ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রোববার (২৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ফ্লোরিডায় বৈঠক করবেন। এই বৈঠকে প্রধানত রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধ শেষ করার সম্ভাব্য পরিকল্পনা এবং ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের প্রস্তাবগুলো নিয়ে আলোচনা হবে।

জেলেনস্কি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় তৈরি শান্তি পরিকল্পনার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে। পাশাপাশি রাশিয়ার সঙ্গে আলাদা নিরাপত্তা নিশ্চয়তা সম্পর্কিত প্রস্তাবও বৈঠকে তুলে ধরা হবে। তবে একজন জ্যেষ্ঠ রাশিয়ান কর্মকর্তা মন্তব্য করেছেন, জেলেনস্কির প্রস্তাব রাশিয়ার পরিকল্পনার সঙ্গে সম্পূর্ণ ভিন্ন।

ক্রেমলিন এখনও জেলেনস্কির প্রস্তাবের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। জেলেনস্কি জানিয়েছেন, এই প্রস্তাবে রাশিয়া দোনবাস অঞ্চলে সেনা সরালে, ইউক্রেনও পূর্বাঞ্চলীয় দোনবাস থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে। এছাড়া, ইউক্রেন শত্রু দেশ রাশিয়ার দখলকৃত এলাকা ছাড়া বাকি অংশকে একটি নিরস্ত্রীকৃত ‘মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল’ হিসেবে গড়ে তোলার সম্ভাব্য বিকল্পও বিবেচনা করছে।

এদিকে, রাতারাতি রাশিয়ার বিমান হামলায় কিয়েভে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছে। কিয়েভ অঞ্চলে আরও একজন আহত হয়েছে। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালেও রুশ হামলা অব্যাহত ছিল। ইউক্রেনের বিমান বাহিনী সতর্ক করে জানিয়েছে, পুরো দেশে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঝুঁকি এখনও রয়েছে।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে রাশিয়া ইউক্রেনে পূর্ণাঙ্গ আক্রমণ চালাচ্ছে। বর্তমানে মস্কো দোনেৎস্ক অঞ্চলের প্রায় ৭৫ শতাংশ এবং লুহানস্কের প্রায় ৯৯ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করছে। এই অঞ্চলগুলো একত্রে দনবাস নামে পরিচিত।

জেলেনস্কি শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, ২০ দফা পরিকল্পনার ৯০ শতাংশ কাজ ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। তিনি সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, ‘আমরা একদিনও নষ্ট করছি না। আমরা সর্বোচ্চ পর্যায়ে বৈঠকের বিষয়ে একমত হয়েছি— শিগগিরই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে। নতুন বছরের আগে অনেক কিছুই সিদ্ধান্ত হতে পারে।’

তবে ট্রাম্প পলিটিকোর সাক্ষাৎকারে উল্লেখ করেছেন, ‘ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের হাতে কিছুই নেই যতক্ষণ না আমি অনুমোদন দিচ্ছি। আমার মনে হয় জেলেনস্কির সঙ্গে এবং পুতিনের সঙ্গেও সম্পর্ক ভালো হবে।’ তিনি জানান, শিগগিরই রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলার আশা করছেন।

এমএইচএস