• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুটে ফেরি চালু হয়নি ২০ দিনেও

ফাইল ছবি

যোগাযোগ

শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুটে ফেরি চালু হয়নি ২০ দিনেও

  • লৌহজং (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২১

দক্ষিণবঙ্গের অন্যতম প্রবেশপথ শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে ২০ দিনেও চালু হয়নি ফেরি চলাচল। পদ্মায় প্রবল স্রোতের কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে গত ১৮ আগস্ট অনির্দিষ্টকালের জন্য ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেন ঘাট কর্তৃপক্ষ। পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় পদ্মা সেতুর নিচ দিয়ে ফেরি চলাচল যেন না করতে হয়, সে মোতাবেক শরিয়তপুরের মঙ্গলমাঝি/ছাত্তার মাদবর (মাঝির ঘাট) ঘাট দিয়ে ফেরি চলাচল করবে। এতে পদ্মা সেতুতে কোনো ধরনের ধাক্কার ঘটনা ঘটবে না। ফলে শরিয়তপুরের মাঝির ঘাটে বিকল্প নৌরুট হিসেবে যুক্ত করে একটি রো-রো ফেরির পন্টুন। কিন্তু ঘাটের পন্টুন সচল রাখলেও নব্যতা সংকটের কারণে ফেরি চলাচল করতে পারছে না এ রুটে। এতে দক্ষিণবঙ্গের যাত্রীরা পড়ছে দুর্ভোগে।

এদিকে গত সোমবার বিকালে পদ্মায় তীব্র স্রোতের কারণে লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। টানা ১৩ ঘণ্টা লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকার পরে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে আবার লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক করা হয়। এতে গত রাতে শিমুলিয়া ঘাটে শত শত যাত্রীরা পড়ে দুর্ভোগে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ঘাটে এসে ফেরি, লঞ্চ ও স্পিডবোর্ট সব নৌযান চলাচল বন্ধ। পদ্মা পাড়ি দেওয়ার জন্য কোনো ধরনের নৌযান না পেয়ে রাত কাটাতে হয় ঘাটে। কেউ যাত্রী ছাউনি, কেউ বা লঞ্চ ঘাটের পন্টুনে শুয়ে কেউ বা বসে রাত পার করেন। পরে গতকাল সকালে লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক হলে যাত্রীরা পদ্মা পাড়ি হয়।

বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) শাফায়াত জানান, গত মাসের ১৮ তারিখ থেকে এ রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। পদ্মায় এখন প্রবল স্রোত বইছে। সে সঙ্গে মাঝির ঘাটে একটি ফেরির পন্টুন নির্মাণ করা হয়েছে। তবে নাব্যতা সংকটের কারণে ফেরি চলাচল সম্ভব হচ্ছে না। তবে ড্রেজিং চলছে। আশা করছি, দ্রুত ফেরি চলাচল স্বাভাবিক করা হয়ে। তিনি আরো বলেন, মাঝির ঘাটে একটি পন্টুন জরুরি সেবার লক্ষ্যে নির্মাণ করা হয়ে। এ ঘাট দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স, ছোট যানবাহন সীমিত আকারে চলাচল করানো হবে বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads