• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
যতই ঝুঁকি আসুক উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

সংগৃহীত ছবি

সরকার

যতই ঝুঁকি আসুক উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

  • বাসস
  • প্রকাশিত ১৩ অক্টোবর ২০২১

সকলকে দুর্যোগের ঝুঁকি বিষয়ে সতর্কতার সাথে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যতই ঝুঁকি আসুক দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই দেশটা আমাদের, কাজেই যত ঝুঁকি আসুক দেশের উন্নয়ন আমাদেরকে অব্যাহত রাখতে হবে। দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে হবে। দারিদ্রের হাত থেকে মানুষকে মুক্তি দিতে হবে।’

বঙ্গবন্ধু কন্যা জাতির পিতার ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ থেকে সেই বিখ্যাত উক্তি ‘আমাদের কেউ দাবায়ে রাখতে পারবানা’র উদ্ধৃতি তুলে ধরে বলেন, ‘যত দুর্যোগই আসুক বাঙালিকে, বাংলাদেশকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবেনা-এটাই হচ্ছে আমাদের কথা।’

শেখ হাসিনা আজ সকালে ঘুর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি’র (সিপিপি) ৫০ বছর পদার্পন ও আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস ২০২১ উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।

তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় আয়োজিত মুল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানের অপরপ্রান্তে মুক্তিযোদ্ধা মাঠ কক্সবাজার প্রান্তও সংযুক্ত ছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সাড়াবিশ্বে আজকে দুর্যোগ ঝুঁকি মোকবেলায় একটি আদর্শ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। আমাদের এই সম্মান যাতে বজায় থাকে সেজন্য ভবিষ্যতে সে বিষয়েও সকলকে সচেতন থাকতে হবে এবং এই ব্যবস্থা অব্যাহত রাখতে হবে।

তিনি এ সময় ’৯১ সালের ঘুর্ণিঝড়ের পর আওয়ামী লীগের সংসদে এই নিয়ে কথা তোলার প্রেক্ষিতে সে সময়কার প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার উক্তি ‘যত মানুষ মরার কথা ছিল তত মানুষ মারা যায় নাই’ উল্লেখ করে বলেন, এই কথা জীবনে যেন আর শুনতে না হয় সেজন্য সবাইকে সচেতন থাকতে হবে এবং মানুষকে সচেতন করতে হবে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা.মো এনামুর রহমান এবং ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসীন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে চারটি ইউনিটেরও উদ্বোধন করেন। এগুলো হচ্ছে- দ্রুত সাড়াদান ইউনিট, পানি থেকে উদ্ধার ইউনিট, অতি জোয়ার মনিটরিং ও সাড়াদান ইউনিট এবং খেলায় খেলায় দুর্যোগ প্রস্তুতি ইউনিট (স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়ে জনসচেতনতামূলক)। এছাড়া, ‘দুর্যোগ সহনশীল বাংলাদেশ বিনির্মাণে শেখ হাসিনা’ শীর্ষক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক একটি গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন তিনি এবং দুর্যোগ প্রশমন বিষয়ক আওয়ামী লীগ সরকারের প্রচেষ্টা সম্পর্কিত ভিডিও চিত্র ‘দুর্যোগ প্রশমনের ৫০ বছর বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা’ শীর্ষক ভিডিও চিত্র ও অনুষ্ঠানে পরিবেশিত হয়।

সিপিপি’র ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে ৩ জন সংগঠক এবং ৬ জন স্বেচ্ছাসেবক নারী-পুরুষকে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ডা.এনামুর রহমান অনুষ্ঠানে আজীবন সম্মাননা প্রদান করেন।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস গণভবন প্রান্ত থেকে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।

মন্ত্রিপরিষদ সদস্যরা, সংসদ সদস্য, তিনবাহিনী প্রধানসহ সরকারের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা, বিদেশি কূটনিতিক ও মিশন প্রধান, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ এবং আমন্ত্রিত অতিথিবা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

সিপিপি’র স্বেচ্ছাসেবকদের দলে নারী স্বেচ্ছাসেবক অন্তর্ভূক্ত করায় এই কর্মসূচি অতীতের থেকে আরো বেশি কার্যকর হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগের ঝুঁকি থেকে যাতে আমরা মুক্ত হতে পারি সেই ব্যবস্থা আমরা সবসময় নেব।

জাতির পিতার পদাংক অণুসরণ করে মানুষকে দুর্যোগ নিরাপত্তা প্রদানসহ মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণেও তাঁর সরকার উদ্যোগ নিয়েছে উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, আগামীতে বাংলাদেশ উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে যে এগিয়ে যাবে সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি রেখেই আমরা বিভিন্ন পরিকল্পনা প্রণয়ন করে দিয়ে গেলাম।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সবসময় জনগণের পাশে আছে। দুর্যোগে আর কেউ না থাকুক আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সবসময় পাশে রয়েছে।

তিনি এই সময় করেনাকালিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আওয়ামী লীগ এবং তাঁর সহযোগি সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কথা স্মরণ করে বলেন, মৃতের দাফন-কাফন থেকে শুরু করে তাঁদের ঘরে খাবার পৌঁছে দেয়ার কাজটা আমরা সরকারের পক্ষ থেকে যেমন করেছি তেমনি দলের পক্ষ থেকেও করেছি । তবে, আর কাউকেই এভাবে এগিয়ে আসতে আমি দেখি নাই।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads