স্থানীয় সূত্রগুলো বলেছেন, চীন থেকে পাচারকারী এই শো’য়ের একটি কপি বহন করে নিয়েছে। তারপর তা কপি করে বিক্রি করেছে।

এ জন্য ওই শিক্ষার্থীর মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে ফায়ারিং স্কোয়াডে। সোমবার রেডিও ফ্রি এশিয়ার কোরিয়ান সার্ভিসকে উত্তর হ্যামগিয়ং প্রদেশের আইন প্রয়োগকারী একটি সূত্র বলেছেন, ঘটনার সূত্রপাত গত সপ্তাহে। ওই সময়ে হাইস্কুল পড়ুয়া একজন শিক্ষার্থী গোপনে দক্ষিণ কোরিয়ার ড্রামা স্কুইড গেম ইউএসবি ড্রাইভে করে দেশে নিয়ে যায়। পরে তার ক্লাসের বেস্ট ফ্রেন্ডকে নিয়ে তা উপভোগ করে। এই শিক্ষার্থী আবার অন্যদের জানায়। ফলে তারাও আগ্রহী হয়ে ওঠে। ব্যস, ফ্লাশ ড্রাইভে করে শেয়ার হয় স্কুইড গেম।

কিন্তু ১০৯ সাংমু নামের এক ছদ্মবেশীর সেন্সরে ধরা পড়ে যায় তারা। উত্তর কোরিয়ায় চিন্তা ও সংস্কৃতিতে প্রতিক্রিয়াশীলতা নির্মূল করা বিষয়ে একটি নতুন আইন পাস হয়েছে। ফলে ১৮ বছরের নিচে বয়স, এমন ‘অপরাধী’দের বিরুদ্ধে সেদেশের সরকার প্রথমবারের মতো এই আইন প্রয়োগ করছে। পুঁজিবাদী দেশগুলো থেকে এমন নাটক বা সিনেমা দেখা অথবা তা নিজের কাছে রাখা অথবা তা মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেয়ার কারণে এই আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের কথা বলা আছে। ওই শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তারের পর কর্তৃপক্ষ অধিক পরিমাণ মেমোরি স্টোরেজ ডিভাইসের সন্ধান করছে, যেখানে বিদেশি মিডিয়ার জিনিসপত্র থাকতে পারে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads