মুন্সিগঞ্জের সদর উপজেলার রিকাবী বাজার শাহজালাল স্টোর হতে ২০০০ লিটার সয়াবিন তেল উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় ওই স্টোরকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া মুক্তারপুরে লক্ষী স্টোরকে ৫০০০ টাকা, সাইদ স্টোরকে ৫০০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
শুক্রবার ১৩ ই মে সকাল ১০টার দিকে মুন্সিগঞ্জের সদর উপজেলার রিকাবী বাজার ও মুক্তারপুর এলাকায় অভিযান চালায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
সকাল দশটা থেকে দেড়টা পর্যন্ত অভিযানে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের লোকজন দেখতে পায় ওই সমস্ত দোকানগুলোতে পুরনো দামের তেল মার্কেটে না ছেড়ে স্টক করে রাখা রেখেছে। রমজান মাসের তেল ও আরো আগের তেলও গুদামে মজুদ করে রাখা হয়েছে। বোতল খুলে খোলা হিসেবে বেশি দামে তেল বিক্রি করেছে। গায়ের মূল্য ঘষে তুলে ফেলা হয়েছে।
এ সময় রিকাবীবাজারের শাহজালাল স্টোরে থেকে ২০০০ লিটার তেল উদ্ধার করে উপস্থিত ক্রেতাদের মধ্যে বোতলের গায়ের দামে দাড়িয়ে থেকে বিক্রি করে ভোক্তা অধিকারের লোকজন। অন্য দুই দোকান হতে ১০০ লিটার তেল উদ্ধার ও বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়।
অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসিফ আল আজাদ।
তিনি বলেন, মিরকাদিম ও মুক্তারপুর এলাকার তিনটি প্রতিষ্ঠান পুরনো দামের তেল মার্কেটে না ছেড়ে স্টক করে রেখেছিল। রমজান মাসের তেল ও আরো আগের তেলও গুদামে মজুদ করে রাখা হয়েছিল। বোতল খুলে খোলা হিসেবে বেশি আমে বিক্রি করেছিল। গায়ের মূল্য ঘষে তুলে ফেলা হয়েছিল। রিকাবী বাজারের সুধু শাহজালাল স্টোর থেকে ২০০০ লিটার তেল উদ্ধার করা হয়েছে। পরে তা বোতলের গায়ের দামে দাড়িয়ে থেকে ক্রেতাদের মধ্যে বিক্রি করে দেয়া হয়। অন্য দুই দোকানে ১০০ লিটার তেল উদ্ধার ও বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়।
এ সময় মুন্সীগঞ্জ সদর থানা পুলিশ ব্যাটালিয়ন আনসার ও সরকারের দুইটি বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থা অভিযানে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেন।