• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮

বাংলাদেশ

সন্ত্রাসীদের গুলিতে শিশু নিহত : বাবা হাসপাতালে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৬ এপ্রিল ২০১৮

নোয়াখালীর হাতিয়ার এক বাড়িতে সন্ত্রাসীদের হামলায় এক শিশু নিহত হয়েছে। ওই হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়েছে তার বাবা।  এ বিষয়ে হাতিয়া থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান সিকদার জানান, রোববার রাত ৮টার দিকে হাতিয়া পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে ওই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে।

ঘটনার বিবরনে জানা যায়, হাতিয়া পৌর এলাকার খবির মিয়ার বাজারে রোববার রাত ৯টার দিকে একদল সন্ত্রাসী অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। তাদের হামলায় রাশেদুল হক নান্টু ও শাহাদাৎ হোসেন আহত হন। সন্ত্রাসীদের ধাওয়া খেয়ে নীরবের বাবা মিরাজ উদ্দিন বাজারের নিকটবর্তী বেজুগালিয়া গ্রামে তাদের বাড়িতে আশ্রয় নেন। সন্ত্রাসীরাও তার পিছু নিয়ে বাড়িতে এসে এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকে। এ সময় নিরবের বাবা মেরাজ উদ্দিন গুলিবিদ্ধ হন। মিরাজ উদ্দিনের চিৎকারে তাকে বাঁচাতে নীরব ও তার মা শেফালী এগিয়ে এলে নীরবও গুলিবিদ্ধ হন। 

নিহত মিশকাতুর রহমান নীরব (১০) ওই এলাকার রহমানিয়া ফাজিল মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র বলে জানা গেছে। তার বাবা মিরাজ উদ্দিনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তারা বলেছেন, মিরাজ স্থানীয় পর্যায়ে ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতিতে জড়িত। দলের অন্য একটি পক্ষের সমর্থকদের সঙ্গে তার বিরোধ চলছিল বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। 

২০১৫ সালের ডিসেম্বরে হাতিয়া পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ইউছুফ আলী ও বিদ্রোহী প্রার্থী ছাইফ উদ্দিন আহমদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটে। পরে ভোটে জিতে মেয়র নির্বাচিত হন ইউছুফ।

গুলিবিদ্ধ মিরাজ হাসপাতালে সাংবাদিকদের জানান, ওই নির্বাচনে তিনি পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ছাইফ উদ্দিনের পক্ষে কাজ করেছিলেন। তখন থেকেই এমপি সমর্থকদের সঙ্গে তার বিরোধ চলছিল। মিরাজের অভিযোগ, ইউসুফ আলীর মদদে ২০ থেকে ৩০ জন সন্ত্রাসী রাতে তার বাড়িতে এসে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এ সময় তিনি ও নীরব গুলিবিদ্ধ হন।

দুজনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পর সেখানে চিকিৎসক নীরবকে মৃত ঘোষণা করেন। হাতিয়ার ওসি কামরুজ্জামান বলেন, নীরবের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। মিরাজের অভিযোগ পুলিশ খতিয়ে দেখছে। 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads