• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
পদ্মা সেতুর সড়ক ও রেলপথ একসঙ্গে উদ্বোধন নিয়ে সংশয়

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

যোগাযোগ

পদ্মা সেতুর সড়ক ও রেলপথ একসঙ্গে উদ্বোধন নিয়ে সংশয়

  • মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২১

রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, ভাঙ্গা থেকে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া পর্যন্ত ৭১ ভাগ ও ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত ৪০ ভাগ রেলওয়ের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সেতুর পদ্মাসেতুর সড়ক যোগাযোগের সাথেই রেল পথ খুলে দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। টেকনিকাল কারলে সেটা বিলম্ব হলে দ্বিতীয় একটি পরিকল্পনা রয়েছে। আগামি ২০২২ সালের ১৬ ডিসেম্ভর ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত রেল চলাচল শুরু হবে।

মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ১২ টায় মুন্সিগঞ্জ প্রান্তের লৌহজংয়ের কাজীর পাগলা থেকে পদ্মা সেতু পর্যন্ত পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী আরো বলেন, সেতুর সাথে সংযুক্ত সকল কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। সেতুর উপর ভিত্তি করেই গ্যাস,বিদ্যুত ও অন্যান্য সেবা দক্ষিণাঞ্চালে যাচ্ছে। সড়ক পথকে অগ্রাধিকার বেশি দেওয়া হচ্ছে। সেতুই হচ্ছে সড়ক পথ।

তিনি আরও জানান, পদ্মা সেতুতে সড়ক নির্মাণ, বিদ্যুৎ-গ্যাস সংযোগ এবং ওয়াকওয়ে নির্মাণের জন্য মার্চের আগে রেলপথের কাজ শুরু অনুমতি দিতে চাচ্ছে না সেতু কতৃপক্ষ। রেলপথের কাজ শেষ করতে সময় লাগবে ৬ মাস। ফলে জুনের মধ্যে কাজ শেষ করা সম্ভব হবে না। তাই সেতুর সড়ক ও রেলপথ একসাথে উদ্বোধন নিয়ে কিছুটা সংশয় তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।

‘তবে আমরা চেষ্টা করছি, সেতু কতৃপক্ষকে রাজি করাতে। যেন দুটি কাজ একসাথেই শেষ করা যায়।সড়ক চালু হয়ে গেলে রেলপথ নির্মাণ করা কষ্টকর হবে বলেও জানান মন্ত্রী। সেতুতে যান চলাচল শুর করলে যে ভাইব্রেশন বা কম্পন হবে তাতে রেলপথের ঢালাইয়ের জটিলতা হবে।

ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত রেল পথের ৪৩.৫০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। ৩০ জুন ২০২৪ সালের মধ্যে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত রেল পথ চালু হবে। আর আগামী বছর ডিসেম্বরের মধ্যে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত রেলপথ চালু হবে বলেও জানানো হয়।

ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত প্রায় ১৬৯ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণের কাজ চলছে। এই পথে ২০টি স্টেশন থাকবে, যার মধ্যে ১৪ টি নতুন এবং ৬টি বিদ্যমান।

এই প্রকল্পের বিভিন্ন অংশের অগ্রগতির বিষয়ে রেলপথমন্ত্রী মো নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, আমি এই প্রকল্পের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করছি। তিনি বলেন, করোনাকালেও এই বড় প্রকল্পের কাজ অনেক দূর এগিয়েছে।

জানা গেছে, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা। এটি বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভিন্ন প্রকল্পের মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রকল্প‌।

এ সময় রেলমন্ত্রী ছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রেল সচিব সেলিম রেজা, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প পরিচালক মো. আফজাল হোসেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রকল্পের শীর্ষ কর্মকর্তারা। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন মুন্সিগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শ্রীনগর সার্কেল) মো. আসাদুজ্জামান, লৌহজং উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা আব্দুল আউয়াল, পদ্মা সেতুর নিবার্হী প্রকৌশলী দেওয়ান আবদুল কাদের প্রমুখ।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads