বিয়ের গীত নিয়ে কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়ে শ্যামল শিশির
ডিজিটাল ডেস্ক
প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:২৫
শ্যামল শিশির। ফাইল ছবি
বাংলাদেশি গবেষক, লেখক ও নির্মাতা শ্যামল শিশিরকে কানাডার কনকর্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অব আর্টস অ্যান্ড সায়েন্স-এর পক্ষ থেকে রিসার্চ ইন্টার্ন হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ওরাল হিস্ট্রি অ্যান্ড ডিজিটাল স্টোরিটেলিং (COHDS) সম্মানজনক এই আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
গত ১৭ নভেম্বর কনকর্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমিগ্রেশন স্পেশালিস্ট স্বাক্ষরিত চিঠিতে নিশ্চিত করা হয়েছে যে, শ্যামল শিশির আইআরসিসি-এর বিশেষ নীতির আওতায় কানাডায় গবেষণা কার্যক্রমে অংশ নেবেন।
শ্যামল শিশিরের গবেষণার মূল বিষয় বাংলাদেশের বিয়ের গীত ও নারীর মৌখিক সৃজনশীলতা। তার ডকুমেন্টারি প্রকল্প ‘বিয়ের গীত : নারীর সৃজনশীলতার অদেখা রূপ’-এর গবেষণা ও নির্মাণ প্রক্রিয়া চলমান। তিনি দীর্ঘদিন ধরে গ্রামীণ নারীদের মৌখিক ঐতিহ্য, বিয়ের গান, আচার-অনুষ্ঠান ও লোকসাংস্কৃতিক স্মৃতি নিয়ে কাজ করছেন। তার সংগ্রহ করা তথ্য, মাঠপর্যায়ের রেকর্ডিং ও সমাজ-সংস্কৃতি বিষয়ক বিশ্লেষণ কনকর্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কাঠামোর সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ তৈরি করেছে।
গবেষণার পুরো সময় তিনি কনকর্ডিয়ার অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ও COHDS-এর লিড কো-ডিরেক্টরের তত্ত্বাবধানে কাজ করবেন। যৌথভাবে তারা ফোকলোর, মৌখিক ইতিহাস, নারীর সৃজনশীলতা ও ডিজিটাল স্টোরিটেলিং পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা করবেন।
শ্যামল শিশিরের কাজ বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতি, বিশেষ করে নারীর মৌখিক সৃজনশীলতার দলিলীকরণকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে এনেছে। তার গবেষণা বিয়ের গীতকে কেন্দ্র করে নারীর গল্প, স্মৃতি, অনুভূতি ও অভিজ্ঞতার এক মূল্যবান ইতিহাস হিসেবে চিহ্নিত করছে।
এ বিষয়ে শ্যামল শিশির, ‘বাংলাদেশের নারীরা যে বিয়ের গীতের মাধ্যমে শত শত বছর ধরে নিজেরা নিজেদের গল্প বলেছেন— সেটাই আমি বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে চাই। কনকর্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয় আমাকে যে মর্যাদাপূর্ণ সুযোগ দিয়েছে, এটি আমার কাজকে আরও দূরে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে।’
এমএইচএস

