• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি বগুড়ায় গ্রেপ্তার

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

অপরাধ

বিশ্বজিৎ হত্যা: যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি বগুড়ায় গ্রেপ্তার

  • বগুড়া প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৫ জুলাই ২০২২

বগুড়ায় শ্বশুরবাড়িতে ঈদ করতে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন ঢাকার চাঞ্চল্যকর বিশ্বজিৎ হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আলাউদ্দিন (৩৫)। ২০১২ সালে বিশ্বজিৎ হত্যার পর থেকেই পলাতক ছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে জেলার মোকামতলা বন্দরে শ্বশুরবাড়ি থেকে আলাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

আলাউদ্দিন পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারী থানার ছোট ধাপ গ্রামের হবিবুর রহমানের ছেলে।

শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দীপক কুমার দাস জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মোকামতলা বন্দরে তার শ্বশুর কাজী নুরুল ইসলামের বাড়ি থেকে আলাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জানা গেছে, শ্বশুরবাড়িতে ঈদ উদযাপন করতে গত বৃহস্পতিবার রাতে স্ত্রীসহ শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে আসেন আলাউদ্দিন। শুক্রবার রাতে তার কর্মস্থল কক্সবাজার জেলার টেকনাফে চলে যাওয়ার কথা ছিল। আলাউদ্দিন টেকনাফে এনজিও ব্র্যাকে চাকরি করতেন। তার স্ত্রী নাহিদ ফেরদৌস টেকনাফে একটি বিদেশি সাহায্য সংস্থায় চাকরি করেন। সেখানেই আলাউদ্দিনের সাথে পরিচয় হলে ২০১৬ সালে তারা বিয়ে করেন। এর আগে আলাউদ্দিন গাজিপুরে একটি পোল্ট্রি ফার্মে চাকরি করতেন।

আলাউদ্দিন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করতেন এবং ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১২ সালে আলাউদ্দিন বিশ্বিদ্যালয়ে তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। সেই বছরের ৯ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাহাদুর শাহ পার্কের সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন দর্জি দোকান কর্মচারী বিশ্বজিৎ দাস (২২)। কোনো কারণ ছাড়াই জগন্নাথ বিশ্বিবদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে বিশ্বজিৎকে। ঘটনার সময় সাংবাদিক,পুলিশ ছাড়াও শত-শত মানুষ হত্যাকাণ্ড দেখলেও কেউ বিশ্বিজৎকে উদ্ধারে এগিয়ে আসেনি। সাংবাদিকদের ভিডিও করা হত্যাকণ্ডের দৃশ্য দেশ বিদেশের টেলিভিশনে সম্প্রচার হলে দেশ জুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিশ্বজিতের ভাই উত্তম দাস ঢাকার সূত্রাপুর থানায় মামলা করেন। মামলা তদন্ত শেষে পুলিশ চার্জশিট দাখিল করলে ২০১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ২১ আসামির মধ্যে ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারদণ্ড দেওয়া হয়। ২১ জন আসামির মধ্যে ৮ জন পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয় এবং অপর ১৩ জন ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন। পরে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের পক্ষে আপিল করা হলে হাইকোর্ট ২ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে এবং ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২ জনকে খালাস দেন।

যাবৎজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিদের মধ্যে আলাউদ্দিন একজন। বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডের সময় তার বয়স ছিল ২৬ বছর। মামলার এজাহারে আলাউদ্দিন ৪ নং আসামি ছিলেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads