• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮

খাদ্য

গরুর দুধের বিকল্প ভেষজ উৎস

  • ফিচার ডেস্ক
  • প্রকাশিত ০২ জানুয়ারি ২০২০

দুধ শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। কিন্তু যাদের ল্যাক্টোজ অসহিষ্ণুতা রয়েছে, তাদের জন্য গরুর দুধ আদর্শ নয়। সেজন্যই বর্তমানে গরুর দুধের বিকল্প হিসেবে খাবার টেবিলে ঠাঁই পাচ্ছে সয়া দুধ, আমন্ড দুধ, রাইস মিল্ক ইত্যাদি। জেনে রাখুন ভেষজ উৎস থেকে গৃহীত এসব দুধের গুণাবলি।

 

সয়া দুধ

গরুর দুধের অন্যতম জনপ্রিয় বিকল্প সয়া দুধ। সয়াবিনের নির্যাস থেকে তৈরি এ দুধ বাজারে চিনিসহ, চিনি ব্যতীত, চকোলেট ও ভ্যানিলা ফ্লেভারযুক্ত নানাভাবে পাওয়া যায়। ৮ আউন্স কাপ সয়া দুধে রয়েছে ৭৯ ক্যালরি, ৪ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৭ গ্রাম প্রোটিন, ৪ গ্রাম ফ্যাট, ৩০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়াম এবং ১ গ্রাম ফাইবার। কোলেস্টেরলমুক্ত এ দুধে রয়েছে আইসোফ্লেভন নামের প্রাকৃতিক উপাদান, যা হূদরোগের ঝুঁকি হ্রাসে সহায়তা করে। দিনে মাত্র ১০ মিলিগ্রাম আইসোফ্লেভন গ্রহণে ব্রেস্ট ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি কমে ২৫ শতাংশ। মেনোপজ শুরু হয়ে যাওয়া নারীর জন্য সয়া দুধ উপকারী। ফাইটোইস্ট্রোজেনসমৃদ্ধ সয়া দুধ মেনোপজের সময় ইস্ট্রোজেনের মাত্রা কমে যাওয়ার প্রভাব থেকে মুক্ত রাখে।

 

আমন্ড দুধ

আমন্ড বাদাম চূর্ণ, পানি ও চিনি দিয়ে তৈরি করা হয় আমন্ড দুধ। পাশাপাশি যোগ করা হয় ভিটামিন ও খনিজ। আমন্ড দুধ আমেরিকায় সবচেয়ে প্রিয় ভেষজ দুধ বলে খ্যাত। ৮ আউন্স পরিমাণ আমন্ড দুধে রয়েছে ৮ দশমিক ৫ গ্রাম প্রোটিন। তবে তা গরু ও সয়া দুধের চেয়ে তুলনামূলক কম। আমন্ডে রয়েছে উচ্চমানের ভিটামিন ‘ই’। তবে আমন্ড দিয়ে তৈরি দুধে আলাদাভাবে ভিটামিন ‘ই’ যোগ না করে পানি মেশালে ভিটামিন ‘ই’-এর পরিমাণ কমে যায়। তাই ভিটামিন ‘ই’-এর জোগানে আমন্ড বাদাম হিসেবে খাওয়া বেশি উপকারী। আইসক্রিম ও অন্যান্য দুগ্ধজাত খাবার তৈরিতে আমন্ড দুধের ব্যবহার করা যায়।

 

রাইস মিল্ক

যাদের অ্যালার্জির সংক্রমণ রয়েছে, তাদের জন্য রাইস মিল্ক আদর্শ। সিদ্ধ চাল, বাদামি চালের রস ও মাড় থেকে তৈরি হয় রাইস মিল্ক। গরুর দুধের তুলনায় এতে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ বেশি ও প্রোটিনের পরিমাণ থাকে কম। ৮ আউন্স পরিমাণ চিনিমুক্ত রাইস মিল্কে রয়েছে ১১৩ ক্যালরি, ২ গ্রাম ফ্যাট, ২২ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, শূন্য দশমিক ৬৭ গ্রাম প্রোটিন, ২৮৩ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ২৬ গ্রাম ম্যাগনেসিয়াম, ৬৫ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম। আরো রয়েছে ভিটামিন ‘এ’ ও ‘ডি’।

 

নারকেলের দুধ

নারকেলের দুধে রয়েছে উচ্চমানের ফ্যাট। দেখতে গরুর দুধের মতো ঘন হলেও এদের পুষ্টিমান ভিন্ন। এতে প্রোটিনের পরিমাণ গরুর দুধের চেয়ে কম। বেকিং করায় ও রান্নায় এর ব্যবহার করা যায় নির্দ্বিধায়।

 

সূত্র : মেডিকেল নিউজ টুডে

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads