Logo

সারাদেশ

সপ্তাহের বেশি সময় ধরে পঞ্চগড়ে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ

Icon

পঞ্চগড় প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৩৫

সপ্তাহের বেশি সময় ধরে পঞ্চগড়ে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ

ছবি : বাংলাদেশের খবর

ভোরে রোদ ঝলমল করলেও এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে পঞ্চগড়ে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। রাতে ও ভোরে বরফের মতো ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকলেও রাতের তাপমাত্রা অতি নিম্নমুখী হওয়ায় তীব্র শীতে কাতর হচ্ছে উত্তরাঞ্চলের এই হিমকন্যা জেলা।

বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) ভোর ৬টায় রেকর্ড করা হয়েছে ৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা ছিল ৯.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

১১ ডিসেম্বর থেকে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে থাকায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে বলে জানিয়েছেন জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কর্মকর্তা।

জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পূবালী সূর্যের আলো ছড়িয়ে উঠলেও বইছে হিমেল হাওয়া। বাতাসের আদ্রতা শতভাগ এবং বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৯-১০ কিলোমিটার থাকায় শীতের তীব্রতায় কাতর হচ্ছে মানুষ। হতদরিদ্ররা বাড়ির আঙিনায় খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করছেন। জীবিকার তাগিদে শীত উপেক্ষা করেই কাজে যেতে দেখা যাচ্ছে নিম্নআয়ের মানুষদের।

সকালে ভ্যান চালক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, শীতের কারণে ভোরে যাত্রী কমে যাওয়ায় আয়-রোজগার কমে গেছে। এতে পরিবার নিয়ে কিছুটা কষ্টে দিন কাটছে।

চা শ্রমিকরা, যেমন আরশেদ ও ইমান জানান, দিনের বেলায় রোদ থাকলেও সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত তীব্র শীতের কারণে চা বাগানে কাজ করতে কষ্ট হচ্ছে। ভোরে পাতা তুলতে গেলে গাছের পাতা যেন বরফের খণ্ড মনে হয়। অন্য কোনো কাজ না থাকায় জীবিকার কারণে চা বাগানেই কাজ করতে হচ্ছে। শীতের কারণে উপার্জন কমে যাওয়ায় পরিবার নিয়ে কষ্টে দিন কাটছে। দিন মজুরদেরও একই কষ্ট।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে ১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা থাকায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। বৃহস্পতিবার ভোর ৬টায় রেকর্ড করা হয়েছে ৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১১ ডিসেম্বর থেকে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে থাকার কারণে শৈত্যপ্রবাহ বজায় রয়েছে।

এসকে দোয়েল/এমএইচএস 

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

আবহাওয়া

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর