• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন তিনজন

সংগৃহীত ছবি

বিদেশ

অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন তিনজন

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১১ অক্টোবর ২০২১

এ বছর অর্থনীতিতে নোবেল পেয়েছেন তিনজন। তারা হলেন- ডেভিড কার্ড, জোশুয়া ডি অ্যাংরিস্ট এবং গুইদো ডব্লিউ ইমবেন্স।

সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার দুপুরে এক অনুষ্ঠানে নোবেল কমিটি বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে। নোবেল পুরস্কারের অর্ধেক পাবেন ডেভিড কার্ড এবং বাকি অর্ধেক পাবেন অন্য দুই অর্থনীতিবিদ।
শ্রম অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ডেভিড কার্ড এবং কারণগত সম্পর্ক বিশ্লেষণে পদ্ধতিগত অবদানের জন্য বাকি দুই অর্থনীতিবিদ নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।

নোবেল কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘এ বছরের বিজয়ীদের কাজ সামাজিক বিজ্ঞানে পরীক্ষামূলক গবেষণায় বিপ্লব এনেছে এবং সবার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর দিতে গবেষকদের ক্ষমতাকে উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত করেছে।’

অ্যাংগ্রিস্ট ও ইমবেনসের কাজ প্রমাণ করেছে, প্রাকৃতিক পরীক্ষা থেকে কারণ ও প্রভাব সম্পর্কে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে। গবেষকদের মধ্যে যারা পর্যবেক্ষণমূলক তথ্য নিয়ে কাজ করেন, তাদের কাছে এ দুই অর্থনীতিবিদের তৈরি কাঠামো ব্যাপকভাবে গৃহীত।

ডেভিড কার্ড পুরস্কার পেয়েছেন শ্রম অর্থনীতিতে অবদানের জন্য। তার প্রাকৃতিক পরীক্ষা থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে জানা যায়, শ্রমবাজারের ওপর ন্যূনতম মজুরি, অভিবাসন ও শিক্ষার প্রভাব কতটুকু।
নোবেল কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘এ বছরের অর্থনৈতিক বিজ্ঞানে নোবেলজয়ীরা শ্রমবাজার সম্পর্কে আমাদের নতুন দৃষ্টিভঙ্গি দিয়েছেন এবং প্রাকৃতিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা থেকে কারণ ও প্রভাব সম্পর্কে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়, তা দেখিয়েছেন। তাদের দৃষ্টিভঙ্গি অন্যান্য ক্ষেত্রে ছড়িয়ে পড়েছে এবং পরীক্ষামূলক গবেষণায় বিপ্লব ঘটিয়েছে।’

গত বছর এই পুরস্কার পান দুই মার্কিন অর্থনীতিবিদ। তারা হলেন পল আর মিলগ্রোম এবং রবার্ট বি উইলসন। নিলাম তত্ত্বের উন্নতি এবং নতুন নিলাম পদ্ধতি আবিষ্কারের জন্য তারা এই সম্মানজনক পুরস্কারে ভূষিত হন।

এর মধ্য দিয়ে এ বছর ছয় ক্ষেত্র- চিকিৎসা, পদার্থ, রসায়ন, শান্তি, সাহিত্য ও অর্থনীতিতে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হলো।

১৯০১ সালে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাবিজ্ঞান, সাহিত্য ও শান্তিতে নোবেল পুরস্কারে গোড়াপত্তন ঘটলেও এ তালিকায় অর্থনীতি যুক্ত হয় ১৯৬৮ সালে। অর্থনীতিতে নোবেল দেয়া হচ্ছে ১৯৬৯ সাল থেকে।

১৯৬৮ সালে সুইডিশ কেন্দ্রীয় ব্যাংক সেভেরিজেস রিক্সব্যাংক ৩০০ বছর পূর্তিতে নোবেল ফাউন্ডেশনকে যে বিপুল অর্থ দান করে তা দিয়ে অর্থনীতিতে নোবেল প্রদান করা হবে বলে ঠিক করা হয়।

আলফ্রেড নোবেলের স্মরণে এই পুরস্কারের পুরো নাম রাখা হয় ‘দ্য সেভেরিজেস রিক্সব্যাংক প্রাইজ ইন ইকোনমিক সায়েন্সেস ইন মেমোরি অব আলফ্রেড নোবেল’।

পদার্থ, রসায়ন ও অর্থনীতিতে বিজয়ীর নাম ঘোষণা করে রয়্যাল ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স। রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি থেকে সাহিত্য এবং নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি শান্তিতে নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোষণা করে।

গত ৪ অক্টোবর চিকিৎসাবিজ্ঞানে বিজয়ীদের নাম ঘোষণার মাধ্যমে চলতি বছর নোবেল পুরস্কার দেওয়া শুরু হয়েছে। তাপমাত্রা ও স্পর্শের রিসেপ্টর আবিষ্কারের জন্য এবার চিকিৎসা বিজ্ঞানে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন ডেভিড জুলিয়াস এবং আর্ডেম প্যাটাপৌসিয়ান।

তাপমাত্রা ও স্পর্শের রিসেপ্টর আবিষ্কারের জন্য চলতি বছর চিকিৎসা বিজ্ঞানে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন ডেভিড জুলিয়াস এবং আর্ডেম প্যাটাপৌসিয়ান। অপরদিকে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন তিনজন। এরা হলেন জাপানি আবহাওয়াবিদ স্যুকুরো মানাবে, জার্মান পদার্থবিজ্ঞানী ক্লাউস হাসেলমান এবং ইতালিয়ান পদার্থবিদ জর্জিও পারিসি।

চলতি বছর রসায়নে নোবেল পেয়েছেন জার্মানির বেঞ্জামিন লিস্ট ও যুক্তরাষ্ট্রের ডেভিড ম্যাকমিলান। ‘অ্যাসাইমেট্রিক অর্গানোক্যাটালাইসিস’ নামে অণু তৈরির নতুন এক কৌশল আবিষ্কার করে এ সম্মাননা জিতে নিয়েছেন তারা।

এবার সাহিত্যে নোবেল পেয়েছেন তানজানিয়ার ঔপন্যাসিক আব্দুলরাজাক গুর্নাহ। প্যারাডাইস নামে তার চতুর্থ উপন্যাসের জন্য তিনি এ সম্মাননা পেয়েছেন। পূর্ব আফ্রিকার দ্বীপ জাঞ্জিবারে ১৯৪৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তানজানিয়ায় বেড়ে উঠলেও ১৯৬৮ সালে শিক্ষার্থী হিসেবে যুক্তরাজ্যে যান এই সাহিত্যিক। অবসর নেওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি ইউনিভার্সিটি অব কেন্টের অধ্যাপক ছিলেন। তিনি ওয়াসাফিরি নামের একটি জার্নালেও সহযোগী সম্পাদক হিসেবে কাজ করছেন।
এদিকে সর্বোচ্চ সম্মানজনক পুরস্কার অর্থাৎ নোবেল শান্তি পুরস্কার জিতেছেন ফিলিপাইনের সাংবাদিক মারিয়া রেসা এবং রাশিয়ার সাংবাদিক দিমিত্রি মুরাতভ। মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য দুঃসাহসিক লড়াইয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ তাদের এ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads