জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) এবং হল সংসদ নির্বাচনের প্রথমবারের আয়োজন স্থগিত ঘোষণা করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করেছেন।

মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল নয়টার পর শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। এ প্রতিবেদন লেখার সময় উপাচার্য ভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ করছেন তারা। তারা নির্বাচনের স্থগিত ঘোষণার প্রতিবাদ জানাচ্ছেন এবং ভোটারদের অংশগ্রহণের অধিকার পুনরায় নিশ্চিত করার দাবি করছেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম জানান, একটি জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মিটিং শেষে এক সিন্ডিকেট সদস্য বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে, ভোট গ্রহণ শুরুর সময় নির্ধারিত ছিল সকাল ৮টা ৩০ মিনিট। কিন্তু বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুর খবরে জরুরি সিন্ডিকেট সভা আহ্বান করা হয়। এ সময় সিদ্ধান্তটি পুনর্বিবেচনা করার কথা জানানো হয়েছিল।

নির্বাচনের জন্য সকল প্রস্তুতিও সম্পন্ন হয়েছিল। সকাল থেকেই দূরবর্তী জেলা থেকে শিক্ষার্থীরা বাসে করে ক্যাম্পাসে আসতে দেখা গেছে। এদিকে ক্যাম্পাস ও আশপাশে ভোট কেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে পুলিশের পাশাপাশি রোভার স্কাউট ও বিএনসিসির সদস্যরা দায়িত্বে ছিলেন।

এবারের জকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ১৬ হাজার ৩৬৫। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৯টি কেন্দ্রে ১৭৮টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। নির্বাচনে ২১টি পদে ১৫৭ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এবং হল সংসদের ১৩টি পদে ৩৩ প্রার্থী অংশগ্রহণ করছেন।

উল্লেখযোগ্য প্যানেলগুলোর মধ্যে রয়েছে ছাত্রদল সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’, ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য’, ছাত্রশক্তি সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান’ এবং বামপন্থী মওলানা ভাসানী ব্রিগেড প্যানেল। এছাড়া একটি আংশিক প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছিলেন।

শিক্ষার্থীরা এই বিক্ষোভের মাধ্যমে নির্বাচনের স্থগিত ঘোষণার প্রতিবাদ জানাচ্ছেন এবং ভোটাধিকার পুনরায় কার্যকর করার দাবি জানাচ্ছেন।

এমএইচএস