• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮

ফিচার

ব্যবসা প্রসারের ৭ উপায়

  • ফিচার ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১৮ এপ্রিল ২০২২

কী করবেন, কী করবেন না খুঁজুন : সবার কাছে সব বিষয়ে পারদর্শী হওয়ার মধ্যে কোন কৃতিত্ব নেই কারণ তখন মানুষ ভাববে আপনি যেকোনো একটি কাজও ঠিকমতো করতে পারেন না। ব্যবসার ক্ষেত্রে, বেশি বেশি পণ্য তৈরি করা, নিজের বিশেষত্বের বাইরে কাজ করা এবং অল্প কিছু লাভের আশায় মূল বাজার রেখে অন্য বাজারে পণ্যের প্রসারে ব্যস্ত থাকলে আপনি ভুল করে থাকবেন। যদি এমনটি হয়ে থাকে তাহলে আপনি আপনার আসল শক্তি এমন জিনিসের জন্য ব্যয় করছেন যাতে আপনি সফল নাও হতে পারেন। এমনকি তা করতে গিয়ে আপনার টিম, বাজেট এবং পুরো প্রতিষ্ঠানের ওপর চাপ সৃষ্টি করবেন।

লক্ষ্য স্থির করুন : ব্যবসা প্রসারের ক্ষেত্রে অনেক কৌশলী হতে হয়। কেউ কেউ আগে থেকেই দুই-তিন বছরের বিজনেস পরিকল্পনা করে থাকে, সেই পরিকল্পনার তদারক করে প্রয়োজন হলে তা পরিবর্তন করে থাকে। যদি কোন লক্ষ্য না থাকে তাহলে আপনার টিম ও প্রতিষ্ঠানের পারফরম্যান্স পরিমাপ করার কোন ভিত্তিও থাকবে না। যখন সবাই প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্যগুলো সম্পর্কে সম্মক অবগত থাকে, তখন সবার একসাথে কাজ করা এবং লক্ষ্য পূরণ করা সহজ হয়ে যায়।

প্রতিষ্ঠান নয়, মানুষের জন্য কাজ : যোগ্য লোক ছাড়া একটি বিজনেস সফলভাবে কার্যক্রম চালিয়ে প্রসারিত হতে পারে এমনটি বিরল। আসলে, আমরা প্রায়শই বলে থাকি যে আমাদের কর্মীবাহিনীই আমাদের প্রতিষ্ঠানের একমাত্র সম্পদ এবং আমরা সব সময় আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কৃতি উন্নত করার চেষ্টায় থাকি যাতে আমাদের কর্মচারীরা আমাদের সাথে কাজ করা চালিয়ে যায়। অনেক প্রতিষ্ঠানই ভুলে যায় যে আসল আনুগত্য তখনই আসে যখন কর্মচারীরা বিশ্বাস করে প্রতিষ্ঠান এবং এর ম্যানেজমেন্ট সত্যি সত্যি তাদের জন্য কেয়ার করে থাকে। এর ফলে কর্মচারীরা অনেকদিন ধরে প্রতিষ্ঠানের কাজের সাথে যুক্ত থেকে তাকে এগিয়ে নিয়ে যায় এবং বিজনেসের প্রসারে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখে।

বিজনেস মাইন্ড থাকা জরুরি : একজন হয়তো মার্কেটিংয়ে ভালো কিন্তু তার মানে এই নয় যে, সে ভালোভাবে একটি মার্কেটিং প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করার যোগ্যতা রাখে। এটি যেকোনো কাজের ক্ষেত্রেই সত্য। একটি বিজনেসকে সফলভাবে প্রসারের জন্য দরকার একটি ভালো বিজনেস মাইন্ড এবং নির্দিষ্ট বিষয়ে বলিষ্ঠ দক্ষতা। বিজনেস কার্যক্রমের নেপথ্যে যা যা থাকে যেমন প্রক্রিয়া, লোক ব্যবস্থাপনা, রসিদ দেখভাল ও কার্যপ্রণালী—এগুলো বিজনেসের সাফল্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। অনেকে তাদের পেশায় ভালো হতে গিয়ে তাদের বিজনেসের খুঁটিনাটি বিষয়গুলোতে সঠিকভাবে আলোকপাত না করার ফলে ব্যর্থ হয়।

আবেগকে কাজে লাগান: যখন আপনি আপনার কাজকে ভালোবাসতে শুরু করেন তখন আপনার আশপাশের মানুষজন তা টের পায়। পর্যাপ্ত আগ্রহ ও উত্তেজনা দেখানোর ফলে আপনার টিম বুঝতে পারবে তাদেরকে আরো পরিশ্রম করতে হবে এবং লক্ষ্য স্থির রেখে তাদের কাজে সফল হতে হবে। এর মাধ্যমে একটি ভাল পণ্য বা সেবা তৈরি করা সম্ভব। আর যদি কেউ অসুখী থাকে, সে তার নেতিবাচক আবেগ অন্যদের মাঝে ছড়িয়ে দেবে এবং কাজ করাকে কঠিক করে তুলবে কারণ সে নিজেও তার কাজকে ভালবাসে না।

উন্নতি করার চেষ্টা করুন : আমাদের পৃথিবীকে প্রতিনিয়তই পাল্টে দিচ্ছে প্রযুক্তি। প্রাসঙ্গিক থাকার জন্য উদ্ভাবন করা জরুরি আপনি যে শিল্পেই কাজ করে থাকুন না কেন। নতুন প্রোগ্রাম, নতুন ভাবনা, নতুন প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করতে হবে। হয় আপনি উদ্ভাবনের মাধ্যমে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন না হয় আপনি অচল হয়ে পড়ে থাকবেন। নতুনত্ব দিয়ে আপনি আপনার বিজনেসের পণ্যের মান বাড়িয়ে গ্রাহকদের মন রক্ষা করে আরো বেশি আর্থিক লাভ পেতে পারেন।

মার্কেটিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ : অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখে অনেক প্রতিষ্ঠান মনে করে মার্কেটিং একটি খরচ এবং তা বাজেট থেকে ছাঁটাই করে দেয়। আসল কথা হলো, মার্কেটিং আইডিয়ার ছড়াছড়ি সর্বত্র বিদ্যমান, কিছু আইডিয়া সফল হয় আর অন্যগুলো মুখ থুবড়ে পড়ে যায়। গ্রাহকরা তাদের টাকা খরচ করার ব্যাপারে এখন বেশ সচেতন, তারা সাধারণত সেসব পণ্যই কিনে থাকে যেগুলোর নমুনা তারা ব্যবহার করে থাকে বা যেগুলো তাদের সামনে তুলে ধরা হয়। এজন্য মার্কেটিংকে পণ্যের উদ্ভাবনের অংশ হিসেবে ধরে নিতে হবে এবং যখন পণ্য বাজারে গ্রাহকদের ব্যবহারের জন্য ছাড়া হবে তখন সেই পণ্যটি কীভাবে বাজারজাত করা হবে সেটিও গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় রাখতে হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads