• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
২ মিনিটেই শেষ মুহিবুল্লাহ কিলিং মিশন

সংগৃহীত ছবি

অপরাধ

২ মিনিটেই শেষ মুহিবুল্লাহ কিলিং মিশন

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২৪ অক্টোবর ২০২১

প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করতেই রোহিঙ্গাদের শীর্ষনেতা মো. মুহিবুল্লাহকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন)।

এপিবিএন বলছে, মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয় ১৯ জন। এর মধ্যে পাঁচ জন ছিল অস্ত্রধারী। দুই মিনিটেই শেষ কিলিং মিশন। হত্যায় সরাসরি অংশ নেওয়া চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শনিবার দুপুর ১টায় ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক ও পুলিশ সুপার (এসপি) নাঈমুল হক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।

হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনার বিবরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডে ১৯ জন সন্ত্রাসী অংশ নেয়। হত্যার দুই দিন আগে মরগজ পাহাড়ে বৈঠক করে তারা। সেখানে পাঁচ জনকে কিলিং মিশন শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। মুহিবুল্লাহকে গুলি করার সময় পাঁচ জন অংশ নেয়। দুই মিনিটেই হত্যার মিশন শেষ করে তারা। বাকিরা বাইরে পাহারায় ছিল।

শনিবার ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে লম্বাশিয়া লোহার ব্রিজ এলাকা থেকে একটি ওয়ান শুটারগানসহ মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডে জড়িত আজিজুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়। তার স্বীকারোক্তিতে মোহাম্মদ রশিদ প্রকাশ মুর্শিদ আমিন, মো. আনাছ ও নুর মোহাম্মদকে গ্রেফতার করা হয়। তারা হত্যায় সরাসরি অংশ নেয়।

গ্রেফতার আজিজুল হক উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা, রশিদ প্রকাশ মুর্শিদ আমিন কুতুপালং ক্যাম্প-১-এর ডি ৮ ব্লকের আব্দুল মাবুদের ছেলে, মো. আনাছ একই ক্যাম্পের বি ব্লকের ফজল হকের ছেলে ও নুর মোহাম্মদ একই ব্লকের নুর ইসলামের ছেলে। তাদের উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

এর আগে সন্দেহভাজন পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে মোহাম্মদ ইলিয়াছ নামের এক রোহিঙ্গা কক্সবাজার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে ৯টার দিকে মুহিবুল্লাহকে তার নিজ কার্যালয়ে ঢুকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। লম্বাশিয়া ক্যাম্প ওয়ান ওয়েস্টে বাসার সামনে প্রতিদিনের অফিস করছিলেন। ওই সময় একদল লোক এসে তাকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে অন্যরা দ্রুত উদ্ধার করে পাশের এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মুহিবুল্লাহকে মৃত ঘোষণা করেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads