• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯

যোগাযোগ

পায়রা সেতুর উদ্বোধন আজ

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২৪ অক্টোবর ২০২১

অবশেষে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার লেবুখালী ইউনিয়নের পায়রা নদীর ওপর নির্মিত চার লেনবিশিষ্ট পায়রা সেতু।

আজ রোববার সকালে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এই সেতু উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা এই সেতুটির দ্বার উন্মুক্ত হলে দক্ষিণাঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন যাতায়াতের পথ খুলে যাবে। এ ছাড়া কুয়াকাটাসহ পুরো দক্ষিণ উপকূলের অর্থনৈতিক উন্নয়নে দেশ এগিয়ে যাবে আরেক ধাপ।

এদিকে, উদ্বোধনের তারিখ ঘোষণার পরই সাজ সাজ রব পড়ে যায় পায়রা সেতু এলাকায়। দৃষ্টিনন্দন এই সেতু দেখতে ভিড় বাড়ছে মানুষের। সন্ধ্যায় ঝলমলে আলোয় আলোকিত হয়ে উঠছে সেতুটি। পায়রা সেতু উন্মুক্ত হলে বরিশাল থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত ফেরিবিহীন যান চলাচল শুরু হবে। পরবর্তী সময়ে পদ্মাসেতুর নির্মাণকাজ শেষ হলে ঢাকা থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হবে। পায়রা সমুদ্রবন্দর, তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র, পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটাসহ দক্ষিণাঞ্চলের মানুষে আর্থসামাজিক উন্নয়নসহ দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে এই পায়রা সেতু।

পায়রা সেতু প্রকল্পের কর্মকর্তারা বলছেন, এই সেতু নির্মাণের নকশা কিছুটা ব্যতিক্রমধর্মী। চার লেনবিশিষ্ট এই সেতুটি নির্মাণ হয়েছে ‘এক্সট্রাডোজড কেব্‌ল স্টেইড’ প্রযুক্তিতে। এক হাজার ৪৭০ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৯ দশমিক ৭৬ মিটার প্রস্থের এই সেতু কেবল দিয়ে দুই পাশে সংযুক্ত রয়েছে। নদীর মাঝখানে একটি পিলার রয়েছে, এতে নদীর স্বাভাবিক গতিপ্রবাহ ঠিক থাকবে। সেতুটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে এক হাজার ৪৪৭ কোটি টাকা।

পায়রা সেতু নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল হালিম বলেছেন, সেতুটিতে যান চলাচল উন্মুক্ত করার মাধ্যমে আশপাশের এলাকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হবে। এ ছাড়া পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের যে অপরূপ লীলাভূমি, এটিকে ঘিরে পর্যটনের ব্যাপক প্রসার ঘটবে বলে আমি মনে করি।

২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পায়রা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads