• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
এসএসএফে মুগ্ধ বিদেশি অতিথিরা: প্রধানমন্ত্রী

সংগৃহীত ছবি

সরকার

এসএসএফে মুগ্ধ বিদেশি অতিথিরা: প্রধানমন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৬ জুন ২০২১

করোনা সংক্রমণের ঝুঁকির মধ্যেও স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) সুচারুভাবে দায়িত্ব পালন করছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, চলমান করোনাভাইরাসের আমন্ত্রিত অতিথি ও তাদের সফর সঙ্গীদের নিরাপত্তা দেওয়া একটা কঠিন দায়িত্ব ছিল, বড় একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। এসএসএফ অত্যন্ত দক্ষতার সাথে আমন্ত্রিত অতিথিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছেন। বাংলাদেশ সফর করে যাওয়া প্রত্যেক সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান এসএসএফ-এর নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও দায়িত্বশীলতার প্রশংসা করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার সকালে এসএসএফর ৩৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। আধুনিক এই সমন্বিত বাহিনী বিশ্বে প্রশংসা কুড়িয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদেশি অতিথিদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা এতো চমৎকারভাবে করেছেন প্রত্যেকেই প্রশংসা করেছেন। সবাই তাদের দক্ষতা, আন্তরিকতা দেখে মুগ্ধ হয়েছেন। 

প্রতিনিয়ত প্রযুক্তির আধুনিকায়ন ও অপরাধের ধরন পরিবর্তনের কথা তুলে ধরে সরকার প্রধান বলেন, আমাদের সব সময় চেষ্টা ছিল এই আধুনিক জগতের সঙ্গে তালমিলিয়ে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) প্রশিক্ষিত হবে এবং দক্ষতা বাড়বে। সে জন্য দেশে বিদেশে ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা... একই সঙ্গে ভবিষ্যতে আরো সুযোগ আমরা সৃষ্টি করে দিচ্ছি। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে এসএসএফের ভূমিকার প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের পক্ষ থেকে ১০০টি গৃহহীন পরিবারের জন্য ২ কোটি টাকা একটি ব্যাংক ড্রাফট প্রধানমন্ত্রীর হস্তান্তর করেন বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মজিবুর রহমান।  মুজিববর্ষে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের ৩৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর স্মারক হিসেবে এসএসএফ -এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মজিবুর রহমান সম্পাদিত ‘মুজিব-বাঙালি-বাংলাদেশ’ নামে একটি ই-বুক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

এদিন বাংলাদেশ কৃষক লীগের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে সবাইকে একটি করে বনজ, ফলজ ও ভেষজ গাছ লাগানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবাই তিনটি করে গাছ লাগান- একটা হচ্ছে বনজ, একটা ফলজ, একটা ভেষজ। প্রত্যেকে অন্তত এই গাছটা লাগাবেন। কারণ গাছ আপনাদের আর্থিকভাবেও মূল্য দেবে, পরিবেশও রক্ষা হবে আর পুষ্টির জোগানও দেবে। কাজেই সেদিকে লক্ষ্য রেখেই এই তিনটি গাছ লাগানোর জন্য সবাইকে আমি আহ্বান জানাচ্ছি।

আওয়ামী লীগ ও দলের সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, আমি আমাদের প্রত্যেকটা সহযোগী সংগঠন এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ী, আমাদের কৃষক লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগসহ সব সহযোগী সংগঠন এমনকী বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ থেকে শুরু করে সবাইকে আমি আহ্বান জানাবো যে মুজিব আদর্শে যারা বিশ্বাস করেন প্রত্যেকে অন্তত তিনটি করে গাছ লাগাবেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে, জাতির পিতার আদর্শ নিয়ে এই বাংলাদেশকে আমরা গড়ে তুলতে চাই। আমাদের সবুজ শ্যামল বাংলাদেশ আরো সবুজ হোক, আরো সুন্দর হোক এবং আমাদের পরিবেশ যেন ঠিক থাকে। পরিবেশ ও প্রতিবেশ ঠিক রেখে এই বাংলাদেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন আমরা করতে চাই। সেই উন্নয়নের জন্যই আমাদের এই পদক্ষেপ।

বাংলাদেশে বনভূমির পরিমাণ বেড়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশে যেখানে আমি ১৯৯৬ সালে দেখেছিলাম মাত্র ৭ শতাংশ আমাদের বনায়ন ছিল। আজ আমরা ২২ শতাংশে কিন্তু উন্নীত হয়েছি। তাছাড়া সারা বাংলাদেশে সামাজিক বনায়ন থেকে শুরু করে মানুষের ঘরে ঘরে বাগান...আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এইভাবেই আমরা চাই আমাদের বনায়ন যেমন বাড়বে, পরিবেশ উন্নত হবে। আমাদের প্রতিবেশ সুন্দরভাবে গড়ে উঠবে। সঙ্গে সঙ্গে আমাদের দেশটা সারা বিশ্বে একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।

আওয়ামী লীগের জনকল্যাণমূলক কাজের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সব সময় আমাদের দেশের কল্যাণে কাজ করে, জাতির কল্যাণে কাজ করে। জাতির পিতা আমাদের দেশ স্বাধীন করে দিয়েছেন। আমরা জাতির আদর্শ নিয়েই আমরা আমাদের সব পদক্ষেপ নেই।

পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল গণভবনের আঙিনায় দুটি গাছের চারা রোপণ করেন। এসময় অন্যদের মধ্যে কৃষক লীগ সভাপতি সমীর চন্দ্র চন্দ ও সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads