সাইফুল ইসলাম, সিংগাইর প্রতিনিধি:
“এক কসাইকে অসুস্থ্য গরুর মাংশ বিক্রির করছেন এ বিষয়টি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ জানালে সাত বছরের জেল হবে” এই হুমকি দিয়ে দুই লক্ষ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে দুই কথিত সাংবাদিক কে আটক করেছেন র্যাব -৪ ।
১২ ই সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকালে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা হলো জেলার সিংগাইর পৌরসভার বিনোদপুর গ্রামের হারুন অর রশিদ, সদর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের কাচারিকান্দি গ্রামের বজলুর রহমান।
উল্লেখ্য ভূয়া সাংবাদিক হারুন অর রশিদ দৈনিক গণমুক্তি, জি বাংলা টিভি ,দৈনিক ক্রাইম তালাশ এবং বজলুর রহমান নিজেকে দৈনিক খবরের আলো পত্রিকার প্রতিনিধি হিসেবে পরিচয় দিয়ে এসব অপকর্ম করে আসছিল।
আবুল হোসেন নামে এক কথিত সাংবাদিকের যোগসাজসে দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন কৌশলে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্যাদি তৈরী করে জেলা ব্যাপি বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও নিরীহ লোকজনকে জেল-জরিমানার ভয়-ভীতি দেখিয়ে চাঁদা বাজি ও অবৈধভাবে টাকা হাতিয়ে নেয়ার বিষয়টি র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেন।
র্যাব সিপিসি-৩ এর লে কমান্ডার মো: আরিফ হোসেন জানান, ভোরের দিকে আটককৃত দুইজন ও আবুল হোসেন নামের আরেক কথিত সাংবাদিক সদর উপজেলার জয়রা এলাকার মাংস বিক্রেতা আবুল কাশেমের বাসস্ট্যান্ডের দোকানে যায়। এসময় তারা আবুল কাশেমকে অসুস্থ গরু জবাই করেছে বলে অভিযোগ করেন, এর জবাবে মাংস বিক্রেতা জবাইকৃত পশুর বৈধ সার্টিফিকেট আছে বলে জানালেও তারা তাকে ব্ল্যাকমেইল করে ওই মাংস বিক্রেতার কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদাদাবি করে বিষয়টি মিংমাসা করতে বলে ওই দুই কথিত সাংবাদিক। অন্যথায় ভোক্তা অধিদপ্তরে অভিযোগ করে মাংস বিক্রেতাকে ৭ বছরের জেল খাটানোর হুমকি দেয়। পরে বাসস্ট্যান্ডের অন্যান্য মাংস বিক্রেতারা দুই কথিত সাংবাদিককে আটক করে র্যাবকে অবহিত করে। এসময় তাদের সাথে থাকা আরেক কথিত সাংবাদিক আবুল হোসেন ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে র্যাব এসে তাদেরকে আটক করে।
আটককৃতদের বিরুদ্ধে মাংস বিক্রেতা চাঁদাবাজি ও প্রতারণার লিখিত অভিযোগ করেছেন। আটককৃতদের সংশ্লিষ্ট থানায় পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা ।