• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
'দেশের যেকোনো হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পারবেন খালেদা জিয়া'

ফাইল ছবি

সরকার

'দেশের যেকোনো হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পারবেন খালেদা জিয়া'

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ০৮ মার্চ ২০২১

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দেশের যেকোনো জায়গায় বিশেষায়িত চিকিৎসা নিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। আজ সোমবার সচিবালয় সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

আইনমন্ত্রী বলেন, পরিবারের সাজা স্থগিতের সময়সীমা বাড়ানো এবং বিশেষায়িত চিকিৎসার জন্য যে আবেদন, সেটি আমাদের কাছে মতামতের জন্য পাঠানো হয়েছিল। আমরা যে মতামত দিয়েছি সেটি হলো আগের মতো উনার এই সাজা স্থগিত করে বেগম খালেদা জিয়ার সাজা আরও ছয় মাসের জন্য বাড়ানো হয়েছে। যে শর্তগুলো আগে ছিল সেগুলো হলো তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না এবং বাসায় থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করবেন। সেই শর্ত সাপেক্ষে এটাকে বাড়ানো হয়েছে।

তিনি জানান, আবেদনে তারা একটা কথা লিখেছিলেন বিশেষায়িত চিকিৎসার ব্যাপারে, মতামতে বলা হয়েছে দেশের ভিতরে তিনি যদি বিশেষায়িত চিকিৎসা নেন সরকারের তাতে কোনো আপত্তি নেই।

তবে আবেদনে বিশেষায়িত চিকিৎসার ব্যাপারে লেখা হয়েছিল জানিয়ে মন্ত্রী বলেন,আমরা আবেদনপত্র পড়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং এই মতামত দিয়েছি। তবে তার হাসপাতাল কোনো নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়নি। তিনি স্পেশালিস্ট কাকে রাখবেন সেই স্বাধীনতা তার রয়েছে।

তিনি বলেন, আগে যে দুটি শর্ত ছিল সেই দুটি শর্তই রয়েছে। তারা বিশেষায়িত চিকিৎসার ব্যাপারে উল্লেখ করেছেন, এক্ষেত্রে কোন চিকিৎসকে তিনি রাখবেন “দ্য চয়েজ উইল বি হার।স্পেশালিস্ট হিসাবে দেখাতে চান সেজন্যেই বলা হয়েছে বিশেষায়িত চিকিৎসার ব্যাপারে তিনি যদি দেশের ভেতরে পদক্ষেপ নেন তবে সরকার কোনো আপত্তি থাকবে না।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে ছিলেন খালেদা জিয়া। গত বছরের ২৫ মার্চ ৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়াকে ২৫ মাস কারাভোগের পর সরকার শর্তসাপেক্ষে ছয় মাসের জন্য দণ্ড স্থগিত করে। এরপর দ্বিতীয় দফায় ফের ছয় মাস সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হয়। সে মেয়াদ আগামী ২৫ মার্চ শেষ হচ্ছে।খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দার এ সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য গত মঙ্গলবার আবেদন করেন। একইসঙ্গে দণ্ডাদেশ মওকুফ করা যায় কি না সে প্রসঙ্গেও তারা আবেদন। এরপর আবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এখন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আবেদনটি পাঠানো হবে। 

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads