নারায়ণগঞ্জ–৩
মান্নানকে প্রার্থী করায় তৃণমূলে ‘বিরূপ প্রতিক্রিয়া’, ৭ নেতার আপত্তি
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ২০:৫১
ছবি : বাংলাদেশের খবর
নারায়ণগঞ্জ–৩ (সোনারগাঁ–সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন নিয়ে নতুন করে বিরোধ দেখা দিয়েছে। প্রার্থী হিসেবে আজহারুল ইসলাম মান্নানের নাম ঘোষণার পর তৃণমূলে ‘বিরূপ প্রতিক্রিয়া’ তৈরি হয়েছে বলে দাবি করে সাতজন মনোনয়ন–প্রত্যাশী মনোনয়ন পরিবর্তনের আবেদন পাঠিয়েছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে।
বুধবার দলীয় মহাসচিবের মাধ্যমে পাঠানো ওই আবেদনে সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক রেজাউল করিম, সাবেক এমপি মুহম্মদ গিয়াস উদ্দিন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, ওয়ালিউর রহমান আপেল, আবু জাফর, ওয়াহিদ বিন ইমতিয়াজ বকুল ও আল মুজাহিদ মল্লিক স্বাক্ষর করেন। এর আগে তারা ঢাকার একটি বাসায় বৈঠক করে মনোনয়ন পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেন।
আবেদনে মান্নানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, জমি দখল, নৌপথে সন্ত্রাসী তৎপরতা, মামলা ব্যবসা, অবৈধ বালু বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ আনা হয়েছে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির কয়েকজন জনপ্রতিনিধিকে ‘টাকার বিনিময়ে’ ইউপি চেয়ারম্যান পদে বসানোর অভিযোগও করা হয়েছে।
এ ছাড়া সিনিয়র নেতাদের নিয়ে ‘অশালীন মন্তব্য’, সাধারণ মানুষের সঙ্গে খারাপ আচরণ এবং তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতার ঘাটতি দলের ভাবমূর্তিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে বলে আবেদনকারীরা উল্লেখ করেছেন।
সাতজন মনোনয়ন–প্রত্যাশীর দাবি, মান্নানকে প্রার্থী করলে বিজয়ের সম্ভাবনা কমে যাবে। জামায়াতের প্রার্থী ড. মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া ‘শিক্ষিত ও পরিচ্ছন্ন’ হওয়ায় তাঁকে মোকাবিলায় ‘যোগ্য ও গ্রহণযোগ্য’ প্রার্থী প্রয়োজন। তারা আরও জানান, তাদের মধ্য থেকে যেকোনো একজনকে মনোনয়ন দিলে বাকিরা একযোগে তার পক্ষে কাজ করবেন।
তবে এসব অভিযোগ আমলে নিতে চান না আজহারুল ইসলাম মান্নান। তিনি বলেন, যে কাজ করে তার ভুল–ত্রুটি হয়। ‘আমি দুর্বল হলে সাতজনকে একসঙ্গে আসতে হতো না।’ মনোনয়ন পরিবর্তনের উদ্যোগকে তিনি ‘স্বাভাবিক রাজনীতি’ হিসেবে দেখছেন।
মনোনয়ন নিয়ে এই বিরোধে সোনারগাঁ–সিদ্ধিরগঞ্জের রাজনীতিতে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। এখন কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের দিকেই তাকিয়ে আছেন দলের নেতাকর্মীরা।
ইমতিয়াজ/এআরএস

