• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯

প্রতীকী ছবি

বিদেশ

শিশুদের মানসিক সমস্যার পেছনে ফেসবুক-টুইটার

  • প্রকাশিত ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো শিশু-কিশোরদের সময়ই শুধু কেড়ে নিচ্ছে না, সঙ্গে মানসিক সমস্যাও ডেকে আনছে। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা।

বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রিটেনের চিকিৎসক রঙ্গন চ্যাটার্জী জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের ফলে কমবয়সীদের মধ্যে মানসিক সমস্যা সৃষ্টির অনেক প্রমাণ পেয়েছেন তিনি। এছাড়া ২০১৭ সালে রয়াল সোসাইটি অব পাবলিক হেলথ ১১ থেকে ১৫ বছর বয়সী দেড় হাজার কিশোর-কিশোরীর ওপর একটি জরিপ চালায়। এতে দেখা যায়, স্ন্যাপচ্যাট এবং ইনস্টাগ্রাম তাদের মনে সবচেয়ে বেশি হীনমন্যতা এবং দুশ্চিন্তা সৃষ্টি করে।

জরিপে ১০ জনের মধ্যে ৭ জন বলেছে ইনস্টাগ্রামের কারণে তাদের নিজেদের দেহ নিয়ে মন খারাপ হয়েছে। ১৪ থেকে ১৪ বছর বয়সের তরুণ-তরুণীদের অর্ধেকই বলেছে ফেসবুকের কারণে তাদের মানসিক দুশ্চিন্তা ও অশান্তি বেড়ে গেছে। দুই-তৃতীয়াংশ উত্তরদাতা বলেছে, ফেসবুকের কারণে সাইবার বুলিইং বা অনলাইনে অপমান-হয়রানি করার প্রবণতা আরো গুরুতর আকার নিয়েছে।

সম্প্রতি একদল মার্কিন শিশু কল্যাণ বিশেষজ্ঞ ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গের কাছে একটি চিঠি লেখেন। এতে তারা ‘মেসেঞ্জার কিডস’ নামে শিশুদের মেসেজিং অ্যাপটি বন্ধ করার আহ্বান জানান। বিশেষজ্ঞরা বলেন, তারা তথ্যপ্রমাণ পেয়েছেন যে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কারণে কিশোর-কিশোরীদের মানসিকতায় অস্বাভাবিক সব পরিবর্তন হচ্ছে। ১০ বছরের মেয়েও তার দৈহিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে হীনমন্যতায় ভুগছে।

এ ব্যাপারে রঙ্গন চ্যাটার্জী জানান, তিনি ১৬ বছরের এক কিশোরকে রোগী হিসেবে পেয়েছিলেন। নিজের হাত-পা কাটার পর কিশোরকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে পাঠানো হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘তার সঙ্গে কথা বলার পর মনে হলো- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করায় তার স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।’

ওই কিশোরকে তিনি ফর্মূলা দেন- সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করা কমিয়ে আনা; রাতে ঘুমানোর আগে এক ঘণ্টার বেশি নয়। তবে কয়েক সপ্তাহ পর এ সময় বাড়ানো যেতে পারে। ছয় মাস পর তার অবস্থার বেশ উন্নতি হয়।

সাইকিয়াট্রিস্ট লুই থিওডোসিও বলেন, ‘শিশুরা ফোন নিয়ে খুব বেশি সময় কাটাচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কারণে কিশোররা বিষণ্নতা, দুশ্চিন্তা বা অন্য মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছে- এমন কেসের সংখ্যা বেড়ে গেছে।’ তিনি বলেন, এসব শিশুরা কল্পনার জগতে বাস করছে, এতে তাদের স্বাস্থ্য খারাপ হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা অভিভাবকদের নানা উপায়ে শিশুদের ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর নজর রাখতে ও তা সীমিত করতে পরামর্শ দিচ্ছেন। ফেসবুক, টুইটার, অ্যাপল ও স্ন্যাপচ্যাটের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো এ ব্যাপারে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে জানিয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads