Logo

সারাদেশ

ফেনীতে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মাদ্রাসায় তালা দেওয়ার অভিযোগ

Icon

ফেনী প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯:৫৭

ফেনীতে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মাদ্রাসায় তালা দেওয়ার অভিযোগ

ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার আমজাদহাট দারুল কুরআন ইসলামিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানায় তালা দেওয়া অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন টিপু ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে। এ সময় হামলাকারীদের মারধরের শিকার হয় মাদ্রাসার হাফেজ আহমদ হোসাইন। 

জানা যায়, মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মুহতামিম মাওলানা আবদুল আউয়াল হুজুর অসুস্থ হওয়ার পর মাদ্রাসাটি পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয় ফেনী রশিদিয়া মাদ্রাসা কতৃপক্ষকে। রশিদিয়া মুহতামিমের দায়িত্ব দেন আউয়াল হুজুরের সন্তান হাফেজ আবদুল্লাহ নিকট। পরবর্তীতে হাফেজ আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে নানানরকম অনিয়মের অভিযোগ উঠলে তাকে বহিষ্কার করে রশিদিয়া মাদ্রাসা কতৃপক্ষ। বৈঠকের মাধ্যমে নতুন মুহতামিমকে দায়িত্ব হস্তান্তর করা হয়। 

সবশেষ গত সোমবার রাতে ৫০-৬০ জনের একদল যুবক মাদ্রাসায় এসে এতিমখানার ছাত্রদের বের করে দিয়ে সেখানে তালা মেরে দেয়, পরবর্তীতে মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ আহমদ হোসাইন বাধা দিতে গেলে তাকে মারধর করে অফিস কক্ষে তালা দেয়। পরবর্তীতে একে একে মাদ্রাসার সব কক্ষে তালা দিয়ে সবাইকে চলে যেতে বলে। ঘটনার পরপরই ৯৯৯ নাম্বারে কল করে ফুলগাজী থানা পুলিশের সহায়তা চায়। রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশের একটা টিম উপস্থিতি হয়। 

মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা আবদুল কাইয়ুম জানান, ‘বিএনপি নেতা টিপুর নেতৃত্বে মাদ্রাসায় একদল যুবক হামলা চালায়, সেখানে হাফেজ আবদুল্লাহও উপস্থিত ছিলেন। এ সময় একজন শিক্ষককেও মারধর করা হয়।’

আরেক শিক্ষক সাইফুল ইসলাম জানান, ‘একদল সন্ত্রাসী আমাদের উপর হামলা চালায়। এসময় আমাদের একজন শিক্ষক আহত হয়। মাদ্রাসা এখনও তালাবন্ধ আছে। হামলার সময় সেখানে উপস্থিতি ছিলেন বিএনপি নেতা টিপু।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আমজাদহাটের একজন সাবেক জনপ্রতিনিধি জানান, ‘গত সোমবার এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তি ও রশিদিয়া মাদ্রাসা কতৃপক্ষসহ বড় একটি বৈঠকে সুন্দর সিদ্ধান্ত হয়। একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এভাবে তালা দেওয়া বিষয়টি খুব দুঃখজনক।’

এবিষয়ে জানতে চাইলে আমজাদহাট ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন টিপু জানান, ‘এটা ভাইদের মধ্যকার ঝামেলা,আমি এসবে ছিলাম না। আমার নাম রাজনৈতিক গ্রুপিং এর কারণে আসছে।’

ফুলগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত নুরুল ইসলাম জানান, ‘৯৯৯ নাম্বারে কল পেয়ে শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। মাদ্রাসা তালাবন্ধ ছিলো, বিষয়টি মূলত কমিটি নিয়ে বিরোধ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিষয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিষয়।’

এদিকে মাদ্রাসায় তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার বিষয়টি চারদিকে জানাজানি হলে একপর্যায়ে শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকালের দিকে তালা খুলে দেওয়া হয়। রোববার (২১ ডিসেম্বর) ফেনী ছাত্ররা মাদ্রাসায় আসতে শুরু করে। 

এম. এমরান পাটোয়ারী/এনএ

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর