• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
অতিমূল্যায়িতের পর ধস নেমেছে বীমার শেয়ারদরে

সংগৃহীত ছবি

পুঁজিবাজার

অতিমূল্যায়িতের পর ধস নেমেছে বীমার শেয়ারদরে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২২ মার্চ ২০২১

অগ্রণী ইনস্যুরেন্সের শেয়ারের দর গত জুনে ছিল ১৭ টাকা ৬০ পয়সা। এরপর থেকে দাম বাড়তে বাড়তে উঠে যায় ৪৬ টাকা ৬০ পয়সায়। দাম আরো বাড়বে-এমন গুজবে বিনিয়োগকারীরাও ব্যাপকভাবে কিনতে থাকেন শেয়ার। তবে জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ থেকে দর হারাতে থাকে কোম্পানিটি। গত বৃহস্পতিবার এর দাম ছিল ৩৩ টাকা ২০ পয়সা। তবে এই শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের চেয়ে বেশি লোকসানে আছেন পাইওনিয়ার ইনস্যুরেন্সের বিনিয়োগকারীরা।

গত ১৪ জুলাই শেয়ারটির দাম ছিল ২৯ টাকা ৭০ পয়সা। এরপর লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে সাড়ে তিন গুণ হয়ে যায়। অক্টোবরের শেষে ১০০ টাকাও ছাড়িয়ে যায় দাম। কিন্তু এরপর হয় পতন। সেদিন যারা শেয়ারটি কিনেছেন, তাদের প্রায় অর্ধেক টাকা নাই হয়ে গেছে। শেয়ারটির সবশেষ দাম ৫৮ টাকা ৩০ পয়সা। প্যারামাউন্ট ইনস্যুরেন্সে যা ঘটেছে, সেটা বিস্ময়কেও হার মানায়। বছর দুয়েক আগে যে কোম্পানির শেয়ার ১৫ টাকার নিচে বিক্রি হয়েছে, সে কোম্পানির শেয়ার নিয়ে নানা গুজব ডালপালা মেলার পর গত অক্টোবরে ১৬০ টাকা ছাড়িয়ে যায়। কোম্পানিটি ব্যাপক মুনাফা করবে, ভালো লভ্যাংশ দেবে-এমন কথা প্রচলিত থাকলেও এর কোনোটাই সত্য প্রমাণ হয়নি। আর দাম কমতে কমতে এখন দাঁড়িয়েছে ১০৬ টাকা। দুই বছর আগে প্যারামাউন্ট ইনস্যুরেন্সের শেয়ারের সর্বনিম্ন দাম ছিল ১৩ টাকা ৯০ পয়সা। সেটি বাড়তে বাড়তে একপর্যায়ে ১৬০ টাকা ছাড়িয়ে যায়। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৪৯টি বীমা কোম্পানির মধ্যে সাধারণ বীমার ৩৭টি কোম্পানির সব কটির শেয়ারের ক্ষেত্রেই এ ঘটনা ঘটেছে। কোনো কোম্পানির শেয়ারের দর বেড়ে তিন গুণ হয়েছে, কোনোটির চার গুণ, কোনোটির পাঁচ গুণ। নানা সময় পুঁজিবাজারে কোনো একটি খাতের শেয়ার নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আগ্রহ জন্মায়। কিন্তু এ রকম উল্লম্ফন ২০১০ সালে মহাধসের আগেও কোনো খাত নিয়ে দেখা যায়নি। বীমা খাতে ব্যাপক সংস্কার হচ্ছে, সরকারি বড় প্রকল্প বীমার আওতায় আসছে-এমন কথা ছড়ানোর পাশাপাশি ১০ বছর আগের একটি বিধানকে সামনে এনে প্রলুব্ধ করা হয় বিনিয়োগকারীদের। পরিশোধিত মূলধনের ৬০ শতাংশ উদ্যোক্তাদের হাতে রাখতে হবে বলে এক দশক আগেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। তবে নানা কারণে সেটি হয়নি। আর সম্প্রতি বীমা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এক মাসের মধ্যে এই কোটা পূরণ করতে হবে। তবে মাস দুয়েক ধরে এসব কোনো কথাতেই কাজ হচ্ছে না। আগে যেসব যাচাই-বাছাই ছাড়া সব কোম্পানির শেয়ারের দর বেড়েছে, তেমনি এখন উল্টোযাত্রায় দর হারাচ্ছে সব কোম্পানি। এমনকি যারা ভালো মুনাফা করে লভ্যাংশ দিয়েছে ভালো, তারাও দর ধরে রাখতে পারছে না।

এক বছর আগে এশিয়া ইনস্যুরেন্সের শেয়ারের দাম ছিল ১৩ টাকা। সেটি বাড়তে বাড়তে ১৩৮ টাকা ছাড়িয়ে যায়। বেশ কিছু সিদ্ধান্তের ভুল ব্যাখ্যায় আগ্রহ বাড়ে বীমা খাতে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম বীমা খাত নিয়ে উচ্ছ্বাস দেখান। সেখান থেকে শুরু। এরপর যানবাহনের তৃতীয় পক্ষের বীমাব্যবস্থা বাতিল করার পর প্রচার হয় যে, এখন সব গাড়ির প্রথম পক্ষের বীমা করতে হবে। তৃতীয় পক্ষের চেয়ে প্রথম পক্ষের বীমায় প্রিমিয়াম অনেক বেশি। বলা হয়, এ কারণে বীমার বাজার আরো বড় হচ্ছে। কিন্তু পরে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রথম পক্ষের বীমা বাধ্যতামূলক করা হয়নি। পরে বীমা নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানায়, সাধারণ বীমার ক্ষেত্রে প্রিমিয়াম সংগ্রহে এজেন্টকে সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ কমিশন দেওয়া যাবে। পরে এজেন্ট ব্যয় একেবারেই তুলে দেওয়া হয়। তখনো ছড়ানো হয়, কোম্পানির আয় বাড়বে বহুগুণ। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা পরে সংশয় প্রকাশ করেন যে, এজেন্ট ব্যয় না করলে বীমা কোম্পানির পলিসি কমে যাবে কি না। আবার বলা হয়, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেলের মতো বড় বড় প্রকল্প বীমার আওতায় আসছে। এগুলোর ঝুঁকি একেবারেই কম তাই কোম্পানির লাভ হবে ভালো। তবে পরে জানানো হয়, মেট্রোরেল সরকারি সাধারণ বীমা করপোরেশনের আওতায় থাকবে। এটি পুঁজিবাজার তালিকাভুক্ত নয়। সব শেষে পরিশোধিত মূলধনের ৬০ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে রাখার বিষয়ে নির্দেশনা জারির পর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের-ডিএসইর পক্ষ থেকে বিনিয়োগকারীদের সাবধান করা হয়। এর মধ্যে আবার বীমা নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ আইডিআরএ চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে ঘুষ দাবির অভিযোগ ওঠে। ডেল্টা লাইফের শীর্ষ কর্তাব্যক্তিরা সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ আনার পর দুর্নীতি দমন কমিশনের কাছে অভিযোগও পাঠানো হয়। এরপর ডেল্টা লাইফে বসানো হয় প্রশাসক। যারা ঘুষ দাবির অভিযোগ করেছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন আইডিআরএ চেয়ারম্যান। পরে দুদকে জমা দেওয়া অভিযোগ তুলেও নেওয়া হয়। কিন্তু এসব ঘটনায় বিনিয়োগকারীদের আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরে। এমটিবি ক্যাপিটাল লিমিটেডের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস-প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী খায়রুল বাশার মোহাম্মদ আবু তাহের বলেন, ‘বীমা খাত নিয়ে সে সময় যেভাবে বিনিয়োগকারীরা আগ্রহী ছিলেন, বাস্তবে তা ছিল না। ফলে যেভাবে শেয়ারের দর বেড়েছে তা টেকেনি।’ তিনি বলেন, ‘আইডিআরএর অনেকগুলো সিদ্ধান্ত পুঁজিবাজারকে প্রভাবিত করেছে। তবে বিনিয়োগকারীদের সে সময় সচেতন হয়ে বিনিয়োগ করা উচিত ছিল। এ ছাড়া যেভাবে দর বেড়েছিল তাতে মূল্য সংশোধন হওয়ার পর আর সেখানে বিনিয়োগ হয়নি। ফলে দরও বাড়েনি।’ ব্র্যাক ইপিএলের গবেষণা বিভাগের সাবেক প্রধান দেবব্রত কুমার সরকার বলেন, ‘বীমা নিয়ে সে সময় একটি কারসাজি হয়েছিল। আর তার কারণেই যতটুকু বাড়ার কথা ছিল তার চেয়ে বেশি বেড়েছে। বিনিয়োগকারীরা মূলত দর বাড়লেই বেশি শেয়ার কিনতে আগ্রহী হন। এ জন্যই লোকসানটি বেশি হয়েছে।’ স্ট্যান্ডাড ইনস্যুরেন্স লিমিটেডের সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কোম্পানির সেক্রেটারি মুহাম্মদ কাউসার মুন্সি বলেন, ‘সাধারণ বীমা কোম্পানির প্রিমিয়াম সংগ্রহের ক্ষেত্রে এজেন্টকে সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ কমিশন দিলে কোম্পানির আয় বাড়বে, এটাও সত্য। কিন্তু এর কারণেই শেয়ারদর বাড়বে এটা ভাবা ঠিক নয়।’ পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৪৯টি বীমা কোম্পানির মধ্যে সাধারণ বীমার ৩৭টি কোম্পানিরই ব্যাপক দরপতন হয়েছে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে এখন ১৮ মার্চ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৫৬ শতাংশ দর হারিয়েছে গ্লোবাল ইনস্যুরেন্স। ৫০ শতাংশের ওপরে দর হারিয়েছে আরো তিন থেকে চারটি কোম্পানি। অগ্রণী ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৪৬ টাকা ৫০ পয়সা। সেটি কমে এখন দাঁড়িয়েছে ৩৩ টাকা ২০ পয়সা। কোম্পানিটি শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ২৮.৬০ শতাংশ। এশিয়া ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ১৩৮ টাকা ৯০ পয়সা। সেটি এখন কমে দাঁড়িয়েছে ৯৪ টাকায়। শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ৩২.৩২ শতাংশ। এশিয়া প্যাসিফিক ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৯২ টাকা ৮০ পয়সা। সেটি এখন কমে দাঁড়িয়েছে ৫০ টাকা ৯০ পয়সা। শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ৪৫.১৫ শতাংশ। বিজিআইসির দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৪৬ টাকা ৫০ পয়সা। সেটি এখন কমে দাঁড়িয়েছে ৩৭ টাকা ৮০ পয়সা। শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ১৮.৭০ শতাংশ। বিএনআইসিএলের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৭৫ টাকা ৯০ পয়সা। সেটি এখন কমে দাঁড়িয়েছে ৩৭ টাকা ৮০ পয়সা। শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ৫০.১৯ শতাংশ। সেন্ট্রাল ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৬৭ টাকা ৪০ পয়সা। সেটি এখন কমে হয়েছে ৫৮ টাকা ৩০ পয়সা। শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ১৩.৫০ শতাংশ। সিটি জেনারেল ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৩৫ টাকা ৮০ পয়সা। সেটি এখন কমে দাঁড়িয়েছে ২৩ টাকায়। শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ৩৫.৪৭ শতাংশ। কন্টিনেন্টাল ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৬৪ টাকা ৯০ পয়সা। সেটি এখন কমে দাঁড়িয়েছে ৩০ টাকা ৩০ পয়সায়। শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ৫৩.৯৮ শতাংশ। ক্রিস্টাল ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৫৭ টাকা ৫০ পয়সা। সেটি এখন কমে দাঁড়িয়েছে ৩৪ টাকা ১০ পয়সা। শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ৪০.৬৯ শতাংশ। ঢাকা ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৬১ টাকা ৫০ পয়সা। সেটি এখন কমে দাঁড়িয়েছে ৩৯ টাকা ৮০ পয়সা। শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ৩৫.২৮ শতাংশ। ইস্টার্ন ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ১১৯ টাকা ৮০ পয়সা। সেটি এখন কমে দাঁড়িয়েছে ৯০ টাকায়। কোম্পানিটি শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ২৪.৮৭ শতাংশ। ইস্টল্যান্ড ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৪৩ টাকা ৮০ পয়সা। সেটি এখন কমে দাঁড়িয়েছে ২৭ টাকা ৩০ পয়সায়। শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ৩৭.৬৭ শতাংশ। এক্সপ্রেস ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৪৫ টাকা ৯০ পয়সা। সেটি এখন কমে দাঁড়িয়েছে ২৪ টাকা ৩০ পয়সা। শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ৪৭.০৫ শতাংশ। ফেডারেল ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৩০ টাকা ৯০ পয়সা। সেটি এখন কমে হয়েছে ১৮ টাকা। শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ৪১.৭৪ শতাংশ। গ্লোবাল ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৬৯ টাকা ৫০ পয়সা। সেটি এখন কমে দাঁড়িয়েছে ৩০ টাকা ২০ পয়সা। শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ৫৬.৫৪ শতাংশ। গ্রিনডেল্টা ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৭৩ টাকা ৪০ পয়সা। সেটি এখন কমে দাঁড়িয়েছে ৫৫ টাকা ৭০ পয়সা। শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ২৪.১১ শতাংশ। ইসলামী ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৪৭ টাকা ৭০ পয়সা। সেটি এখন কমে দাঁড়িয়েছে ৩৬ টাকা ৫০ পয়সা। শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ২৩.৪৮ শতাংশ। জনতা ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৪৪ টাকা। সেটি এখন কমে দাঁড়িয়েছে ২৮ টাকা। শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ৩৬.৩৬ শতাংশ। কর্ণফুলী ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৩৮ টাকা ৮০ পয়সা। সেটি এখন কমে হয়েছে ২৬ টাকা ৪০ পয়সা। শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ৩১.৯৫ শতাংশ। মার্কেন্টাইল ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৫২ টাকা ৪০ পয়সা। সেটি এখন কমে হয়েছে ৩১ টাকা। শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ৪০.৮৩ শতাংশ। নিটোল ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৭৬ টাকা ৮০ পয়সা। সেটি এখন কমে দাঁড়িয়েছে ৪০ টাকা ৩০ পয়সা। শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ৪৭.৫২ শতাংশ। নর্দার্ন ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৫৩ টাকা ৫০ পয়সা। সেটি এখন কমে দাঁড়িয়েছে ২৯ টাকা ৯০ পয়সা। শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ৪৪.১১ শতাংশ।

প্যারামাউন্ট ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ১৬১ টাকা ৩০ পয়সা। সেটি এখন কমে হয়েছে ১০৬ টাকা। শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ৩৪.২৮ শতাংশ।

পিপলস ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৫৭ টাকা। সেটি এখন কমে হয়েছে ৩২ টাকা ৫০ পয়সা। শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ৪২.৯৮ শতাংশ। ফিনিক্স ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৫০ টাকা ৫০ পয়সা। সেটি এখন কমে হয়েছে ৩২ টাকা। শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ৩৬.৬৩ শতাংশ।

পাইওনিয়ার ইনস্যুরেন্সের শেয়ারের দাম গত জুলাইয়ে দাম ৩০ টাকা ছিল। পরে তা ১০০ টাকা ছাড়িয়ে যায়। এখন ৬০ টাকার নিচে নেমে যায়।

পাইওনিয়ার ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ১০০ টাকা ৪০ পয়সা। সেটি এখন কমে হয়েছে ৫৮ টাকা ৩০ পয়সা। শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ৪১.৯৩ শতাংশ।

প্রগতি জেনারেল ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৭৬ টাকা ৯০ পয়সা। সেটি এখন কমে দাঁড়িয়েছে ৪৭ টাকা। শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ৩৮.৮৮ শতাংশ।

প্রাইম ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৫৫ টাকা ৪০ পয়সা। সেটি এখন কমে দাঁড়িয়েছে ২৯ টাকা। শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ৪৭.৬৫ শতাংশ।

প্রভাতী ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ১০২ টাকা ৭০ পয়সা। সেটি এখন কমে দাঁড়িয়েছে ৭১ টাকা ৬০। শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ৩০.২৮ শতাংশ।

পূরবী জেনারেল ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৩৯ টাকা ৪০ পয়সা। সেটি এখন কমে দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা ২০। শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ৪৩.৬৫ শতাংশ।

রিলায়েন্স ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৭৩ টাকা ৪০ পয়সা। সেটি এখন কমে দাঁড়িয়েছে ৫৪ টাকা ১০ পয়সা। শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ২৬.২৯ শতাংশ।

রিপাবলিক ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৬২ টাকা ১০ পয়সা। সেটি এখন কমে দাঁড়িয়েছে ৪৩ টাকা ৪০। শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ৩০.১১ শতাংশ।

রূপালী ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৪৮ টাকা ৫০ পয়সা। সেটি এখন কমে হয়েছে ২৮ টাকা ৫০ পয়সা। শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ৪১.২৩ শতাংশ।

সোনারবাংলা ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৭১ টাকা ৩০ পয়সা। সেটি এখন কমে হয়েছে ৪২ টাকা ১০ পয়সা। কোম্পানিটি শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ৪০.৯৫ শতাংশ।

স্ট্যান্ডার্ড ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৩৯ টাকা ৩০ পয়সা। সেটি এখন কমে হয়েছে ২৪ টাকা ৩০ পয়সা। কোম্পানিটি শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ৩৮.১৬ শতাংশ। তাকাফুল ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৫৫ টাকা। সেটি এখন কমে দাঁড়িয়েছে ৪০ টাকা ৭০ পয়সা। কোম্পানিটি শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ২৬ শতাংশ।

ইউনাইটেড ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৬৩ টাকা ৮০ পয়সা। সেটি এখন কমে দাঁড়িয়েছে ৩৯ টাকা ৯০ পয়সা। শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ৩৭.৪৬ শতাংশ। ইস্টার্ন ইনস্যুরেন্সের শেয়ারের দাম গত জুলাইয়ে ৩০ টাকায় লেনদেন হওয়া শেয়ারের দর এক পর্যায়ে ১২০ টাকা ছুঁই ছুঁই হয়ে যায়। পরে দাম কমে ৯০ টাকার আশপাশে হয়।

ডেল্টা লাইফ ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৯০ টাকা। সেটি এখন কমে দাঁড়িয়েছে ৬৭ টাকা ৯০ পয়সা। শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ২৪.২৫ শতাংশ।

ফারইস্ট লাইফ ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৬০ টাকা ৯০ পয়সা। সেটি এখন কমে দাঁড়িয়েছে ৪০ টাকা ১০ পয়সা। শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ৩৪.১৫ শতাংশ।

মেঘনা লাইফ ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৭৮ টাকা ৮০ পয়সা। সেটি এখন কমে দাঁড়িয়েছে ৫৬ টাকা ৪০ পয়সা। শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ২৮.৪২ শতাংশ।

ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ২৮০ টাকা। সেটি এখন কমে দাঁড়িয়েছে ২৪০ টাকা। শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ১৪.২৮ শতাংশ।

পদ্মা লাইফ ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ২৫ টাকা ৭০ পয়সা। সেটি এখন কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ৬০ পয়সায়। শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ২৭.৬২ শতাংশ।

প্রগতি লাইফ ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ১৪৩ টাকা ২০ পয়সা। সেটি এখন কমে হয়েছে ৮৮ টাকা ৩০ পয়সা। শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ৩১.৩৫ শতাংশ।

প্রাইম লাইফ ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৬৮ টাকা। সেটি এখন কমে হয়েছে ৪৮ টাকা ৫০ পয়সা। শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ২৮.৬৭ শতাংশ।

রূপালী লাইফ ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৭২ টাকা ৯০ পয়সা। সেটি এখন কমে দাঁড়িয়েছে ৪৪ টাকা ৫০ পয়সা। শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ৩৮.৯৫ শতাংশ।

সন্ধানী লাইফ ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৩৯ টাকা ৩০ পয়সা। সেটি এখন কমে হয়েছে ২৪ টাকা ৩০ পয়সায়। শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ৩৮.১৬ শতাংশ।

সানলাইফ ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ২৬ টাকা। সেটি এখন কমে হয়েছে ২০ টাকা ৪০ পয়সা। শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ২১.৫৩ শতাংশ।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads