‘আমার খুব কষ্ট লাগে, অনেক বিনিয়োগকারী ভয় পেয়ে লস করছে। এখানে (পুঁজিবাজারে) কিন্তু ভয় পাওয়ার কারণ নেই। ইনশাল্লাহ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মার্কেট অনেক সুস্থ হবে। ও অনেক ভালো হবে।’
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম এসব কথা বলেন। গত শনিবার নিজের ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এই বক্তব্য তুলে ধরেন তিনি। করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে দেশে কঠোর লকডাউন চলছে। লকডাউন চলাকালে ব্যাংকের মতো পুঁজিবাজারেও সপ্তাহে তিন দিন লেনদেন বন্ধ থাকবে। শনিবার ছিল ছুটির দিন। এই ছুটির দিনেও বিনিয়োগকারীদের নিয়ে ভাবছেন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। আর তার ভাবনার বিষয়টি ফেসবুক পোস্টে উঠে এসেছে।
পোস্টে বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, আমরা মার্কেটকে ফ্রি ফ্লো দিতে চাই। মার্কেটই মার্কেটকে নিয়ন্ত্রণ করবে। বিনিয়োগকারীদের এখানে বুঝতে হবে, আমি যখন আতঙ্কিত হয়ে শেয়ার বিক্রি করি, এর ক্রেতা কে? ক্রেতা যেহেতু আছে, তাহলে আমি কেন বিক্রি করছি লস করে? অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম লেখেন, অমি একটু অপেক্ষা করতে পারি। অপেক্ষা করে সময়মতো বিক্রি করবো লাভে। এই মার্কেট লং টার্ম ইনভেস্টমেন্টের জায়গা এবং এখানে কিনে লসে বিক্রি করার কথা না। আপনাকে কেন অন্যের কথায় বা একটা সিচুয়েশনে আজকেই বিক্রি করতে হবে। এই আজকেই বিক্রি করতে হবে শেয়ার প্রাইস কমলে, এই বিষয়টা হয়ে গেছে ইনডেক্স মাঝে মাঝে পড়ে যাওয়ার একটি কারণ। বিএসইসি চেয়ারম্যান আরো লেখেন, একটু ধৈর্য ধারণ করতে হবে। আর যাদের মার্জিন লোনের কারণে ফোর্স সেল হচ্ছিল, তাদের জন্য আমরা মার্জিন বাড়িয়ে দিয়েছি। সুতরাং ফোর্স সেলের ভয় নেই। তাই পেনিক সেল না হলেই হলো এখন। মার্কেট ভালো হবেই ইনশাল্লাহ। তার পোস্টের নিচে ওইদিন বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ২৪২টি কমেন্টস পড়েছে। অধিকাংশ মন্তব্যে বিএসইসি চেয়ারম্যানকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে। সাইফ উদ্দিন নামে একজন লিখেছেন, ধন্যবাদ স্যার, আপনার সময়োপযোগী এবং দিকনির্দেশনামূলক পরামর্শের জন্য। আমরা স্যারের নির্দেশনা মেনে বিনিয়োগ করি এবং নিরাপদ থাকি।
আব্দুল্লাহ আল জুবায়ের লিখেছেন, কিছু ব্রোকারেজ হাউস আছে ১:.০৮-এর জায়গায় ১:৩/৪ লোন দিয়ে আবার ইকুইটি মাইনাস হওয়ার অনেক আগে লোন এডজাস্ট করে সেল প্রেসার তৈরি করে, তাদের বিরুদ্ধে কিছু করা উচিত। নাসির উদ্দিন ফয়সাল প্রতি মাসের ১-৫ তারিখের মধ্যে সব কোম্পানির শেয়ার হোল্ডিং আপডেট ডিএসইর ওয়েবসাইটে দেওয়ার অনুরোধ করেন। আর শরিফুল ইসলাম মার্কেটের মতো অ্যাপসের অবস্থার উন্নতি আশা করেন। সঙ্গে ওয়েবসাইটেরও।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের নেতৃত্বাধীন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর পুঁজিবাজারের জন্য বেশকিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করেছেন, যা বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে কাজ করছে। কিন্তু সম্প্রতি একদিনে সূচক ১০০ পয়েন্ট কমে যাওয়ায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। এই বক্তব্য তুলে ধরার ফলে বাজারে বিনিয়োগ করতে বিনিয়োগকারী সাহস পাবেন।