• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮

সরকার

২৭ টাকায় ধান, ৪০ টাকা কেজিতে চাল কিনবে সরকার

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ৩১ অক্টোবর ২০২১

চলতি অর্থবছরের জন্য আমন ধান, চাল ও গমের সরকারি সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করেছে সরকার। আগামী ৭ নভেম্বর থেকে ২৭ টাকা কেজি দরে ৩ লাখ টন আমন ধান ও ৪০ টাকা কেজি দরে ৫ লাখ টন চাল সংগ্রহ করবে সরকার।

আজ রোববার (৩১ অক্টোবর) খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের সভাপতিত্বে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির এক ভার্চ্যুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, মৎস্য ও প্রাণি সম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বক্তব্য রাখেন।

সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে (২০২১-২২) আগামী ৭ নভেম্বর’২০২১ থেকে আমন ধান ও চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হবে। প্রতি কেজি আমন ধান ২৭ টাকা, চালের মূল্য প্রতি কেজি ৪০ টাকা এবং গমের মূল্য প্রতি কেজি ২৮ (আটাশ) টাকা নির্ধারণ করা হয়। এ সময়ে ৩ (তিন) লাখ মেট্রিক টন আমন ধান, ৫ (পাঁচ) লাখ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল সংগ্রহ করা হবে। এছাড়া আগামী ১ এপ্রিল’২০২২ থেকে ১.৫ (দেড়) লাখ মেট্রিক টন গম ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গত বছর আমন ধান ও চালের দাম ছিল যথাক্রমে ২৬ (ছাব্বিশ) ও ৩৬ (ছত্রিশ) টাকা।

সভাপতির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, কৃষকের জন্য ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে চায় সরকার। পাশাপাশি খাদ্যের নিরাপত্তা মজুতও বৃদ্ধি করতে চায়। বেরো ধান সংগ্রহে সফল হয়েছে সরকার। সে ধারাবাহিকতায় আমন সংগ্রহেও সফলতা অর্জন সম্ভব হবে।

কৃষিমন্ত্রী ডা. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কৃষি প্রকৃতি ও অঞ্চল নির্ভর। দেশে ধানের পাশাপাশি পেঁয়াজ, রসুনসহ আরও বেশ কিছু কৃষি পণ্য উৎপাদিত হলেও সংরক্ষণের অভাবে কৃষক ন্যায্য মূল্য হতে বঞ্চিত হয়। দেশে কৃষি জমির পরিমাণ কমে যাওয়া, শিল্পকারখানা বৃদ্ধি পাওয়া এবং সর্বোপরি নন হিউম্যান কনজামশন বেড়ে যাওয়ার পরও উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জন্য লবণাক্ততা সহিষ্ণু ধানের আবাদ শুরু হয়েছে। ধানের উৎপাদন টেকসই করতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, বাংলাদেশ খাদ্য পণ্যসহ আরও বেশ কিছু পণ্য বিদেশে রপ্তানি করে থাকে। মান সম্পন্ন পণ্য উৎপাদন হলে রপ্তানি সম্ভাবনা আরও বাড়বে।

সভায় অর্থ মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সিনিয়র সচিব এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মতামত তুলে ধরেন এবং খাদ্যের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads