• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮

প্রবাস

মালয়েশিয়ায় অভিবাসীরা ভয়াবহ সংকটে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৪ ডিসেম্বর ২০২০

মালয়েশিয়ার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হওয়া সত্ত্বেও বিদেশি অভিবাসী কর্মীদের আবাসন ব্যবস্থা হুমকির মুখে রয়েছে। দেশটিতে বসবাসরত ৯০ শতাংশেরও বেশি অভিবাসী চরম সংকটে রয়েছেন। চলমান করোনায় এই অবস্থা আরো ভয়াবহ হওয়ায় সৃষ্টি হয়েছে স্বাস্থ্যঝুঁকি। এমনটি বলছে মালয়েশিয়ার মানবাধিকার সংস্থা।

শ্রমিক নিয়োগদাতা আবাসন সরবরাহকারীদের অনুসন্ধানে যে তথ্য পাওয়া গেছে, গত ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত তা হচ্ছে, দেশে মোট প্রায় ১.৬ মিলিয়ন অভিবাসী কর্মীর মধ্যে মাত্র ৮.৮৯ শতাংশ আবাসন ব্যবস্থা সন্তোষজনক। আর বাকি ৯১.১ শতাংশ বা ১.৪ মিলিয়ন আবাসন ব্যবস্থা আইন লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে জানান মানবসম্পদ মন্ত্রী এম সারাভানান।

সংস্থা বলছে, মালয়েশিয়া ভুলে যায় দেশটির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার বিদেশি কর্মীরা। এই পরিস্থিতিতে মানবাধিকার সংস্থা (এনএসআই)-এর পাশাপাশি গভীর উদ্বেগ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রী এম সারাভানানও।

রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বারনামা জানিয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কুয়ালালামপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এম সারাভানান সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এ সময় সিনিয়র মন্ত্রী দাতোক সেরি ইসমাইল সাবরি ইয়াকুবও উপস্থিত ছিলেন।

দেশটির এনজিওভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা এনএসআই-এর নির্বাহী পরিচালক এড্রিয়ান পেরেরা চরম উদ্বেগ ও হতাশা প্রকাশ করে সংবাদ মাধ্যম ফোকাস মালয়েশিয়াকে জামান, মালয়েশিয়ানরা তাদের নিজেদের স্বার্থের কারণে ভুলে গেছে যে, অভিবাসী শ্রমিকরা এই দেশের জিডিপি বা অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা একটা অংশ।

‘দেশের অর্থনীতি, উন্নয়ন, সংস্কার ও সংস্কৃতি বিদেশিদের অবদান ভুলে গিয়ে আমরা কেবল তাদের অপরাধের সঙ্গে তুলনা করি। পরিসংখ্যানে দেখা যাবে সবচেয়ে কম অপরাধ করে বিদেশিরা। দেশটির রাষ্ট্রীয় ব্যাংক নেগারা যদি অর্থনৈতিক উৎসের জরিপ করে তাহলে বিদেশিদের সংখ্যাটা অনেক বড় হবে।’

এড্রিন পেরেরা আরো বলেন, অভিবাসী শ্রমিক নিয়োগকারীরা শ্রমিকদের ন্যূনতম মানদণ্ড মেনেও তাদের আবাসন ব্যবস্থা করেন না। ফলে তারা চরম অস্বাস্থ্যকর জনাকীর্ণ, নিরাপত্তাহীন, তীব্র গরমের মতো পরিবেশে মানবেতর জীবনযাপন করে।

মানবসম্পদ মন্ত্রী এম সারাভানান বলেন, দেশটিতে প্রায় ৯১.১% বা ১.৪ মিলিয়ন অভিবাসী কর্মীর আবাসন ব্যবস্থা ন্যূনতম স্ট্যান্ডার্ড বা মানদণ্ড মানা হয়নি যা খুবই উদ্বেগজনক। যা কিনা ১৯৯০ সালের আবাসন আইন-এর ৪৪৬ ধারার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads