ছুটির এক সকালে আমি বাবা মার সঙ্গে সাজেক ভ্যালিতে ঘুরতে যাই। আমরা অনেক আগেই পরিকল্পনা করেছিলাম যে, পাহাড়ে ঘেরা সাজেকের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে যাব। ঢাকা থেকে বাসে করে প্রথমে খাগড়াছড়ি, তারপর চান্দের গাড়িতে করে সাজেক পৌঁছি। এই যাত্রায় ছিল দারুণ রোমাঞ্চকর।
সাজেক পৌঁছে আমি চারপাশে দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হয়ে যাই। বিশাল সবুজ পাহাড় নীলচে আকাশ আর মেঘের ভেলা যেন নিচে নেমে এসেছে। মাঝে মাঝে মনে হচ্ছিল আমি যেন মেঘের মধ্যেই হাঁটছি! ঠান্ডা বাতাস আমাকে একেবারে জড়িয়ে ধরেছিল। হালকা রোদের মধ্যে সেই ঠান্ডা হাওয়া অনেক শান্তি দিয়েছিল।
আমরা হেলিপ্যাড নামক জায়গা থেকে সূর্যাস্ত দেখছিলাম। পাহাড়ের পিছনে যখন সূর্য লুকিয়ে যাচ্ছিল, তখন পুরো আকাশ লাল কমলা রঙের রাঙা হয়ে গিয়েছিল। সেটা দেখে আমি অনেক ছবি তুলেছিলাম। মা বাবা ও আমার সাথে ছবি তুললেন। আমি পাখির ডাক শুনেছি, পাহাড়ি শিশুদের সঙ্গে খেলেছি এবং স্থানীয় দোকান থেকে হাতের কাজ করা কিছু জিনিসও কিনেছি।
সাজেকের মানুষজন খুবই ভালো এবং অতিথি পরায়ণ। ওখানে পাহাড়ি খাবার ও খেয়েছিলাম। যেমন বেম্বো কিচেন যা বাসের মধ্যে রান্না করা হয়। এই ভ্রমণ আমার জীবনের অন্যতম সেরা অভিজ্ঞতা। সাজেকের প্রকৃতি মানুষ পরিবেশ সবকিছু আমার মন মনে গভীর ছাপ ফেলেছে। আমি আবারও সাজেক যেতে চাই আরো মেঘ ছুঁতে চাই।
দ্বিতীয় শ্রেণী, শাখা- ডালিয়া
নির্ঝর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ, ঢাকা।
বিকেপি/এনএ

