• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯
ব্যাংকে চাকরির আড়ালে চলতো নুসরাতের রমরমা দেহ ব্যবসা 

সংগৃহীত ছবি

অপরাধ

ব্যাংকে চাকরির আড়ালে চলতো নুসরাতের রমরমা দেহ ব্যবসা 

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১০ জুলাই ২০২১

নুসরাত জাহান তানিয়া কুমিল্লার আলোচিত একটি নাম। কলেজ জীবনেই জড়িয়ে পড়ে নানা ধরনের অসামাজিক কর্মকান্ডে। যার নাম শুনলেই কুমিল্লা শহরের সচেতন অভিভাবকরা আতঁকে উঠেন। নুসরাত ব্যাংকে চাকরির আড়ালে কুমিল্লা এবং ঢাকায় ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে উচ্চবিত্ত পরিবারের তরুণ- যুবকদের প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে আসতো নিজের ফ্ল্যাট। রাতভর চলতো নুসরাতের যৌন পার্টি। আর বিনিময়ে তরুণদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া হতো লাখ লাখ টাকা। শুধু কি তাই- কৌশলে সেইসব অসামাজিক কর্মকান্ড গোপন ক্যামেরায় ভিডিও ধারন করে চলে দিনের পর দিন ব্ল্যাকমেইলিং। নুসরাতের ফাঁদে পড়েছিলেন এমন

একজন কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার সাইদুল হাসান (ছদ্মনাম)। ২০১৮ সালে এইচএসসি পাশ করে সবেমাত্র ভর্তি হয়েছিলেন কমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে। দ্বিতীয় বর্ষে পড়াকালীন সময়ে এক সহপাঠির পাল্লায় পড়ে নুসরাতের ফ্ল্যাটে যান সাইদুল। সেখানে ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে এক রাত চলে ফুর্তি। কিন্তু ঘুনাক্ষরে সাইদুল ভাবেনি, এক রাতের ঘটনায় নুসরাতের ভয়ংকর ফাঁদে পড়তে হবে তাকে। ওইদিনের পর নুসরাতের স্বামীই ফোন করেন সাইদুলকে। ডেকে এনে গোপনে ধারকৃত সেইদিনের কিছু ভিডিওচিত্র দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা দাবী করা হয়। দাবীকৃত টাকা না দিলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিওচিত্র ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয়। অবস্থা বেগতিক দেখে নিরুপায় হয়ে ৫০ হাজার টাকা তুলে দিয়েছিলেন। উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারের সাইদুলই নয়- নুসরাত সিন্ডিকেটের ফাঁদে পড়ে এমন অনেক তরুণ এবং যুবক মোটা অংকের টাকা দিতে হয়েছে। 

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, উঠতি বয়সী শুধু তরুণদের বিপদগামী করছে না। স্কুল-কলেজ পড়–য়া মেয়েদের নানা কায়দায় প্রলোভন দেখিয়ে দেহ ব্যবসায় নিয়ে আসছেন এই নুসরাত ও তাঁর স্বামী মিজানুর রহমান। নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে কিশোরী মেয়েদের টাকা উপার্জনের কথা বলে খারাপ পথে নিয়ে আসছেন। কুমিল্লা এবং ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে এসব দেহ ব্যবসা করাতেন নুসরাত সিন্ডিকেট। টাকায় নেশায় মানুষ থেকে অমানুষ হয়ে উঠেন নুসরাত জাহান তানিয়া। নিজের ছোট বোন সম্প্রতি গুলশানে মারা যাওয়া মোসারাত জাহান মুনিয়াকেও রেহাই দেয়নি বড় বোন নুসরাত। টাকার লোভে নিজের বোন মুনিয়াকে দিয়ে দেহ ব্যবসা করিয়েছিনে নুসরাত। মোটা অংকের টাকা পেয়ে হুইপপুত্র নাজমুল করিম চৌধুরী শারুনের কাছে মুনিয়াকে তুলে দেন নুসরাত। বিনিময়ে শারুনের কাছ থেকে কোটি টাকা নিয়েছিলেন নুসরাত। সেই মুনিয়াকে নিয়েই ভয়ংকর খেলায় মেতে উঠেছিল শারুন চৌধুরী ও নুসরাত। শেষ পর্যন্ত নুসরাত আর শারুন চৌধুরীর দেহব্যবসাসহ নানা অপরাধের ভার সইতে না পেরে আত্মহত্যার পথেই বেছে নিয়েছিলেন মুনিয়া।

পুলিশের অনুসন্ধান বলছে,  শারুন চৌধুরী এবং নুসরাত কৌশলে মুনিয়াকে মেইলিংয়ের গুটি বানিয়েছিল। দেশের বিত্তশালীদের ফাঁদে ফেলে কোটি কোটি টাকা হাতানোর অপকৌশলের চাপ সইতে না পেরেই নিজেই আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছিলেন বলে তদন্তে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য বেড়িয়ে আসছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads