• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯

বিনোদন

দু’দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন শুরু

  • বাসস
  • প্রকাশিত ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

অমর একুশে উদযাপনের অংশ হিসেবে বাংলা একাডেমির উদ্যোগে আজ থেকে শুরু হয়েছে দু’দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন।

সম্মেলনের মূল বিষয় হচ্ছে ‘দক্ষিণ এশিয়ার সাম্প্রতিক সাহিত্য’। সম্মেলনে বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলংকা, পাকিস্তানসহ ছয়টি দেশের শতাধিক লেখক, শিক্ষাবিদ ও গবেষক যোগ দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার সকাল দশটায় বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. ফকরুল আলম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান। আলোচনায় অংশ নেন ভারতের অনুবাদক ও গবেষক রাধা চক্রবর্তী। সভাপতিত্ব করেন ইমেরিটাস অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম।

মূল প্রবন্ধে ড. ফকরুল আলম বলেন, গত দেড় শতকে দক্ষিণ এশিয়ায় অসংখ্য সৃষ্টিশীল লেখক তাদের নানা বিষয়ের সাহিত্য উপহার দিয়ে বিশ্বসাহিত্যে নিজেদের অবস্থানকে সুদৃঢ করেছেন। এ সব লেখক বাংলা, ইংরেজী, হিন্দি ভাষায় সাহিত্য রচনা করে এ সব ভাষাকেও বিশ্বমাঝে তুলে ধরেছেন। এই অঞ্চলে বর্তমানে অসংখ্য গুণী লেখক বিভিন্ন ভাষায় সাহিত্য চর্চা করছেন- যাদের অনেকের কবিতা ও উপন্যাস খুবই উঁচুমানের।

স্বাগত ভাষণে ড. শামসুজ্জামান খান বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার সাহিত্যকে বিশ্ব দরবারে অন্যান্য ভাষাভাষি মানুষের কাছে উপস্থাপন করার লক্ষ্যেই একাডেমি এই সাহিত্য সম্মেলনের আয়োজন করে আসছে। এবারের দু’দিনের সম্মেলনের মূল বিষয় দক্ষিণ এশিয়ার বর্তমান সাহিত্যকে নির্বাচিত করা হয়েছে এই অঞ্চলের লেখক ও তাদের সাহিত্য চর্চার অবস্থাকে দেশগুলোর নাগরিকদের তথা পাঠকদের অবগত করার জন্য।

ইমেরিটাস অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বলেন,বাংলা সাহিত্যে চিরায়ত ধারার বিপুল কাজ হয়েছে কিন্তু সে সবের অনেক রচনাই অন্য ভাষায় অনুবাদ না হওয়ায় অন্যভাষার মানুষ তা পাঠ করতে পারছেন না। একই কারণে ভারতের তেলেগু ভাষার অনেক চিরায়ত সাহিত্যও আমরা জানতে পারছি না। বাংলা একাডেমি এই সম্মেলন করার ফলে ভবিষ্যতে আমাদের এই চাহিদা পূরণ হবে বলে আশা করা যায়।

দ্বিতীয় পর্বে ‘দক্ষিণ এশিয়ার সাহিত্য’ নিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের লেখক ও শিক্ষাবিদ অরুণা চক্রবর্তী বাংলাদেশের ড. ফিরদৌস আজিমের সঙ্গে আলাপনে অংশে নেন।

অরুনা চক্রবর্তী ভারতের এবং বাংলাদেশের কথাসাহিত্য নিয়ে আলোচনা করেন। বিশেষ করে কথাসাহিত্যে নারীর অবস্থান নিয়ে তিনি বিশদ বক্তব্য রাখেন। রবীন্দ্রনাথের উপন্যাস ও গল্পে নারী চরিত্র নিয়ে তিনি আলোকপাত করেন।

তৃতীয় পর্বে অনুষ্ঠিত হয় ‘দক্ষিণ এশিয়ার কথাসাহিত্য’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে মূল বক্তব্য উপস্থান করেন রিফাত মুনিম। আলোচনায় অংশ নেন কথাশিল্পী ও অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, শ্রীলঙ্কার সাহিত্যিক ও ইমেরিটাস অধ্যাপক জি বি দিশানায়েক, কলম্বিয়ার কথাসাহিত্যিক আন্দ্রেজ মাউরিসিয়ো মুনজ এবং বাংলাদেশের অধ্যাপক খালিকুজ্জামান ইলিয়াস।

পরে ‘দক্ষিণ এশিয়ায় থিয়েটার’ বিষয়ক আলোচনা পর্বে মূল বক্তব্য উপস্থান করেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার। আলোচনায় অংশ নেন অধ্যাপক শফি আহমেদ, নাট্য ও চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব নাসিরউদ্দিন ইউসুফ এবং ভারতের নাট্যজন অংশুমান ভৌমিক।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads