• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯

বিশ্ব

কাজাখস্তানের সাবেক নিরাপত্তা প্রধান আটক

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ০৮ জানুয়ারি ২০২২

‘বিশ্বাসঘাতকতা’র অভিযোগে কাজাখস্তানের সাবেক গোয়েন্দা প্রধানকে আটক করা হয়েছে। দেশটিতে রক্তক্ষয়ী বিক্ষোভ-সহিংসতার মধ্যে তাকে আটকের ঘটনা ঘটলো।

কাজাখস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির (কেএনবি) এক বিবৃতির বরাত দিয়ে শনিবার আল জাজিরা এ খবর জানায়।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কাজাখস্তানের সাবেক নিরাপত্তা প্রধান করিম মসিমভকে রাষ্ট্রীয় বিষয়ে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’র এক তদন্তের ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার আটক করা হয়। করিম মসিমভ কাজাখস্তানের প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট নূরসুলতান নজরবায়েবের ঘনিষ্ট মিত্র হিসেবে পরিচিত।

এর আগে শুক্রবার মধ্য এশিয়ার দেশ কাজাখস্তানে বিক্ষোভরতদের কোনো ধরনের সতর্কতা সংকেত না দিয়েই গুলি চালানোর জন্য নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের নির্দেশ দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট।

এক টেলিভিশন ভাষণে প্রেসিডেন্ট কাশিম-জোমার্ট তোকায়েব বিক্ষোভকারীদের সতর্ক করে বলেন, ‘শান্তি পূনঃপ্রতিষ্ঠার অংশ হিসেবে চালানো কঠোর সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে তাদেরকে (বিক্ষোভকারী) ধ্বংস করে দেয়া হবে।’

কাজাখস্তানে জ্বালানী তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে সম্প্রতি বিক্ষোভ শুরু হয়। পরবর্তীতে তা সরকারবিরোধী বিক্ষোভ হিসেবে দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজাখস্তানে বিপুল সংখ্যক আধা সামরিক বাহিনী পাঠিয়েছে রাশিয়া।

কাজাখস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অন্তত ২৬ ‘অস্ত্রধারী অপরাধী’কে নিস্তব্ধ করে (হত্যা অর্থে) দেয়া হয়েছে। সহিংসতায় নিরাপত্তা বাহিনীর কমপক্ষে ১৮ সদস্য নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে দুজনের শিরচ্ছেদ করা হয়েছে।

দেশটির বৃহত্তম শহর আলমাতি আপাতত সহিংসতার কেন্দ্রে রয়েছে। এর জেরে তিন হাজারের বেশি বিক্ষোভকারী গ্রেপ্তার হয়েছেন।

আলমাতি শহরের রাস্তায় বুধবার বিক্ষোভকারীরা গাড়িতে আগুন দেয়; অনেক সরকারি ভবনে হামলা চালায়। সূত্র জানিয়েছে, তারা প্রেসিডেন্ট ভবনেও হামলার চেষ্টা চালায়।

আলমাতির বাসিন্দা স্থানীয় একটি নার্সারি স্কুলের শিক্ষক ২৮ বছরের সমল বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘আমি জানতাম না যে, আমাদের লোকজন এতো ভয়ঙ্কর হতে পারে।’

পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ১৯৯১ সালের পর এতো সহিংসতা দেখা যায়নি কাজাখস্তানে।

গত সপ্তাহে দেশটির তেলসমৃদ্ধ পশ্চিমাঞ্চলীয় ম্যাঙ্গিসতাউ অঞ্চলের ঝানাওঝেন শহরে এ বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভটি জ্বালানীর মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে ডাকা হলেও পরে তা সরকারবিরোধী রূপ নেয়। ক্রমেই এ বিক্ষোভ পুরো কাজাখস্তানে ছড়িয়ে পড়ে।

এ পরিস্থিতিতে কাজাক প্রেসিডেন্ট কাশিম-জোমার্ট তোকায়েভ মন্ত্রীসভা বাতিল করেন এবং দেশব্যাপী দুই দিনের জরুরি অবস্থা জারি করেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads