• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
কালীগঞ্জে ছেলের ছুরিকাঘাতে বাবা খুন!

পুলিশ আটক করে নিয়ে যাচ্ছে নকিব হাসান হৃদয়কে।

ছবি : বাংলাদেলের খবর

অপরাধ

মা ও বড় ভাই আহত

কালীগঞ্জে ছেলের ছুরিকাঘাতে বাবা খুন!

  • কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৯ ডিসেম্বর ২০১৮

গাজীপুরের কালীগঞ্জে ছেলে নকিব হাসান হৃদয়ের (১৮) ছুরিকাঘাতে বাবা আব্দুল হাই (৬০) খুন হয়েছে। এ ঘটনায় মা রাজিয়া সুলতানা (৫০) ও বড় ভাই হাসিবুর রহমান নিলয় আহত হয়েছেন।

আজ রোববার সকালে উপজেলার তুমলিয়া ইউনিয়নের সোমবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের সহযোগীতায় ছেলেকে আটক করেছে পুলিশ। খুন ও আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবুবকর মিয়া।

আটককৃত হৃদয় কালীগঞ্জ আরআরএন পাইলট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় অকৃজ্ঞকার্য হওয়ায় আগামী বছরে আবারও পরীক্ষার দেওয়ার কথা ছিল। বাবা আব্দুল হাই স্থানীয় সোমবাজারে রড-সিমেন্টের ব্যবসায়ী ছিলেন।

নিহতের শ্যালক আব্দুল আলিম জানান, প্রতিদিনের মত শনিবার রাতে খাওয়া-দাওয়া করে এক রুমে বাবা-মা ও অন্য রুমে দুই ভাই ঘুমিয়ে পড়ে। রোববার সকাল পৌনে ৬টায় হৃদয় ছুরি নিয়ে ঘুমন্ত বাবাকে উপর্যুপরি আঘাত করে এবং মাথায় রড দিয়ে বারি দেয়। এ সময় ঘুমন্ত মা টের পেয়ে বাধা দিলে মাকেও রড় দিয়ে বারি শুরু করে। মায়ের চিৎকারে বড় ভাই নিলয় এগিয়ে এলে তাকেও রড দিয়ে বারি শুরু করে। পরে স্থানীয়দের সহযোগীতায় আহত অবস্থায় আব্দুল হাইকে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।

তিনি আরো জানান, গত ৪/৫ বছর ধরে নকিব হাসান হৃদয় মানসিক ভাবে বিকারগ্রস্থ ছিল। হৃদয়-নিলয় ছাড়া তাদের আর কোন ভাই-বোন ছিল না। বড় ভাই নিলয় নরসিংদী সরকারী কলেজে অনার্সে পড়ছে।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক লুবনা খানম জানান, হাসপাতালে আনার আগেই রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, ঘটনার পর হৃদয় ঘর আটকে ভিতরে অবস্থান করছিল এবং নিজের মাথার চুল নিজেই কাটা শুরু করে। সে যেন পালাতে না পারে সেজন্য স্থানীয়রা ঘরের দরজা বাহির থেকে আটকে দেয়। পরে থানা পুলিশে খবর দেওয়া হয়। এ সময় হৃদয় রশি নিয়ে আত্মহত্যার চেষ্ঠা করলে পুলিশ দরজা ভেঙ্গে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবুবকর মিয়া খুনের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, স্থানীয়দের সহযোগীতায় ছেলেকে আটক করেছি। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কি কারণে বাবাকে খুন করা হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। তবে তা জানার চেষ্ঠা চলছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads