ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো ইতিহাসের সবচেয়ে বড় এনআরবি গ্লোবাল কনভেনশন
বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৪১
বিশ্বের ২৫টি দেশের প্রবাসী বাংলাদেশিদের অভিজ্ঞতা, দক্ষতা ও বিনিয়োগকে দেশের উন্নয়নের সঙ্গে সংযুক্ত করার লক্ষ্যে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো ‘এনআরবি গ্লোবাল কনভেনশন-২০২৫’। এটি এ পর্যন্ত দেশের সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক প্রবাসী সম্মেলন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় রাজধানীর শেরাটন ঢাকা, বনানীতে আয়োজিত এই কনভেনশন উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মোহাম্মাদ তৌহিদ হোসেন।
সম্মেলনে অংশ নেন বিশ্বের প্রায় ২৫টি দেশ থেকে আগত প্রবাসী উদ্যোক্তা, শিল্পপতি, ব্যবসায়ী, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, বিজ্ঞানী, শিক্ষক, আইটি পেশাজীবীসহ বিভিন্ন খাতের প্রফেশনাল। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, দুবাই, সিঙ্গাপুর, জাপান ও কোরিয়ার বাংলাদেশি চেম্বার অব কমার্স ও বিজনেস কাউন্সিলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে আমেরিকা-বাংলাদেশ চেম্বার, কানাডা-বাংলাদেশ চেম্বার, ব্রিটিশ-বাংলাদেশ চেম্বার, ইউকে-বিসিসিআই, বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল (দুবাই), সিঙ্গাপুর-বাংলাদেশ চেম্বার, জাপান-বাংলাদেশ চেম্বার, কোরিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার ও অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার।
কনভেনশনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো বাংলাদেশের উচ্চপর্যায়ের নীতিনির্ধারকদের সরাসরি অংশগ্রহণ। এতে প্রবাসী উদ্যোক্তারা বিনিয়োগ সংক্রান্ত বাস্তব সমস্যা ও সম্ভাবনা সরাসরি নীতিনির্ধারকদের কাছে তুলে ধরার সুযোগ পান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর, যিনি প্রবাসী বিনিয়োগ আকর্ষণে আর্থিক খাতের সংস্কার, নীতিগত সহায়তা এবং সহজতর ব্যাংকিং ব্যবস্থার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
দিনব্যাপী সেমিনারে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, উন্নয়ন, অর্থনীতি, তথ্যপ্রযুক্তি ও উদ্ভাবনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর আলোচনার আয়োজন করা হয়। দেশ ও প্রবাসের খাতের বরেণ্য ব্যক্তিত্বরা কি-নোট স্পিকার ও আলোচক হিসেবে অংশ নেন। পাশাপাশি প্রবাসী বাংলাদেশিদের উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে প্রদত্ত ‘এনআরবি অ্যাওয়ার্ড’ বিতরণ করা হয়।
এনআরবি ওয়ার্ল্ড-এর প্রতিষ্ঠাতা এনামুল হক এনাম বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য দেশ ও প্রবাসের মধ্যে কার্যকর ও টেকসই সেতুবন্ধন তৈরি করা। প্রবাসীদের বিনিয়োগ ও দক্ষতা দেশের উন্নয়নে সংযুক্ত করতে আমরা কাজ করছি।’
প্রবাসী উদ্যোক্তারা জানান, সরকারের নীতিগত সহায়তা, স্বচ্ছতা ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত হলে তারা দেশে বড় পরিসরে বিনিয়োগে আগ্রহী। কনভেনশনটি প্রমাণ করেছে, সঠিক পরিকল্পনা ও নীতিগত সহায়তার মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করতে পারেন।
এমএইচএস

