বাংলাদেশের খবর
আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে পে কমিশনের সুপারিশ প্রণয়ন এবং ১৫ ডিসেম্বরের আগেই অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে গেজেট প্রকাশের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) জাতীয় পে কমিশনের সঙ্গে সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সাক্ষাতে এ বিষয়ে আলোচনা হয়। এসময় পরিষদের সভাপতি বাদিউল কবির পে কমিশনের চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
আলোচনার ফলপ্রসূতা সম্পর্কে বাদিউল কবির জানান, বেতন গ্রেড কমিয়ে আনা, ‘৩০ নভেম্বরের মধ্যে পে কমিশনের সুপারিশ জমা দেওয়া এবং ১৫ ডিসেম্বরের আগেই অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করে গেজেট প্রকাশের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
বাদিউল কবির কমিশন চেয়ারম্যানের বরাত দিয়ে বলেন, ‘দাবিগুলোকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। ৩০ নভেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার চেষ্টা চলছে।’
এদিকে পে কমিশনের জন্য আলাদা কমিশন কাজ করছে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘তিনটি রিপোর্ট পাওয়ার পর সেগুলো যাচাই-বাছাই করে কমিশনের কাছে পাঠানো হবে। বর্তমান সরকার একটি ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করবে, আর পরবর্তী সরকার তা বাস্তবায়ন করবে।’
ড. সালেহউদ্দিন আরও বলেন, ‘গত ৮ বছরে এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগ হয়নি। আমরা এ উদ্যোগ নিয়েছি। তবে বাজেট এবং সরকারের অন্যান্য সামাজিক খাতকেও বিবেচনা করতে হবে। পরবর্তী সরকার কেন পে কমিশন দেবেন না, এটা যৌক্তিক প্রশ্ন।’
এর আগে নভেম্বরের মধ্যেই সুপারিশ জমা না হলে কর্মচারীরা আলটিমেটাম দিয়েছিলেন। দীর্ঘদিন কমিশনের পক্ষ থেকে কোনো তথ্য না আসায় কর্মচারীদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টিও হয়েছিল।
এনএ

