• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪২৯
ব্রোকারেজ হাউসের কর্মকাণ্ড খতিয়ে দেখবে বিএসইসি

ফাইল ছবি

পুঁজিবাজার

ব্রোকারেজ হাউসের কর্মকাণ্ড খতিয়ে দেখবে বিএসইসি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৭ মে ২০২১

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সদস্যভুক্ত ট্রেকহোল্ডারদের (ব্রোকারেজ হাউস) অধিকাংশ যথাযথ দায়িত্ব পালন করছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। ওই অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করতে ট্রেকহোল্ডারদের ভূমিকা যাচাই করবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

এরই ধারাবাহিকতায় ডিএসইর সদস্যভুক্ত ২৩৬টি ট্রেকহোল্ডারের বিগত ৩ বছরের কার্মকাণ্ডের তথ্য চাওয়া হয়েছে। মূলত নিষ্ক্রিয় ট্রেকহোল্ডার চিহ্নিত করে তাদেরকে সক্রিয় করতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

সম্প্রতি ডিএসইর ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছে বিএসইসি। ওই চিঠি পাওয়ার ৭ দিনের মধ্যে এ সংক্রান্ত তথ্য কমিশনে দাখিল করতে বলা হয়েছে।

জানা গেছে, ডিএসইতে সদস্যভুক্ত মোট ট্রেকহোল্ডারদের সংখ্যা ২৫০টি। এর মধ্যে ৪টি ট্রেকহোল্ডার শুরু থেকেই নিষ্ক্রিয়। আর ১০টি ট্রেকহোল্ডার শেয়ারবোজারে লেনদেন করে না। বাকি ২৩৬টি ট্রেকহোল্ডারদের মধ্যে শেয়ারবাজারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে ২০টি। এছাড়া বাকি ২১৬টি ট্রেকহোল্ডারদের মধ্যে অনেকেই যথাযথ দায়িত্ব পরিপালন করছে না।

বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, যেসব ট্রেকহোল্ডার সঠিকভাবে কাজ করছে না, তাদের বুঝিয়ে কাজে ফেরানো হবে। না হলে তাদেরকে বিকল্প চিন্তা করার কথা বলা হবে। তাই সব ট্রেকহোল্ডার কী কাজ করছে তা জানতেই, বিগত ৩ বছরের কর্মকাণ্ডের তথ্য চাওয়া হয়েছে। এছাড়া ডিএসইতে নতুন ট্রেকের জন্য অনেক প্রতিষ্ঠানের আবেদন পড়েছে। তাই নতুনদের ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট বা ট্রেক সার্টিফিকেট দেওয়ার আগে পুরনোগুলোর কার্যক্রমের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হবে। তারপরই নতুন ট্রেকহোল্ডার অনুমোদন দেওয়া হবে।

এসব কার্যক্রম আগে করা হতো না। কিন্তু এখন কে কী করছে তা দেখার জন্য কমিশন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এটা নিয়মিত কাজের অংশ বলে জানিয়েছে বিএসইসি। বিশেষ করে গত তিন বছরে সংশ্লিষ্ট ট্রেকহোল্ডার কী পরিমাণ শেয়ার কেনা-বেচা করেছে, এভারেজ ট্রেড ভলিউমের পরিমাণ কতসহ বিভিন্ন ফান্ডামেন্টাল ইনফরমেশন যাচাই করবে কমিশন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা ডিএসইর কাছে ২৩৬টি ট্রেকহোল্ডারের কার্যক্রমের সার্বিক অবস্থা জানতে চেয়েছি। কারণ কমিশন দেখতে চায়, ট্রেকহোল্ডাররা সঠিকভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করছে কি না। নিষ্ক্রিয় ট্রেকহোল্ডারদের সক্রিয় করতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এদিকে ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্বে) ও প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) মো. আব্দুল মতিন পাটোয়ারী বলেন, ২৩৬টি ট্রেকহোল্ডারের বিগত ৩ বছরের কার্মকাণ্ডের তথ্য চাওয়া হয়েছে। এটা নিয়ে আমরা কাজ করছি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads