• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
শেখ হাসিনার বৃক্ষরোপণ অভিযান

শহীদদের স্মরণে বৃক্ষরোপন কর্মসূচির উদ্বোধন করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

সংগৃহীত ছবি

ফিচার

শেখ হাসিনার বৃক্ষরোপণ অভিযান

  • প্রকাশিত ২৮ অক্টোবর ২০১৮

‘সবুজে বাঁচি সবুজ বাঁচাই নগর-প্রাণ-প্রকৃতি সাজাই’, এই স্লোগানকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুরু করেছেন ২০১৮ সালের বৃক্ষরোপণ অভিযান। ৩০ লাখ বীর শহীদের স্মরণে সারা দেশে একযোগে ৩০ লাখ বৃক্ষরোপণের কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন। তার এই স্বপ্ন ও লক্ষ্য পূরণের দায়িত্ব হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড।

বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ দিক হলো অতি দ্রুত জলবায়ু পরিবর্তন। বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়ছে। ফলে গলে যাচ্ছে হিমবাহ। বেড়ে যাচ্ছে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা। তলিয়ে যাচ্ছে সমুদ্রতীরবর্তী নিম্নভূমি। এটা বাংলাদেশের জন্য খুব বিপজ্জনক। কারণ বাংলাদেশ একে তো নদীবাহিত, সমুদ্রতীরবর্তী দেশ, তার ওপর ঘনবসতির দেশ। ধারণা করা যাচ্ছে, ২০৪০ সালের মধ্যে নদীভাঙন এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ার কারণে ভূমিক্ষয়ের ফলে বাংলাদেশের প্রায় দেড় কোটি মানুষ ভূমিহীন ও উদ্বাস্তু হয়ে পড়বে। এখন জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবেলায় প্রকৃতির বৃক্ষের গুরুত্ব অপরিসীম। এটা সরকারি সাহায্য ছাড়া কোনোভাবেই সম্ভব নয়। এ বিবেচনায় সরকারি উদ্যোগে প্রতি বছর বিভিন্ন প্রজাতির প্রচুর গাছের চারা রোপণ করা হচ্ছে। পাশাপাশি সামাজিক বনায়নের মাধ্যমে দেশের বৃক্ষসম্পদ বৃদ্ধি ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বৃক্ষরোপণ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানেরও একটা অন্যতম উদ্যোগ ছিল। ১৯৭৪ সালে এক বৃক্ষরোপণ অভিযানে জাতির পিতা বলেছিলেন, দেশের প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য এই বৃক্ষরোপণ অভিযানের সময় এবং পরে অধিক বৃক্ষ রোপণ করে সরকারের প্রচেষ্টাকে সাফল্যমণ্ডিত করে তোলা।

এখন সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয় এমন বিপুল কাজ হাতে নেওয়া। তাই সরকার সামাজিক ও গ্রামীণ বনায়নের ব্যাপারে উৎসাহ জোগাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে সরকার প্রতি বছর ‘বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার  ও বঙ্গবন্ধু অ্যাওয়ার্ড ফর ওয়াইল্ড লাইফ কনজারভেশন’ ঘোষণা করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলাদেশ গড়তে আমরা অন্যান্য কার্যক্রমের পাশাপাশি পরিবেশ সংরক্ষণে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা বৃক্ষরোপণ অভিযান গতিশীল করেছি। বৃক্ষরোপণ আন্দোলন একটি স্থায়ী, চলমান ও স্বতঃস্ফূর্ত কার্যক্রম।’

 

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads