স্পেন ও ব্রাজিলে মাংকিপক্স ভাইরাসে প্রথমবারের মতো একজনের করে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। স্পেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এই দেশটি আফ্রিকার বাইরে এই ভাইরাসে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত দেশগুলোর মধ্যে একটি।
দেশটিতে এ পর্যন্ত চার হাজার ২৯৮ জনের মাংকিপক্সে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। স্পেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তরফে শুক্রবার জানানো হয়েছে, তিন হাজার ৭৫০ জন মাংকিপক্স রোগীর মধ্যে ১২০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং একজন মারা গেছেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র মারা যাওয়া রোগীর বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানাতে অস্বীকার করেছেন। তবে ওই ব্যক্তির মরদেহের ময়নাতদন্ত হওয়ার কথা রয়েছে।
ব্রাজিলে মারা যাওয়া রোগী ছিলেন ৪১ বছরের একজন পুরুষ। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, তিনি লিম্ফোমায় ভুগছিলেন।
তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও অপেক্ষাকৃত কম ছিল। তাকে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর বেলো হরিজন্তের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্র (আইসিইউ)-তে নেওয়ার পর সেপটিক শকে তার মৃত্যু হয়। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রেও বাড়ছে মাংকিপক্স শনাক্তের হার। সংক্রমণ ঠেকাতে সান ফ্রান্সিসকো শহরে জরুরি অবস্থা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। সতর্ক অবস্থানে রয়েছে নিউ ইয়র্ক। সেখানকার কর্তৃপক্ষ গত বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, ভাইরাসটি রাজ্যজুড়ে জনস্বাস্থ্যের জন্য একটি আসন্ন হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
স্বাস্থ্য কমিশনার মেরি টি বাসেট বলেন, এই ঘোষণাটি প্রতিরোধ কার্যক্রমে নিযুক্ত স্বাস্থ্য বিভাগগুলোকে সহায়তা করবে। যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত প্রায় পাঁচ হাজার মানুষের মাংকিপক্স শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে এক হাজার ২৪৭ জন নিউ ইয়র্কের। আর সান ফ্রান্সিসকোয় ২৬১ জন। বিরল সংক্রমণ রোগ মাংকিপক্স বিশ্বজুড়ে দ্রুত শনাক্ত বাড়তে থাকায় গত শনিবার একে বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।