বায়ুদূষণে আজ বিশ্বের ১২৬টি শহরের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক মনিটরিং প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের সূচকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার তথ্য অনুযায়ী ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর দাঁড়িয়েছে ৩০২। যা ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ পর্যায়ে পড়ে।

ঢাকার কয়েকটি এলাকায় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ। মিরপুরের দক্ষিণ পল্লবী এলাকায় একিউআই ৩৭৪, ইস্টার্ন হাউজিং এলাকায় ৩৫৪, মাদানি সরণির বেজ এজওয়াটার ৩৩৪ এবং কল্যাণপুরে ৩০৪ স্কোর রেকর্ড হয়েছে— সবকটিই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ মাত্রায়।

এ ছাড়া গুলশানের গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এলাকায় সূচক ২৮৭ এবং পীরেরবাগ রেললাইন এলাকায় ২০২—যা ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে চিহ্নিত।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ঢাকার ভয়াবহ বায়ুদূষণের মূল কারণ অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা পিএম ২.৫। আজ সকালে এই বস্তুকণার পরিমাণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ডের তুলনায় ২৭ গুণেরও বেশি পাওয়া গেছে।

দেশের অন্যান্য অঞ্চলও দূষণে আক্রান্ত। সাভারের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বাতাসের মান আজ সবচেয়ে খারাপ—সেখানে একিউআই ৪১২, যা ঝুঁকিপূর্ণ মাত্রারও ওপরে। খুলনা শহরের একিউআই স্কোরও ৩০২, নির্দেশ করছে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ পরিবেশ।

আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মানকে ভালো হিসেবে ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০-এর মধ্যে স্কোর হলে তা মাঝারি বা সহনীয় মানের বায়ু নির্দেশ করে। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১৫১ থেকে ২০০ স্কোরের বায়ু সাধারণভাবে অস্বাস্থ্যকর ধরা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ স্কোর পৌঁছালে বাতাসকে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে গণ্য করা হয়। আর ৩০১-এর বেশি স্কোর হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ পর্যায়ের বায়ুদূষণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

ক্রমাগত বায়ুদূষণের এই পরিস্থিতি জনস্বাস্থ্যকে চরম ঝুঁকির মুখে ফেলছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যবিদরা।

এমএইচএস