উন্নয়ন সহযোগিতা জোরদার করতে চায় বাংলাদেশ-কোরিয়া
বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:১৩
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (কোইকা) প্রেসিডেন্ট চ্যাং ওন-সাম। গতকাল সোমবার রাজধানীতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ সাক্ষাতে তারা উন্নয়ন সহযোগিতা জোরদার, বিনিয়োগ বৃদ্ধি, দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ এবং বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে নির্বিঘ্ন উত্তরণে সহায়তা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা করেন।
চ্যাং ওন-সাম বলেন, ‘আবার এই দেশে আসতে পেরে সত্যিই ভালো লাগছে।’ তিনি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার উদ্যোগের প্রতি কোইকার রাজনৈতিক ও উন্নয়ন সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
প্রধান উপদেষ্টা চ্যাং ওন-সামের সফরের জন্য ধন্যবাদ জানান এবং আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশ ও কোরিয়া আরও দ্রুত অগ্রগতির পথে একসঙ্গে এগিয়ে যাবে।
সরকারের অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা কোরিয়ান বিনিয়োগকারী ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে উৎপাদন ও বাণিজ্যের দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশকে বিবেচনা করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আমরা একটি উৎপাদন কেন্দ্র হতে চাই। আপনাদের পণ্য এখানে তৈরি করে বিশ্বব্যাপী বিক্রি করতে পারি। আমাদের রয়েছে জনশক্তি, সক্ষমতা এবং কঠোর পরিশ্রমে আগ্রহী তরুণ জনগোষ্ঠী।’ ভাষা শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও দক্ষতা উন্নয়নের মতো মানবসম্পদকেন্দ্রিক সহযোগিতা বিস্তারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন ড. ইউনূস।
বাংলাদেশি যুবকদের শিক্ষায়, প্রশিক্ষণে এবং কোরিয়ায় কর্মসংস্থানের সুযোগ আরও বাড়াতে তিনি কোইকার কোরিয়ান ভাষা শিক্ষা কর্মসূচি সম্প্রসারণের আহ্বান জানান। এছাড়া স্বাস্থ্যসেবা প্রশিক্ষণে সহযোগিতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টা।
ড. ইউনূস বলেন, ‘আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্য এবং বৈশ্বিক স্বাস্থ্যসেবার জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নার্স প্রশিক্ষণে আরও বেশি মনোযোগ দিতে হবে।’ দক্ষ নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীর ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক চাহিদার বিষয়টি উল্লেখ করেন তিনি। এর জবাবে কোইকা প্রেসিডেন্ট দক্ষতা উন্নয়ন ও শিক্ষা খাতে সহযোগিতা সম্প্রসারণের বিষয়েও আগ্রহ প্রকাশ করেন।
সাক্ষাতে প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী এবং এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক ও জ্যেষ্ঠ সচিব লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।
আইএইচ/

