• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪২৯

বিদেশ

সোয়াতে ফেরা হবে না মালালার

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ৩০ মার্চ ২০১৮

তখন তার বয়স মাত্র ১৭ বছর। পাক তালেবান জঙ্গিরা সরাসরি মাথায় গুলি করেছিল। এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে দেশ ছাড়তে হয়েছিল। তারপর আর নিজের দেশে ফেরা হয়নি। হ্যাঁ, পাকিস্তানের মালালা ইউসুফজাইয়ের কথাই বলছি। ২০১২ থেকে ব্রিটেনেই থাকতে শুরু করে মালালা ইউসুফজাইয়ের পরিবার। সেখানে থাকাকালীন দেশের জন্য, পরিচিতদের জন্য মন কেঁদেছে খুব। অবশেষে অপেক্ষার অবসান হলো। বাবা আর পরিবারের বাকিদের সঙ্গে পাকিস্তানে ফিরলেন নোবেলজয়ী মালালা। দেশের মাটিতে পা রেখে কেঁদেও ফেললেন। কাঁদতে কাঁদতে বললেন, ‘ভাবিনি পাঁচ বছর ধরে দেখা স্বপ্নটা সত্যি হবে।’

তবে তার আত্নীয়েরা জানান, নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে পাকিস্তানে ফিরলেও সোয়াতে ফেরা হবে না মালালার। আপাতত ইসলামাবাদের একটি হোটেলেই কয়েকটা দিন কাটাবেন তিনি। কারণ মালালা ফেরার পরে টুইটারে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন অনেকেই। এদের একজন লিখেছেন, ‘এক বিশ্বাসঘাতক দেশে ফিরল।’ অনেকে আবার তাকে স্বাগতও জানিয়েছে। সোয়াতের এক স্কুলশিক্ষক টুইটারে লেখেন, ‘আমাদের দেশের মেয়েদের কাছে মালালা শিক্ষার প্রতীক। ঘরের মেয়েকে দেখার জন্য মুখিয়ে আছি।’

নারীশিক্ষা নিয়ে প্রচারের জন্যই তালেবানের রোষের মুখে পড়তে হয়েছিল মালালাকে। তার বাড়ি ছিল সোয়াতে। নোবেল পুরস্কারের পাওয়া অর্থ দিয়ে সোয়াতের কাছে সাংলায় মেয়েদের একটি স্কুল গড়েছেন তিনি।

মালালার এক আ্তীীয় জানান, দীর্ঘদিন ধরে দেশে ফিরতে চাইছিলেন মালালা। বাড়ি যেতে চাইছিলেন। আত্নীয়দের সঙ্গে দেখা করতে চাইছিলেন। গত সপ্তাহে ছিল পাকিস্তান দিবস। সেই ছাত্রী টুইটারে সেদিন লেখেন, ‘এই দিনটায় বাড়ির ছাদে ক্রিকেট খেলা আর স্কুলে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার কথা মনে পড়ে খুব।’

বিবিসি জানায়, ইসলামাবাদ বিমানবন্দরে নামার পর থেকেই মালালা ও তার পরিবারকে নিরাপত্তারক্ষীরা ঘিরে রেখেছিলেন। মালালা দেখা করেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহিদ খোকন আব্বাসির সঙ্গে। মালালাকে পাক প্রধানমন্ত্রী খোকন বলেন, ‘নিজ দেশে স্বাগতম।’ হাল্কা কমলা কামিজ আর ঘিয়ে রঙা সালোয়ার পরা মালালার মাথায় ছিল রঙিন ওড়না। বেশ খানিকক্ষণ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তারপর দেশের জাতীয় টিভি চ্যানেলে নারীশিক্ষার প্রসার নিয়ে বক্তৃতা দেন।

পরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি সচরাচর কাঁদি না। মাত্র কুড়ি বছর বয়স তো, এর মধ্যেই জীবনের অনেক উত্থান-পতন দেখে ফেলেছি।’

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads