• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
গ্রাহকের ৯০ লাখ টাকা ফেরত দিলো কিউকম

সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশ

গ্রাহকের ৯০ লাখ টাকা ফেরত দিলো কিউকম

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৬ জানুয়ারি ২০২২

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান কিউকম পেমেন্ট গেটওয়ে ফস্টারে আটকে থাকা টাকা গ্রাহকের ফেরত দিচ্ছে। গত সোমবার ও গতকাল মঙ্গলবার দুই দিনে দুই দিনে ৫৩ গ্রাহকের তাদের অর্ডারের বিপরীতে ৯০ লাখ ৪৮ হাজার ৮২৮ টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে।

বর্তমানে পেমেন্ট গেটওয়ে ফস্টারের কাছে কিউকমের আটকা পড়ে আছে ৩৯৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে গ্রাহকদের অন্তত ১৬৬ কোটি টাকা রয়েছে, যার বিপরীতে পণ্য ডেলিভারি করেনি ই-কমার্স কোম্পানিটি। এতদিন ফস্টারের জব্দ অ্যাকাউন্টে এসব টাকা আটকে ছিল।

ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে এ টাকা গ্রাহকের কাছে অনলাইনে পেমেন্টে দেয়া হচ্ছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে, যৌথ সমঝোতার ভিত্তিতে কিউকম ও ফস্টার কর্পোরেশনের চিহ্নিত তালিকা থেকে এখন পর্যন্ত ৬৪ লেনদেনের বিপরীতে গ্রাহককে এই পরিমাণ টাকা ফেরত দেয়া হয়।

গত সোমবার বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ চিহ্নিত গ্রাহকদের পাওনা টাকা ছাড়ের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ার উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধনী দিনে ২০ গ্রাহকের অর্ডারের বিপরীতে ৪০ লাখ ২ হাজার ৪২৩ টাকা ছাড় করা হয়েছিল। দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার ছাড় করা হয় ৩৩ গ্রাহকের টাকা।

গত ২৮ ডিসেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জরুরি সভার সিদ্ধান্তে যেসব গ্রাহক অগ্রিম মূল্য পরিশোধ করেও পণ্য পাননি, কিউকম ও ফস্টারকে ১০ জানুয়ারির মধ্যে তার একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা মন্ত্রণালয়ের ডিজিটাল কমার্স সেলে জমার নির্দেশনা দেয়া হয়।

নির্দেশনায় ফস্টার করপোরেশন লিমিটেড এবং কিউকম যৌথভাবে যেসব অর্ডারের বিপরীতে কোনো পণ্য সরবরাহ করা হয়নি, অথচ গ্রাহকের পরিশোধিত টাকা ফস্টারে আটকে আছে, তার একটি প্রাথমিক ও আংশিক তালিকা মন্ত্রণালয়ের কাছে দেয়।

তালিকায় বলা হয়, ৬ হাজার ৭২১টি অর্ডারের বিপরীতে গ্রাহকরা পাবেন ৫৯ কোটি ৫ লাখ ১০ হাজার ৩৪৭ টাকা। বাকি গ্রাহকদের অর্ডার ও এর সঙ্গে টাকার পরিমাণ উভয় পক্ষই যাচাই-বাছাই করে দেখছে। যা চূড়ান্ত হলে আবারও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এ প্রসঙ্গে ডিজিটাল ই-কমার্স সেল প্রধান ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য ও আমদানি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গত সোমবার আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গ্রাহকদের টাকা ছাড়ের যে প্রক্রিয়া শুরু হয় তার সম্পূর্ণ পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। পর্যায়ক্রমে তালিকাভুক্ত অন্য গ্রাহকও আগামী কয়েক দিনের মধ্যে তাদের টাকা ফেরত পাবেন বলেই আশা করছি।’

অর্ডার নিয়েও পণ্য ডেলিভারি না দেয়ায় গত অক্টোবরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন এক গ্রাহক। সে মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে এখন কারাগারে আছেন প্রতিষ্ঠানটির সিইও রিপন মিয়া এবং প্রধান বিপণন ও জনসংযোগ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির ওরফে আরজে নিরব।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads