• মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪২৯
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সহায়তা করবে চীন

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় সহায়তার কথা জানিয়েছে চীন

সংরক্ষিত ছবি

বিদেশ

বেইজিংয়ে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সহায়তা করবে চীন

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ৩০ জুন ২০১৮

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় সহায়তার কথা জানিয়েছে চীন। গতকাল শুক্রবার চীনের বেইজিংয়ে সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে বৈঠকে দেশটির স্টেট কাউন্সিলর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এ কথা জানান।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওয়াং ইর আমন্ত্রণে ২৮ জুন থেকে তিন দিনের সফরে চীনে রয়েছেন মাহমুদ আলী। সেখানে বৈঠককালে তিনি চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানান, মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। রোহিঙ্গারা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। তবে তারা নিজ গ্রামে নিরাপত্তার সঙ্গে ফিরতে আগ্রহী। তারা সেখানে গিয়ে কোনো শিবিরে থাকতে রাজি নন।

বৈঠকে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২০১৬ সালে চীনা প্রেসিডেন্টের সফরের সময় সই হওয়া বিভিন্ন চুক্তি ও সমঝোতাগুলো কীভাবে এগিয়ে নেওয়া যায় তা নিয়ে কথা বলেন। চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব উন্নয়ন প্রকল্প দ্রুত সম্পন্নের বিষয়ে তাগিদ দেন। এ সময় উভয় পক্ষ দু’দেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের সম্পর্ক ও সংলাপ চালিয়ে যেতে সম্মত হয়।

দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন। এ সময় চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বেইজিংয়ে গত বৃহস্পতিবার তিনি মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলরের দফতরের মন্ত্রী কিয়াও তিন্ত সোয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া নিয়ে কথা হয়। প্রত্যাবাসনে মিয়ানমার প্রস্তুত ও তা দ্রুত শুরু হবে বলে আশাবাদী চীন।

ওয়াং ই বলেন, ‘চীন এ ব্যাপারে (প্রত্যাবাসন) সহযোগিতা করবে এবং যৌক্তিক ভূমিকা রাখবে। মিয়ানমারে ফিরে যেতে রোহিঙ্গাদের জন্য চীন আবাসন নির্মাণ করেছে। বাংলাদেশেও তাঁবু নির্মাণ ও মানবিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের কঠোর পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া খুব দ্রুত শুরু হবে বলে মনে করি।’ এ সময় বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের সহায়তায় আরো ত্রাণ সরবরাহের ঘোষণা দেন তিনি। তবে কী পরিমাণ অর্থ বা ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হবে এ ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বার্তা সংস্থা এপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওয়াং বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের চাহিদা অনুযায়ী সহায়তায় আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।’

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী বলেন, ‘রোহিঙ্গা নিয়ে ওয়াং ইর সঙ্গে বিস্তারিত কথা হয়েছে। সেই অনুযায়ী রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য চীনের সহযোগিতা চেয়েছি। চীন এ ব্যাপারে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।’

ওয়াং ই বেইজিং সফররত মিয়ানমারের মন্ত্রী কিয়াও তিন্ত সোয়ের সঙ্গে আবুল হাসান মাহমুদ আলীর এক অনির্ধারিত বৈঠকের ব্যবস্থা করেন। এতে উভয় মন্ত্রী রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের বিষয়ে আলোচনা করেন। এ ছাড়া গতকাল মাহমুদ আলী চীনা ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াং কিশানের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads