সুদানে শান্তি মিশনে নিহত সেনা সদস্য সবুজের দাফন সম্পন্ন
গাইবান্ধা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯:৪৮
সুদানে জাতিসংঘের (ইউএন) শান্তিরক্ষা মিশনের ঘাঁটিতে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ছয় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীর একজন, সেনাবাহিনীর লন্ড্রি কর্মচারী মো. সবুজ মিয়ার মরদেহ আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) গাইবান্ধায় পৌঁছেছে।
বিকেলে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে মরদেহ গাইবান্ধা হেলিপ্যাডে নামানো হয়। সেখানে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে মরদেহ গ্রহণ করেন ক্যাপ্টেন মুহতাসিন আলভি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জাবের আহম্মেদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা।
এরপর সেনাবাহিনীর গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্সে করে মরদেহ নেওয়া হয় পলাশবাড়ী উপজেলার মহদিপুর ইউনিয়নের আমলাগাছি (ছোট ভগবানপুর) গ্রামে নিহতের বাড়িতে। মরদেহ পৌঁছালে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। এক নজর দেখতে শত শত নারী-পুরুষ ভিড় করেন। স্বজনদের আহাজারিতে হৃদয়বিদারক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
নিহত সবুজের মা সাকিনা বেগম ও স্ত্রী নুপুর আক্তার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘সবুজ ছুটিতে এসে সন্তান নেওয়ার কথা বলেছিল। কিন্তু সেই স্বপ্ন আর পূরণ হলো না। ভবিষ্যৎ নিয়ে তারা গভীর অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বলেও জানান।’
জানাজা শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ও সেনাবাহিনীর গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। পরে পারিবারিক কবরস্থানে পিতার কবরের পাশে সবুজ মিয়াকে দাফন করা হয়।
নিহত মো. সবুজ মিয়া মৃত হাবিদুল রহমান ও সাকিনা বেগমের ছেলে। তিনি ২০১০ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে লন্ড্রি কর্মচারী হিসেবে যোগ দেন। এক বছর আগে নাটোর জেলায় তার বিয়ে হয়। চলতি বছরের নভেম্বর মাসে তিনি সুদানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে যোগ দেন।
উল্লেখ্য, গত শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় দুপুর আনুমানিক ৩টা ৪০ মিনিট থেকে ৩টা ৫০ মিনিটের মধ্যে সুদানের আবেই অঞ্চলের কাদুগলি লজিস্টিক বেসে বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠীর ড্রোন হামলায় তিনি নিহত হন।
আতিকুর রহমান/এনএ

