• রবিবার, ৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪২৯
খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তনে কোটি মানুষের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব

সংগৃহীত ছবি

খাদ্য

খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তনে কোটি মানুষের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব

  • এস এম মুকুল
  • প্রকাশিত ০৫ মার্চ ২০২১

মানব সভ্যতার ইতিহাস থেকে জানা যায়, মানুষের পূর্বসূরিরা প্রায় ৩৫ লাখ বছর আগে জংলি গাছের পাতা ও ফলমূল ছেড়ে ঘাস ও শস্যজাতীয় উদ্ভিদ এবং সম্ভবত মাংসের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছিল। বিলুপ্ত ওই পূর্বসূরি প্রাণীর (হোমিনিন) জীবাশ্ম (ফসিল) থেকে সংগৃহীত দাঁতের রাসায়নিক গঠন বিশ্লেষণের পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন গবেষকরা এমন দাবি করেন। ক্যালিফোর্নিয়া একাডেমি অব সায়েন্সেসের গবেষক জেরেসেনারি অ্যালেসেগেড ও তার সহযোগীরা ১১টি প্রজাতির ১৭৫টি হোমিনিনের ফসিল নমুনা নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা চালান। উত্তর আফ্রিকা থেকে প্রাপ্ত এসব ফসিল অন্তত ১৪ থেকে ১৫ লাখ বছরের পুরোনো। এ গবেষণা নিয়ে পিএনএএস সাময়িকীতে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসে অভ্যস্ত হলে শুধু যে আপনি সুস্থ থাকবেন তা-ই নয়, তখন আপনার প্রয়োজনীয় খাদ্য উৎপাদনে গড়ে আগের চেয়ে কম পানি প্রয়োজন হওয়ার কারণে আপনার ওয়াটার ফুটপ্রিন্টও কমে যাবে। গবেষকরা বলছেন, খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তনের কারণে প্রতি বছর প্রায় এক কোটি ১০ লাখ মানুষের মৃত্যু ঠেকানো সম্ভব। অপরদিকে অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের কারণে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক এবং কয়েক ধরনের ক্যানসারে উন্নত দেশের মানুষ মৃত্যুর সবচেয়ে বড় কারণ। তবে সঠিক খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে সেই হার অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব বলে বিজ্ঞানীরা আশাবাদী। পরিবেশের ক্ষতি না করেই সামনের দশকগুলোয় বিশ্বের বাড়তি জনসংখ্যার খাদ্যের জোগান নিশ্চিত করাই গবেষকদের লক্ষ্য। শুধু খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তনের মাধ্যমে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমানো যাবে। জীববৈচিত্র্যের যেসব প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে সেগুলো রক্ষা করা যাবে। কৃষিজমি আর বাড়াতে হবে না এবং পানি সংরক্ষণ করা যাবে। এক্ষেত্রে খাদ্যের ফলে সৃষ্ট বর্জ্যের হার কমিয়ে আনা, সেইসঙ্গে বিদ্যমান জমিতে খাদ্যের উৎপাদন বাড়ানো জরুরি।

রোগ প্রতিরোধে সহায়ক

মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহর মতে, ‘শুধু খাদ্যাভ্যাস নয়, সুস্থ থাকার জন্য এর সঙ্গে আরো কিছু নিয়ম মেনে চলা দরকার। ধূমপান না করে, পান-জর্দা ও রাস্তার পাশের খোলা খাবার না খেয়ে, বিশুদ্ধ পানি পান করে, ঘরের খাবার বাসি হওয়ার আগেই খেয়ে আমরা সুস্থ থাকতে পারি।’ হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক অধ্যাপক ওয়াল্টার উইলেট বলেছেন, আমি নিজেও এক সময় তিন বেলা লাল গোশত খেতাম। এখন নিজেকে স্বাস্থ্যকর ডায়েটের আওতায় নিয়ে এসেছি। উইলেট বলেন, ‘খাবারের অনেক বৈচিত্র্য রয়েছে। আপনি ইচ্ছেমতো একটার সঙ্গে আরেকটা মিশিয়ে খাবার গ্রহণ করতে পারেন। আমরা কাউকে স্বাদ থেকে বঞ্চিত করতে এই ডায়েট প্রস্তুত করিনি। বরং এমন কিছু তৈরির চেষ্টা করেছি যেটা খাওয়া সহজ এবং উপভোগ্য।’

পরিবর্তন ও নিয়মানুবর্তিতা জরুরি

দেশে প্রায় দুই থেকে আড়াই কোটি লোক ডায়াবেটিস ও হূদরোগ আক্রান্ত। এদের অনেকেই অকাল মৃত্যুর শিকার হচ্ছে। এমন পরিস্থিতি ৩০ বছর আগে আমেরিকাতেও দেখা দিয়েছিল। কিন্তু অনেক গবেষণার পর সেখানে বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেন হূদরোগ ও ডায়াবেটিস আদৌ কোনো রোগ নয়। বিশৃঙ্খল তথা ভুল খাদ্যাভ্যাস, অপ্রাকৃতিক জীবন যাপনের ফলে হূৎপিণ্ড ও প্যানক্রয়াসের নিয়মিত কর্মে হূদরোগ বা ডায়াবেটিস হয়ে থাকে। প্রচলিত জীবনশৈলী পরিবর্তন ও সুষম পুষ্টির খাদ্যাভাস গড়ে তোলার ঝুঁকিপূর্ণ হূদরোগ (বকেজ) বৃদ্ধি বন্ধ হবে। সুস্থ সবল থাকতে হলে স্বাস্থ্য সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। যত বেশি প্রকৃতির সাথে সম্পর্ক থাকবে জীবন তত বেশি স্বাভাবিক থাকবে। ভুল খাদ্যাভ্যাস এবং অপ্রাকৃতিক জীবনযাপনে হূদরোগ, ডায়াবেটিসসহ অনেক রোগের ঝুঁকি বাড়ে। অপরদিকে খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন, শরীর চর্চা এবং নিয়মানুবর্তিতা এ রোগের ঝুঁকি কমায়। মনে রাখা দরকার, আল্লাহ মানুষকে প্রকৃতির সাথে সামঞ্জস্য করে সৃষ্টি করে পাঠিয়েছেন। প্রাকৃতিক সব সবজির মধ্যেই তেল রয়েছে। বাইরে থেকে তেল দেওয়ার তেমন প্রয়োজন নেই। তা ছাড়া তেল না খেলে তো মানুষ মারা যাবে না। বরং তেল না খেলে উপকার হবে।

পরিবর্তন আসছে খাদ্যাভ্যাসে

সময়ের বিবর্তন, স্বাস্থ্য সচেতনতা, রুচির পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের মানুষের খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন আসছে। তবে তা সর্বক্ষেত্রে নয়। তা ছাড়া ডায়াবেটিসসহ নানা রোগের প্রাদুর্ভাবের কারণে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনে বাধ্য হচ্ছে মানুষ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) খানা আয় ব্যয় জরিপ-২০১৬  প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশের মানুষের মাঝে খাদ্য গ্রহণে পরিবর্তন এসেছে।  কম ক্যালরিযুক্ত খাবার গ্রহণ বেড়েছে। খাদ্যাভ্যাসের মধ্যে মাছ গ্রহণের হার বেড়েছে। দুধ, চিনি, গরু ও খাসির মাংস গ্রহণের হার কমেছে। আবার বাইরের খাবার গ্রহণের হার কিছুটা বেড়েছে। খাদ্য গ্রহণের তালিকায় দেখা গেছে,  ২০১০ সালে দৈনিক মাথাপিছু এক হাজার গ্রাম খাদ্য গ্রহণ করা হলেও ২০১৬ সালে গ্রহণ করা হচ্ছে ৯৭৬ গ্রাম। চাল ও আটা গ্রহণের হার পূর্বের তুলনায় কিছুটা কমেছে। ভাতের পরিবর্তে খাদ্য-তালিকায় অন্য খাবার যোগ করার কিছু কারণ আছে। প্রথমত, পুষ্টির চাহিদা মেটাতে এখন মানুষ অন্যান্য খাবারের প্রতি ঝুঁকছে। সেইসঙ্গে মানুষের আর্থিক সক্ষমতা বেড়েছে। এ কারণে তাদের মধ্যে রুচিবোধেরও পরিবর্তন আসছে। এই পরিবর্তন প্রভাব ফেলছে স্বাস্থ্য সচেতনতায়। অন্যদিকে ডাল, শাকসবজি, মাছ, মুরগির মাংস ও ডিম খাওয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১০ সালে চাল ও আটা গ্রহণের পরিমাণ ছিল দৈনিক ৪১৬.০১ গ্রাম ও ২৬.০৯ গ্রাম। ২০১৬ সালে তা হ্রাস পেয়ে দাঁড়ায় ৩৬৭.১৯ গ্রাম ও ১৯.৮৩ গ্রামে।

কমবে পানির ব্যবহার

গবেষকরা বলছেন, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ব্যক্তিকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি খাদ্য উৎপাদনে ব্যবহূত পানির পরিমাণ কমানোর পেছনেও ভূমিকা রাখে। এ নিয়ে পরিচালিত এক গবেষণায় উঠে এসেছে, শরীরের গঠন অনুপাতে নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস পরিবেশ সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের কারণে একজন মানুষের ‘ওয়াটার ফুটপ্রিন্ট’ সর্বোচ্চ ৫৫% পর্যন্ত কম হতে পারে। উল্লেখ্য, একদিনে একজন মানুষের মোট ব্যবহূত পানি ও তার জীবনধারণের জন্য প্রয়োাজনীয় সব ধরনের পণ্য ও সেবা উৎপাদনে যে পরিমাণ পানি ব্যবহূত হয় তার যোগফলকে সাধারণত ঐ ব্যক্তির ‘ওয়াটার ফুটপ্রিন্ট’ হিসেবে প্রকাশ করা হয়। ইতালি, জার্মানি ও যুক্তরাজ্যের মানুষের খাদ্যাভ্যাসের ওপর ভিত্তি করে করা হয়েছে এই গবেষণা। গবেষণা থেকে পাওয়া তথ্য- পানি ব্যবহারে মিতব্যয়ী হওয়ার জন্য পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই নানা ধরনের প্রচারণা চালানো হয়। কিন্তু খাদ্য উৎপাদনে কি পরিমাণ পানি ব্যবহূত হয় সে বিষয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি হয়নি। যেমন পশুপালনে বিপুল পরিমাণ পানি প্রয়োাজন হয়। তেল, চিনি ও চর্বিজাতীয় খাবার উৎপাদনেও অনেক পানি প্রয়োাজন। ফলমূল ও শাকসবজি উৎপাদনে পানি ব্যবহূত হয় অপেক্ষাকৃত কম।

স্বাস্থ্যকর নিরামিষাশী আহারের ফলে পানি ব্যবহারের হার ৩৫-৫৫% পর্যন্ত কমানো যাবে। পৃথিবীতে সুপেয় পানির উৎস দিনদিন কমে আসছে। আর দ্রুতবেগে জনসংখ্যা বৃদ্ধি, জীবনধারার পরিবর্তন ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এই সমস্যা আরো প্রকট আকার ধারণ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মাংস ও সব ধরনের খাদ্য উপাদানসহ নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের ফলে খাবার উৎপাদনে পানির ব্যবহার ১১-৩৫% পর্যন্ত কমানো সম্ভব। খাদ্য তালিকায় মাংস বাদ দিয়ে মাছ ও তেলবীজ জাতীয় খাদ্যকে প্রাধান্য দিয়ে খাদ্য তালিকা তৈরি করলে পানি ব্যবহারের মাত্রা ৩৩-৩৫% পর্যন্ত কমানো সম্ভব হবে। মানুষের বর্তমান খাদ্যাভ্যাস ও গবেষকদের সুপারিশকৃত খাদ্যাভ্যাসে সাপেক্ষে খাদ্য উৎপাদনের সাথে সংশ্লিষ্ট পানি ব্যবহারের মাত্রার তারতম্য পর্যালোচনা করে তৈরি করা হয়েছে গবেষণাটি।

সুরক্ষায় স্বাস্থ্যকর ডায়েট

মজার ব্যাপার হলো, পৃথিবীকে রক্ষার প্রতিশ্রুতি নিয়ে একটি ডায়েট প্রস্তুত করেছেন বিজ্ঞানীরা, যা দিয়ে সামনে দশকগুলোতে একশ’ কোটিরও বেশি মানুষকে খাওয়ানো যাবে। আরো মজার ব্যাপারটি হচ্ছে গোশত এবং দুগ্ধজাতীয় খাবার বাদ না দিয়েই এ ডায়েটটি তৈরি করা হয়েছে। প্রোটিন চাহিদার একটা বড় অংশ মেটাতে সেখানে বাদাম, বিভিন্ন ধরনের ডাল আর বীজ যুক্ত করা হয়েছে। বিজ্ঞানীদের পরামর্শ হলো ডায়েট থেকে গোশতের পরিমাণ কমিয়ে বিকল্প প্রোটিনের উৎস্য খোঁজা। যেসব পুষ্টিকর খাবার আমরা এড়িয়ে যেতে চাই সেগুলোর প্রতি আগ্রহ জন্মানোর ওপরও তারা জোর দেন। গবেষণা করে বিজ্ঞানীরা বলছেন, যেসব খাবারে পেট ভরিয়ে রাখি, সেখানে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা জরুরি। এর জন্য ‘দ্য প্লানেটারি হেলথ ডায়েট’ অর্থাৎ পৃথিবী সুরক্ষায় স্বাস্থ্যকর ডায়েট নামে একটি উপায় বের করা হয়েছে। ইট-ল্যান্সেট কমিশনের অংশ হিসাবে বিশ্বের প্রায় ৩৭ জন বিজ্ঞানীর একটি দলকে একত্রিত করা হয়। সেখানে কৃষি থেকে শুরু করে জলবায়ু পরিবর্তন সেইসঙ্গে পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা ছিলেন। টানা দুই বছর গবেষণার পর তারা এই ডায়েট তালিকা তৈরি করেছেন, যেটা পরবর্তীসময়ে ল্যানসেটে প্রকাশ করা হয়। এখন তাদের লক্ষ্য বিভিন্ন দেশের সরকার এবং ডাবিউএইচও’র মতো সংস্থাগুলোর কাছে এই গবেষণা ফলাফল পাঠানো। যেন সব জায়গায় এই খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন আনা যায়।  তবে বিজ্ঞানিরা বলছেন এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে গেলে বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তের খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে হবে। বিশেষ করে ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকায় লাল গোশত খাওয়ার হার ব্যাপকভাবে কমাতে হবে। পূর্ব এশিয়াকে মাছের ওপর নির্ভরতা এবং আফ্রিকায় শ্বেতসার সবজির খাওয়ার পরিমাণ কমানো প্রয়োজন। স্টকহোম বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টকহোম রেসিলিয়েন্স সেন্টারের পরিচালক লাইন গর্ডন বলেন, ‘আগে কখনোই এই হারে এবং এই গতিতে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করা হয়নি’। লাল গোশতের ওপর কর বাড়ানো ডায়েটে পরিবর্তন আনার একটা উপায় হতে পারে বলে মনে করেন গবেষকরা।

পরিবর্তন আনুন খাদ্যাভ্যাসে

সুস্থ-সবল জীবনযাপনের জন্য গবেষকরা প্রতিদিন বাদাম, বীজ বা ডাল খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।  সেইসঙ্গে বিভিন্ন ধরনের ফল এবং সবজি খাওয়া বাড়ানোর কথাও বলেছেন। শ্বেতসারযুক্ত খাবার যেমন আলু বা কাসাভাও ডায়েটে যুক্ত করা যেতে পারে।

আপনি যদি প্রতিদিন গোশত খেয়ে থাকেন তাহলে ডায়েটে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা জরুরি। তার মানে এই নয় যে, আর গোশতই খাবেন না। গোশত খাবেন, তবে পরিমিত হারে।

সুস্থ সুন্দর জীবনযাপনের জন্য নিয়মিত একটি সুস্থ খাদ্যাভ্যাস মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই। তা না হলে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। খাদ্যাভ্যাস কীভাবে তা গড়ে তুলবার বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন—

- আপনার প্রতিদিনের খাবারের বিস্তারিত লিপিবদ্ধ করুন ফুড ডায়েরিতে। এতে আপনার দৈনন্দিন ক্যালরি গ্রহণের তালিকাও সংরক্ষণ করুন।

- ওজন নিয়ন্ত্রণে যদি খাবার কিংবা পানীয় বাড়াতে বা কমাতে হয় তাহলে ছোট ছোট পরিবর্তন করুন।

- সকালের নাস্তায় বেশি করে প্রোটিন এবং আঁশজাতীয় খাবার সুস্থ থাকতে সহায়তা করে।

- খাওয়ার সময় খাবারের দিকেই মনোযোগী হোন। ভালোভাবে চিবিয়ে খান।

- খাবারে বেশি পানি রয়েছে সেসব খাবার বেশি করে খান।

- চিনি, সাদা ময়দায় রুটি, বিস্কুট যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন।

- মূল খাবারে কার্বহাইড্রেট বাদ না দিয়ে সীমিত মাত্রায় আনা প্রয়োজন। ঢেঁকিছাঁটা চাল, লাল আটা, মিষ্টি আলু, ডাল, সালাদ ইত্যাদি গ্রহণ করতে পারেন।

- বাড়তি উদ্বেগ সমস্যা সমাধান না করে বরং আপনাকে মানসিকভাবেও বিপর্যস্ত করতে পারে।

- একঘেয়ে খাবারে নানা বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। খাবারের প্লেট যেন প্রতিনিয়ত নিত্যনতুন খাবার ওঠে সে চেষ্টা করুন।

সূত্র : বিবিসি বাংলা,  হেলথ অ্যান্ড সায়েন্স

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads