• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯

বিদেশ

সিরিয়ায় বিষাক্ত গ্যাস হামলায় নিহত ৭০

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ০৮ এপ্রিল ২০১৮

সিরিয়ার বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত শহর পূর্ব ঘৌতার দৌমায় সরকারি বাহিনীর রাসায়নিক হামলায় অন্তত ৭০ জন নিহত হয়েছে। শনিবার রাতে সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর বিমান হামলায় রাসায়নিক বোমা ফেলা হয়েছে বলে দাবি করছেন আসাদ বিরোধীরা। স্বেচ্ছাসেবী উদ্ধারকারী সংস্থা 'হোয়াইট হেলমেট' একটি বেজমেন্টে মরদেহের ছবিসহ একটি টুইট করেন। টুইটে বলা হয় যে মৃতের সংখ্যা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিবিসি জানায়, সিরিয়া সরকার রাসায়নিক হামলার এই অভিযোগকে ‘অতিরঞ্জন’ বলে দাবী করেছে। এর আগে করা এক টুইটে হোয়াইট হেলমেট দাবী করেছিল মৃতের সংখ্যা ১৫০ জন। পরে ওই টুইটটি মুছে ফেলা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা সাম্প্রতিক আক্রমণ সম্পর্কে ‘খুবই পীড়াদায়ক’ তথ্য পাচ্ছে। তারা আরও বলেছে রাসায়নিক হামলা ব্যবহার করা হয়ে থাকলে সিরিয়ার মিত্র হিসেবে যুদ্ধ করা রাশিয়াকে দায়ি করা উচিৎ।

পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় বলেছে, ‘নিজেদের লোকদের ওপর রাসায়নিক অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করার ইতিহাস রয়েছে রাশিয়ার। অগণিত সিরিয়ানদের ওপর রাসায়নিক হামলা করার দায় নিতে হবে রাশিয়াকে।’

সরকার বিরোধী 'ঘৌতা মিডিয়া সেন্টার' টুইট করেছে যে, এক হাজারের বেশী মানুষ এই রাসায়নিক হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

তারা বলছে একটি পিপের মধ্যে করে হেলিকপ্টার থেকে একটি বোমা ফেলা হয় সেখানে। ঐ পিপেতে বিষাক্ত রাসায়নিক সারিন ছিল বলে বলা হচ্ছে।

পূর্ব ঘৌতা অঞ্চলের একমাত্র বিদ্রোহী অধ্যূষিত শহর দৌমা বর্তমানে সরকারি বাহিনী অবরোধ করে রেখেছে।

একাধিক চিকিৎসা সেবাদানকারী, পর্যবেক্ষক ও উদ্ধারকর্মীরা রাসায়নিক হামলার সত্যতা যাচাই করেছেন। তবে কতজন নিহত হয়েছেন ও ঠিক কি হয়েছে তা নিয়ে বিস্তারিত জানা যাচ্ছে না।

সিরিয়ার হাসপাতালের সাথে কাজ করা যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক দাতব্য সংস্থা 'ইউনিয়ন অব মেডিক্যাল রিলিফ অর্গানাইজেশন্স' দামেস্ক রুরাল স্পেশালিটি হাসপাতালের বরাত দিয়ে বিবিসিকে নিশ্চিত করেছে যে ৭০ জন নিহত হয়েছেন।

একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন সরেজমিন অনুসন্ধান থেকে ধারণা করা হচ্ছে যে অন্তত ১৮০ জন মারা গেছে। তবে ক্রমাগত বোমাবর্ষণের কারণে এই সংখ্যা নিশ্চিতভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

রাসায়নিক হামলার অভিযোগ ওঠার পর সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সানা বলেছে এই প্রতিবেদন দৌমার দখল নেয়া জাইশ আল-ইসলাম বিদ্রোহীদের তৈরী।

সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বলেছে, ‘জাইশ আল-ইসলাম সন্ত্রাসীরা পতনের মুখে আছে। তাই তাদের সমর্থিত সংবাদ মাধ্যমগুলো সিরিয়ান আরব সেনাবাহিনীর অভিযান থামানোর উদ্দেশ্যে গ্যাস আক্রমণের মিথ্যা খবর ছড়াচ্ছে।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads