কোলাজ : বাংলাদেশের খবর
মেট্রোরেলের স্থায়ী কার্ড রিচার্জ করতে আর স্টেশনে গিয়ে লাইনে দাঁড়ানোর প্রয়োজন হবে না। ঘরে বসেই এমআরটি ও র্যাপিড পাস কার্ডে টাকা রিচার্জ করা যাবে ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড, বিকাশ, নগদ, রকেটসহ সব ধরনের অনলাইন পেমেন্ট ব্যবস্থার মাধ্যমে। ২৫ নভেম্বর থেকে এই নতুন সেবা চালু করতে যাচ্ছে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)।
ডিটিসিএর নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আখতার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
নীলিমা আখতার জানিয়েছেন, ডিটিসিএর অধীনে এ সেবা বাস্তবায়ন করবে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ‘ডেটা সফট’। উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (সড়ক, সেতু ও রেল মন্ত্রণালয়) শেখ মইনউদ্দিন। শুরুতে ডিটিসিএর ওয়েবসাইটের নির্দিষ্ট লিংকের মাধ্যমে রিচার্জ করা যাবে। আগামী মাসে চালু হবে মোবাইল অ্যাপ, যেখানে আরও সহজেই কার্ডে টাকা ভরার সুযোগ মিলবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অনলাইন রিচার্জ চালু হলে যাত্রীদের সময় বাঁচবে এবং স্টেশনে ভোগান্তিও কমবে।
ডিটিসিএ সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে এমআরটি বা র্যাপিড পাসে যাতায়াত করলে ১০ শতাংশ ছাড় পাওয়া যায় এবং ৫৫ শতাংশ যাত্রী র্যাপিড বা এমআরটি কার্ড ব্যবহার করেন।
তবে অনলাইনে রিচার্জের পর কার্ডটি একবার স্টেশনে থাকা অ্যাড ভ্যালু মেশিনে (এভিএম) স্পর্শ করিয়ে হালনাগাদ করে নিতে হবে। টাকা শেষ না হওয়া পর্যন্ত পুনরায় এভিএমে স্পর্শ করার প্রয়োজন হবে না। রিচার্জের পর তিন মাসের মধ্যে এভিএমে টাচ না করলে অর্থ স্বয়ংক্রিয়ভাবে যাত্রীর অ্যাকাউন্টে ফেরত যাবে, তবে ১০ শতাংশ সার্ভিস চার্জ কাটা হবে।
২১ ও ২২ নভেম্বর উত্তরা–মতিঝিল রুটের ১৬টি স্টেশনে ৩২টি এভিএম যন্ত্র স্থাপন করা হবে। নতুন এই ব্যবস্থায় দ্রুত লেনদেন হালনাগাদ হওয়ায় যাত্রীদের আর কাউন্টারে লাইনে দাঁড়িয়ে রিচার্জ করতে হবে না।
মেট্রোরেলে বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে প্রায় পৌনে পাঁচ লাখ যাত্রী চলাচল করেন। আগামী মাসে ট্রেনের ফ্রিকোয়েন্সি দুই মিনিট কমানোর পরিকল্পনা রয়েছে, এতে দৈনিক যাত্রী সংখ্যা পাঁচ লাখ ছাড়াতে পারে বলে আশা করছে ডিএমটিসিএল।
অন্যদিকে কমলাপুর পর্যন্ত নতুন সম্প্রসারণ কাজ চলছে। পুরো প্রকল্প চালু হলে দৈনিক ৬ লাখ ৭৭ হাজার যাত্রী পরিবহন করার সক্ষমতা অর্জন করবে মেট্রোরেল।
এমএইচএস

