• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯
লকডাউনে ফেরিঘাটে যানবাহন ও মানুষের ঢল

সংগৃহীত ছবি

যোগাযোগ

লকডাউনে ফেরিঘাটে যানবাহন ও মানুষের ঢল

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ০৮ মে ২০২১

ঈদুল ফিতরের বাকি নেই এক সপ্তাহও। এদিকে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে মাসখানেক ধরে চলছে দেশজুড়ে লকডাউন। বন্ধ রয়েছে এক জেলা থেকে আরেক জেলায় গণপরিবহন চলাচল। তারপরও প্রিয়জনের সাথে ঈদ করতে রাজধানী ছেড়ে গ্রামের বাড়ি রওনা হয়েছেন হাজারো মানুষ। মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ও মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরিঘাটে মানুষের ঢল দেখে বোঝার উপায় নেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে অনেকটাই বিপর্যস্ত দেশ।

বাংলাদেশের খবর-র মানিকগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে মানুষ ও যানবাহনের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। তবে ব্যক্তিগত যানের সংখ্যাই ছিল বেশি। অন্যদিকে শিমুলিয়া ফেরিঘাটে দক্ষিণবঙ্গগামী যাত্রী ও যানবাহনের চাপও বেড়েছে। গতকাল সকাল থেকে পারাপারের জন্য ওই ঘাটে ৭ শতাধিক ব্যক্তিগত গাড়ি ও পণ্যবাহী ট্রাক অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার জিল্লুর রহমান জানান, একদিকে সাপ্তাহিক ছুটির দিন ও অন্যদিকে সামনে ঈদ থাকায় যাত্রী ও যানবাহনের সংখ্যা বেড়েছে। যানবাহন ছাড়া শুধু নদী পার হবেন এমন যাত্রীর সংখ্যাও ছিল চোখে পড়ার মতো। এ কারণে ফেরির সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। বর্তমান পাটুরিয়া দৌলতদিয়া রুটে ১৫টি ফেরি রয়েছে।

ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, ঈদকে সামনে রেখে ভিড় বাড়ছে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে। গতকাল ভোর থেকে মানুষ ও যানবাহনের সংখ্যা বাড়তে থাকে। বেলা বাড়ার সঙ্গে চাপ আরো বেড়ে যায়।

পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা কাজির হাট নৌরুটে ২০টি ফেরি রয়েছে। যানবাহন ও যাত্রীর চাপ থাকায় ছয়টি ছোট ফেরির পাশাপাশি চারটি বড় ফেরি পারাপারে নিয়োজিত রেখেছে ঘাট কর্তৃপক্ষ। তবে সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি উপেক্ষা করে গাদাগাদি করে ফেরিতে উঠছেন যাত্রীরা।

চুয়াডাঙ্গাগামী যাত্রী আব্দুল মজিদ বলেন, পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে আগে আগেই বাড়িতে যাচ্ছি। সরকারের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তারপরও যেতেই হবে। কারণ ঈদ একা ঢাকায় করতে পারবো না। বাবা, মা, ভাইবোন রয়েছে। তিনি বলেন, ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কার মধ্যে এক বছর পরে যাচ্ছি। স্বাভাবিক সময়ের চাইতে পাঁচ গুণ বেশি ভাড়া গুণে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে।

বিপ্লব হোসেন নামে কুষ্টিয়াগামী এক যাত্রী বলেন, পরিজনের সঙ্গে দেখা হয় না ছয় মাস। বয়স্ক বাবাকে ছাড়া ঈদ কল্পনা করা যায় না। অসুস্থ বাবা শুধু আমার জন্য কাঁদেন। তাই শত ঝক্কি-ঝামেলা উপেক্ষা করে বেশি টাকা ভাড়া দিয়ে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছি। দেখা হবে সবার সঙ্গে। স্ত্রী-সন্তানকেও নিয়ে যাচ্ছি।

গতকাল সকাল থেকে যানবাহনসহ যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় করছেন বলে জানান বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সাফায়েত আহমেদ। তিনি জানান, দক্ষিণবঙ্গগামী যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটের বহরে থাকা ১৬টি ফেরির মধ্যে বর্তমানে সচল রয়েছে ১৩টি ফেরি। গতকাল ছুটির দিন হওয়ায় স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে যানবাহন ও যাত্রীর চাপ বেড়েছে। মূলত কেউ কেউ আবার ঈদকে কেন্দ্র করে আগেই বাড়ি ফিরছেন। প্রথমে ছোটগাড়িগুলো পার করা হবে, পর্যায়ক্রমে সব গাড়ি পার করা হবে।

এ নৌরুটে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রয়েছে। এজন্য ফেরিগুলোতে চাপ বেড়েছে। তবে যাত্রীদের অনেককেই স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যাচ্ছে না বলে এ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads