• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে খুন করে লাশ গুম, স্বামী ও ননদ আটক

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

অপরাধ

পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে খুন করে লাশ গুম, স্বামী ও ননদ আটক

  • কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৬ জুলাই ২০২২

কেরাণীগঞ্জে পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে খুন করে লাশ গুম করার ঘটনায় স্বামী ও ননদ আটক করেছে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ।

আজ বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কেরাণীগঞ্জ সার্কেল) শাহাবুদ্দিন কবীর। তিনি বলেন, গত ১৫ মে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে কেরাণীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ সংবাদ পায় যে, শাক্তা ইউনিয়নের আটিকুটি গ্রামের মেরিন শিশু পার্কের পশ্চিম পাশে জনৈক আব্দুর রহমানের একতলা বাড়ীর পিছনের দেওয়াল সংলগ্ন ফাঁকা জায়গায় অজ্ঞাতনামা মহিলার মৃতদেহ মাটিচাপা অবস্থায় আছে।

সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং অজ্ঞাতনামা মহিলার মৃতদেহটি মাটি খুঁড়ে উত্তোলন করে। মৃতদেহটি পচন ধরা অবস্থায় পাওয়া যায়। লাশের মাথায় বিভিন্ন আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। পুলিশ মৃতদেহের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে এবং মৃতদেহের ময়না তদন্তের জন্য লাশ স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিডফোর্ড, ঢাকায় পাঠায়। এ ঘটনায় এসআই (নিঃ) মোঃ খায়রুজ্জামান শিকদার বাদী হয়ে কেরাণীগঞ্জ মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

তদন্তের শুরুতে পুলিশ অজ্ঞাতনামা মৃত মহিলার নাম-পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করে জানতে পারে যে, অজ্ঞাতনামা মহিলার মৃতদেহটি আব্দুর রহমানের ছেলে সাগরের দ্বিতীয় স্ত্রী বাবলী আক্তার মুন্নীর ( ২১)। পরে পুলিশ আব্দুর রহমানের একতলা বাড়ীতে গিয়ে দেখে যে, বাড়ী তালাবদ্ধ। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনায় দেখা যায় গত ১১ মে ভোর ৫টায় সাগর ও তার পরিবারের সদস্যরা বাড়ীর সকল মালামাল নিয়ে একটি পিকআপ গাড়িতে করে চলে যাচ্ছে। এরপর এ হত্যাকাণ্ডে সাগর ও তার পরিবারের সদস্যরা জড়িত থাকতে পারে মর্মে সন্দেহ করে পুলিশ তাদের খুঁজতে থাকে। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ঢাকার হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামি সাগর ও তার বোন সুমিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। গ্রেপ্তার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে হত্যার মূল রহস্য।

জিজ্ঞাসাবাদে আসামী সাগর জানান, তার স্ত্রী বাবলীকে বাড়ীর ছাদে মোবাইল ফোনে কথা বলতে দেখে। তখন তার স্ত্রী বাবলী পরকীয়া প্রেমে লিপ্ত বলে সন্দেহ হলে উভয়ে বিবাদে জড়িয়ে পরে। ঝগড়া-বিবাদের এক পর্যায়ে সাগর কাঠের টুকরো দিয়ে লাভলীকে গুরুতর আঘাত করে এবং ধাক্কা দিয়ে ছাদ থেকে ফেলে দেয়। পরে সাগর নিচে নেমে দেখে বাবলী মারা গেছে। তখন তাড়াতাড়ি লাশ গুম করার জন্য মাটি খুঁড়ে তার মৃতদেহ চাপা দেয়। পরবর্তীতে এ ঘটনা পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জানালে সবাই মালামাল নিয়ে বাড়ী ছেড়ে পালিয়ে যায়।

গ্রেপ্তার আসামী সাগর ও সুমি ইতিমধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads